• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

ইবিতে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০, সম্পাদক গ্রেপ্তার

ইবি সংবাদদাতা, আরটিভি অনলাইন

  ২১ জানুয়ারি ২০২০, ১৪:৪৮

কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর প্রভাষক আরিফুল ইসলাম, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কমপক্ষে ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের প্রাথমিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ জুলাই রবিউল ইসলামকে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুটি পদ একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর পর থেকেই কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। আবার এই বিরোধের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুলের অডিও ফাঁস হয়। এরই প্রেক্ষিতে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

সেই ঘটনার প্রায় পাঁচ মাস পরে আজ সকালে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের অনুসারী কিছু নেতা-কর্মীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে যান। এ সময় পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা তাদের বাধা দেন। পরে দুপুর দেড়টার দিকে আবারও ক্যাম্পাসে ঢুকার চেষ্টা করলে বিরোধী পক্ষ তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সাধারণ সম্পাদক রাকিবুলের মাথা ফেটে যায়। পরে তিনি একটি ফটোকপির দোকানে আশ্রয় নেন।

এ সময় সভাপতি রবিউল ইসলাম কিছু নেতা-কর্মীসহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামে আশ্রয় নেন। সংঘর্ষের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অন্তত তিনটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এরপর বিদ্রোহী পক্ষের নেতা-কর্মীরা প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বেলা সাড়ে চারটায় সম্পাদক রাকিবকে গ্রেপ্তার করে কুষ্টিয়া থানা পুলিশ। পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।

হামলার বিষয়ে বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, ‘বিভিন্ন জটিলতার কারণে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের কার্যক্রম কিছু ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে রয়েছে। আমরা কেন্দ্রের নির্দেশে ছাত্রলীগের কার্যক্রম সচল করতে ক্যাম্পাসে আসি। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমরা কেন্দ্রকে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’

অন্যদিকে, বিরোধী পক্ষের নেতা সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমি ছিলাম না। এই কমিটি অর্থের বিনিময়ে হওয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা মেনে নিতে পারেননি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘পূর্বে থেকে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো ছাত্রলীগ এমন কিছু ঘটাতে পারে। তাই আমরা সকাল থেকে প্রধান ফটকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছিলাম। র‌্যাবের টহলও ছিলো। সেই সঙ্গে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh