• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

২ মাস ধরে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্র হলটি

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা

  ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:২৩
২ মাস ধরে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্র হলটি
২ মাস ধরে বন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্র হলটি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) দিনকে দিন আবাসন সংকট বেড়েই চলেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্র হলটি ছাত্রলীগের সংঘর্ষে কারণে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে হল রয়েছে মাত্র ৫টি। তবে শুধুমাত্র মেয়েদের দু’টি হল চালু রয়েছে। অন্যদিকে আব্দুল মালেক উকিল হল ফাঁকা ও অন্য আরেকটি হলের কাজ চলমান রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি নোবিপ্রবির ২য় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল উদ্বোধন করেন। তবে, উদ্বোধনের সাত মাস পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত আব্দুল মালেক উকিল হল থেকে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীদের স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে মেয়েদের জন্য কোনও হল না থাকায় ছেলেদের হলে মেয়েরা থাকত।

এদিকে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে সঙ্গে শুরু হওয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রী হলের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর কবে নাগাদ শেষ হবে তারও কোনও সঠিক সময় জানাতে পারেনি দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ছাত্রলীগের সংঘর্ষে ছাত্রদের একমাত্র আবাসিক হলটি বন্ধ রয়েছে। ফলে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু থাকায় হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীদের বাইরে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। এতে তাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। হলটি কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে সে ব্যাপারে প্রশাসন থেকে এখনো কিছুই জানানো হয়নি।

এ বিষয়ে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত বলেন, হঠাৎ করে হল বন্ধ করে দেয়াতে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া থাকতে হচ্ছে। এতে প্রতিনিয়ত আমরা নানামুখী সমস্যায় পড়ছি। তাই প্রশাসনের নিকট দাবি থাকবে অতিশীঘ্রই যেন ছাত্রদের হলটি খুলে দেয়া হয়।

ইনফরমেশন টেকনোলোজি ইন্সটিটিউটের এম এইচ নিলয় জানান, হল বন্ধ থাকায় বাহিরে মেস কিংবা বাসাগুলোতে অনেক চাপ। এছাড়া যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত বাসও নেই। ফলে, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত শিক্ষার্থী নিয়ে বাসগুলো যাতায়াত করছে।

তবে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের বিষয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ইউজিসি ও এডুকেশন মিনিস্ট্রির অনুমোদন নিয়ে হল মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ দেয়া হবে ও অতি দ্রুত হল মেরামতের কাজ শুরু হবে। মেরামত শেষে ছাত্রদের হলটিতে উঠানো হবে।

এদিকে আবদুল মালেক উকিল হল ফাঁকা হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেখানে ছাত্রদের উঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। গত ২১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২৩ অক্টোবর থেকে আবেদন শুরু হয়ে ৭ নভেম্বর আবেদনের সময় শেষ হয়।

আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, এখন পর্যন্ত মোট ১৪০০টি আবেদন জমা পড়েছে। হলে মোট সিট ৪৫০টি। ছাত্রদের ভাইবা নিয়ে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সিট বরাদ্দ দেয়া হবে। এ মাসের শেষ দিকে ছাত্ররা হলে উঠতে পারবে। এ সপ্তাহে ভাইবা নেওয়া শুরু হবেও বলে জানান তিনি।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
নোবিপ্রবিতে পরীক্ষার হলে ছাত্রলীগের বিশৃঙ্খলা, শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ
নোবিপ্রবিতে যেন ময়লার ভাগাড়, দ্রুত অপসরণের দাবি শিক্ষার্থীদের
X
Fresh