• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

চাঁদা না দেয়ায় শেখ রাসেল স্কুলের কাজ বন্ধের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

রাবি সংবাদদাতা, আরটিভি অনলাইন

  ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:০৯
ছাত্রলীগের চাঁদা দাবি, শেখ রাসেল স্কুল, নির্মাণ কাজ বন্ধ
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদা না পেয়ে শেখ রাসেল স্কুলের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনটির শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তারা জানিয়েছেন, স্কুল নির্মাণ শুরু করার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের নিকট ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে। চাঁদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকিও দেন তারা।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ রোববার দুপুরে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রাসাদ বৃত্তসহ আরও একজন নির্মাণাধীন সাইটে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।

তবে এসব অভিযোগ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, ছাত্রলীগের সুনাম ও মর্যাদা নষ্ট করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়ে থাকতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুলাই ১০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জুবেরি ভবনের দক্ষিণ পাশে ১ দশমিক ৩ একর জমির ওপর চারতলা বিশিষ্ট নতুন একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিকদার কন্সট্রাকশন। এই কাজের উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ, নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার কয়েকদিন পর থেকেই শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা আমাদের কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। আমরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় তারা। এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার মমতাজউদ্দিন বলেন, গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু আমার নিকট ওই টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবি অনুযায়ী টাকা না দিলে কাজ বন্ধের হুমকিও দেয় তারা। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আজ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ ঘটনার বিবরণে তিনি বলেন, আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্তসহ দুজন গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে ম্যানেজার আশরাফুল আলম জানান, দুপুর ২টার দিকে ছাত্রলীগের দুজন নেতা এসে আমাকে কাজ বন্ধ করতে বলে। আমি কাজ বন্ধ না করায় তারা আমাকে গালাগালি করে এবং একই সঙ্গে কাজের মালামাল সরবরাহকারী আবু বক্করকে মারতেও উদ্যত হয়। পরবর্তীতে তারা আমাকে তুলে নিয়ে যায় এবং কত টাকা চাঁদা দিতে পারব সেটি জানতে চায়। তারা চাঁদার ব্যাপারে কোনও সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কাজ বন্ধ রাখতে বলে।

এদিকে শেখ রাসেল স্কুলের নির্মাণ কাজ বন্ধের খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে নির্মাণ শ্রমিকরা একসঙ্গে মাঠে বসে রয়েছেন। তারা আজকের ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।

তবে চাঁদা দাবির ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা কন্সট্রাকশন সাইটের কোনও কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। ছাত্রলীগের মর্যাদা নষ্ট করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র করা হয়ে থাকতে পারে।’

আর সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়। আর বৃত্তের কথা বলা হচ্ছে, আমি কথা বলেছি তার সঙ্গে সে এ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানে না বলে জানিয়েছে।’

ছাত্রলীগের চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘আজ (রোববার) বিকেলে কন্সট্রাকশনে একটি ঝামেলার কথা জেনেছি। তবে চাঁদাবাজি কিনা এখনো জানিনা।’

এজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh