• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

আসমার অদম্য এগিয়ে চলা

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ১০ জুলাই ২০১৯, ১৪:৩২
আসমা চৌধুরী আয়শা
আসমা চৌধুরী আয়শা

ছোট্ট আসমা শৈশবে চিত্রাঙ্কনের প্রশিক্ষণ না পেলেও, নিজের আগ্রহেই শিশু একাডেমির প্রতিযোগিতায় যেত। অন্যরা আঁকতো, আসমা তাকিয়ে থাকতো। অনুকরণ করতো। এভাবেই আঁকাআঁকির সঙ্গে আসমার সখ্যতা।

আসমার ভাষায়, 'সবাই ভীষণ সুন্দর আঁকতো। মনে হতো, আমিও যদি একটু ওভাবে আঁকতে পারতাম! শিখতে পারতাম। শৈশবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শেখার তেমন সুযোগ যদিও কখনও আসেনি৷ তবে আগ্রহটা সেখান থেকেই।'

শুরুটা পেন্সিলে হলেও এখন তিনি রঙ-তুলির পাশাপাশি অন্য মাধ্যমগুলোতেও সিদ্ধহস্ত। মনের মাধুরি মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারেন দারুণ সব চিত্রকর্ম। প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে এরই মধ্যে অর্জন করেছেন বার্জার পুরস্কারসহ বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বেশ কয়েকটি সম্মাননা।

আগ্রহ থাকলেও শুরুর দিকটা এতটা সহজ ছিল না। তার ভাষায়, ‘পরিবার খুব ধার্মিক হওয়ার কারণে ছবি আঁকা নিষিদ্ধ ছিল৷ সেই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আমি একটু বিপরীতে থাকতাম কেন জানি। যেটা নিষেধ করতেই হবে, সেটা করতেই হবে এরকম৷ তখন থেকেই যা দেখতাম, আঁকতে ভালো লাগতো। সেটা যেমনই হোক৷’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদভুক্ত প্রিন্টমেকিং ডিসিপ্লিনের স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত আসমা চৌধুরী আয়েশা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রেখেছেন।

পড়াশুনার পাশাপাশি একইসঙ্গে এতো কিছু কীভাবে করেন, এ বিষয়ে আসমার ভাষ্য হচ্ছে, ‘অনেকে অনেক কথা বলবে। কারণ আমরা সামাজিকভাবে এখনও শিল্পের মূল্যায়নের জন্য তৈরি হয়নি। তাই নিজের সাথে বোঝাপড়াটা ঠিক রাখতে হবে। বোঝাপড়া থাকলে কেউ আটকাতে পারবে না।’

আসমা বলেন, ‘বাংলাদেশে শিল্পচর্চা এখনও বিকাশমান একটি পেশা। ফলে আমাদের অনেক ঝামেলাই পোহাতে হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সেই বাধাগুলো না বোধ করে, সেজন্য ভালো পরিবেশ তৈরি করাটাই আমার লক্ষ্য।’

অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস না করা এ তরুণ চিত্রশিল্পী জানান, ‘আমার লড়াই আমার শিল্পচর্চার উন্নতি নিয়ে, কোনও ব্যক্তিবিশেষের সঙ্গে নয়।’

শিল্পচর্চা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার মতো বাস্তবতা এদেশে এখনও কল্পনা। তবু এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এবং শিল্পের প্রতি ভালোবাসা থেকেই শিল্পচর্চাকে পেশা হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।’

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় শিশু দিবসে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা
X
Fresh