পাসের হারে মেয়েরা, জিপিএ-৫ এ এগিয়ে ছেলেরা
এবছর এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারে এগিয়ে আছেন মেয়েরা এগিয়ে। তবে জিপিএ-৫ বিবেচনায় ছেলেরা এগিয়ে আছেন। ফলাফল বিশ্লেষণ করে এমনটা দেখা গেছে।
জানা গেছে, এবার মেয়েদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে ছেলেদের পাসের হার ৭১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। প্রায় পাঁচ শতাংশ এগিয়ে আছেন মেয়েরা।
মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ হাজার ৭১০ জন। অন্যদিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ হাজার ৫৭৬ জন ছেলে।
অর্থাৎ জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের অনুলিপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরাও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
এসজে
মন্তব্য করুন
জবির পর এবার পাবিপ্রবির এক ছাত্রীর আত্মহত্যা
শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা নিয়ে উত্তপ্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এরই মধ্যে এবার শারভিন সুলতানা নামের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পাবনা শহরের মুনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শারভিন সুলতানা পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দশম ব্যাচের শিক্ষার্থী। মেহেরপুরের সালদা থানার এলাকার আজিজুল ইসলামের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে মাত্র এখানে এসেছি। উড়না কেটে মরদেহ নামানো হলো। এখনও বিস্তারিত কিছু পায়নি। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আমিও রওনা দিয়েছি। এখনও পৌঁছায়নি। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
নতুন কারিকুলামে প্রতি বিষয়ে হবে ৫ ঘণ্টার পরীক্ষা!
নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের শুরুতে সমন্বয় কমিটি গঠন করে সরকার। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে তারা। খসড়া অনুযায়ী, এখন থেকে আর আগের পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পরীক্ষাকে এখন ‘মূল্যায়ন’ বলা হবে। প্রতি বিষয়ে ৫ ঘণ্টার লিখিত ও ব্যবহারিক ‘মূল্যায়ন’ নেওয়া হবে। আর শ্রেণিভিত্তিক এ ‘মূল্যায়ন’ হবে বছরে দুটি।
রোববার (২৪ মার্চ) শিক্ষা বোর্ডগুলোর প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ খসড়া চূড়ান্ত হয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, রোববার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরেকটি সভা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
খসড়া অনুযায়ী, প্রতিটি মিডটার্ম ও চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে পাঁচ ঘণ্টার। এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলবে। এতে ছয়টি সেশন থাকবে। চার ঘণ্টা থাকবে ব্যবহারিক। মিডটার্ম ও বার্ষিক পরীক্ষায় সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন হবে নতুন কারিকুলামের আলোকে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হবে অন্য কেন্দ্রে। আর চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির পরীক্ষা হবে নিজ স্কুলে।
চলতি বছরের জুন মাস থেকে এ প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন হবে স্কুলে। এর আগেই সব চূড়ান্ত হবে জানিয়ে এনসিটিবির সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেছেন, অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদদের নিয়ে খসড়া করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
জানা গেছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতির পরীক্ষায় মার্কিং (চিহ্নিত) করার নিয়ম থাকবে না। ‘রিপোর্ট ভালো’, ‘অর্জনের পথে’ এবং ‘প্রাথমিক পর্যায়’— এমন তিনভাগে ফলাফল হবে। চতুর্থ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মিডটার্ম ও ফাইনাল পরীক্ষা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হবে চূড়ান্ত পরীক্ষার মাধ্যমে।
প্রসঙ্গত, নতুন কারিকুলামে পরীক্ষা না থাকায় অভিভাবক মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে দাবি করে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে নামেন অভিভাবকরা। এরই প্রেক্ষিতে পরীক্ষা পদ্ধতি ফিরিয়ে আনতে নতুন এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু
রমজান, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে আজ (মঙ্গলবার) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শুরু হয়েছে।
ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গত ১০ মার্চ থেকেই প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা প্রায় এক মাসের ছুটি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়। আর রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করা হয়। পরে আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিনে ছুটি কমানো হয়। সেই হিসেবে ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু ছিল। ২২ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে ২৫ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। মাদরাসার ছুটি শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে।
শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর
আগামী বছর থেকে সপ্তাহের শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামীতে সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে সারা বছর শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে।
পবিত্র রমজান মাসে স্কুল খোলা থাকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে, আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো এই বিতর্ক এড়াতে। বছরে ৫২টি শনিবার আছে। এ দিনগুলোতে বিদ্যালয় খোলা রেখে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে তা বন্ধ করার চেষ্টা করবো। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো, যেন আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে এ ধরনের অপচেষ্টা কেউ আর না করতে পারে।
প্রসঙ্গত, এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন।
এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে?
পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়, যেখানে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে, কাউরে বলব না’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
জিডি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপাচার্যের মোবাইলে মিথি নামক এক অজ্ঞাত নারী উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করে মেসেজ পাঠান। এ ছাড়া মেয়েটি উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার জন্য জোরাজুরি করেন। উপাচার্য তার সঙ্গে কথা না বললে ওই মেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে উপাচার্যের মানহানি হবে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, উপাচার্য স্যারকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য এক চাকরিপ্রার্থী মেয়ে ১০ লাখ টাকা দিতে চাইছে। স্যারকে মেসেজ করে বলেছে। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জিডি করা হয়েছে। এ দিকে জিডিতে উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সকালে ১১টার ফুল দিয়ে আসছিলাম তখন এক মহিলা কণ্ঠ আমাকে ফোন দিয়ে বললো, স্যার আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি পরিচয় চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, স্যার আপনি কী একা? আমি আবার কল দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির ব্যাপারে কথা বলব। আমার তো কুষ্টিয়াতে কেউ নাই। আমি কাউকে চিনি, জানিও না।’
তখন আমি তার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী না বলে কল কেটে দিলাম। তিনি আবার অনুরোধ করে বললেন, ‘প্লিজ একটা মিনিট একটু কথা বলেন। তারপর আমি কেটে দিলে একটা মেসেজ পাঠায় যে, ১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলব না। এখন দেখেতেছি সেই মেসেজটা ডিলেট করে দিয়েছে।’
ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল ছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি জিডিটা করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যেন দ্রুত এটা খুঁজে বের করে।’
পরিবর্তন আসছে এসএসসিতে, নতুন নামে হতে পারে পরীক্ষা
নতুন কারিকুলামে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। যেখানে নতুন পদ্ধতিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে নতুন নামকরণের ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। তবে, এসএসসি পরীক্ষার নাম বদলে কী হবে, এখনও চূড়ান্ত হয়নি তা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালে নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। সে হিসেবে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাই প্রথমবার নতুন কারিকুলামের এই ‘এসএসসি’ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এতদিন নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলেও নতুন পদ্ধতিতে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির ১০টি বিষয়ের ওপরই পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। এরমধ্যে একটি অংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই শিখনকালীন। বাকি আরেকটি অংশের মূল্যায়ন হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন।
সূত্রমতে, এখনকার মতোই কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ঠিক করে হবে এই পরীক্ষা। তবে, শিখনকালীন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন সমান গুরুত্ব পাবে।
এসএসসি পরীক্ষার নতুন নাম কী হবে, এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর পাবলিক পরীক্ষার নাম কী হবে, তা বলা যাবে।
এনসিটিবির খসড়া অনুযায়ী, দশম শ্রেণির পর যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, তাতে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এ পরীক্ষা। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। অর্থাৎ হাতে-কলমে শেখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশ বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কলা-আইন-সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও চারুকলা ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।
এবার বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসূল। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১১১.২৫। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১১০০৭৩৭। তিনি নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী।
চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন মো. বাঁধন তালুকদার। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.১৬। তার পরীক্ষার রোল নাম্বার ৫১০৬৩৮৯। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন অথৈ ধার। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৫.৫০। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৩২০৩৪৫১। তিনি চট্টগ্রাম গভ কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী।