জাবি উপাচার্যের বরখাস্তও চান শিক্ষকরা
অপসারণের পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বরখাস্তের দাবিও জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষকরা।
বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আয়োজিত ‘সংহতি সমাবেশে’ এ দাবি জানান শিক্ষকরা।
আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা তদন্তের দিকে যেতে ভয় পান তিনি। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কোনও দাবি এবং আন্দোলনে তিনি কর্ণপাত করেননি। যখন শেষ পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থান করেন তখন ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের মারধর করানো হয়েছে। এই অবস্থার পর অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে পাঠদান করার অধিকার হারিয়েছেন তিনি।
সংহতি সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রকটর তপন কুমার সাহা বলেন, চার বছর প্রকটরের দায়িত্ব পালন করেছি কিন্তু কখনো বিশেষ ছাত্র সংগঠনকে নামানোর প্রয়োজন হয়নি। এখন কেন হলো?
মঙ্গলবারের ঘটনায় আমি ব্যথিত হয়েছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা লাঞ্ছিত হওয়ার পর উপাচার্য এটিকে গণঅভুত্থান বলেছেন। এটি আসলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের দুর্ভাগ্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের। এর আগে এই আন্দোলনের সঙ্গে আসিনি, কারণ নিজেকে বোঝাতে পারিনি। কিন্তু এখন পেরেছি। অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে শুধু তদন্ত না তাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।
সংহতি সমাবেশে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, উপাচার্যের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত অবশ্যই হবে। এখন অপেক্ষা তিনি শিক্ষক হিসেবে থাকবেন কি-না।
জাহাঙ্গীরনগরে যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে তা কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন নয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করছিলেন তখন সেখানে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিলেন। তারপর আবার ছাত্রলীগকে ধন্যবাদ দিলেন! এই ঘটনার পর অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তার পদে আর কোনোভাবেই বহাল থাকতে পারেন না।
আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দিন খান, অধ্যাপক রাইন, অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভুঁইয়া, অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক খবির উদ্দিন, অধ্যাপক কবিরুল বাশার ও অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি।
জেবি
মন্তব্য করুন