• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ভিপি পদে চতুর্মুখী লড়াই

সিয়াম সারোয়ার জামিল, আরটিভি অনলাইন

  ০৬ মার্চ ২০১৯, ১৮:৫৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম ক্যাম্পাস। ছুটছেন প্রার্থীরা, চলছে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা। এবার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ২১ প্রার্থী। তবে মূল লড়াইটা হবে ৪ প্রার্থীর মধ্যে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন নেতৃত্বাধীন প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য, স্বতন্ত্র জোট, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রমুক্তিজোটসহ বেশ কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্রদলের মোস্তাফিজুর রহমান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নূরুল হক নূরের মধ্যে। বাকি ১৭ প্রার্থীই ক্যাম্পাসে অপরিচিত, শিক্ষার্থীদের কাজে সংযোগ না থাকায় ও মূল ছাত্রসংগঠনগুলোর সমর্থন না থাকায় আলোচনার বাইরে আছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, দল ক্ষমতায় থাকায় হলে একক অবস্থানে আছে ছাত্রলীগ। সমসাময়িক ইতিবাচক কাজে জনপ্রিয়তা ও বিপুল কর্মী-সমর্থকেরর কারণে এগিয়ে থাকছে ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে ভিপি প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, অন্য প্রার্থীদের চেয়ে ছাত্রদের সঙ্গে আমার সংযোগ বেশি। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হলে আবাসিক হল, খাবারের মানও উন্নয়ন করব। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তুকি দেবে। শিক্ষার্থীদের মতামতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হবে।

শোভনের পরেই আলোচনায় আছেন ক্যাম্পাসের অন্যতম পরিচিত মুখ ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন নন্দী। ২০১৫ সালের পহেলা বৈশাখে নিপীড়কদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে গিয়ে হাত ভাঙে তার। ওই সময় নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে লাইমলাইটে আসেন এ ছাত্র নেতা। পরে আন্দোলন করতে গিয়ে জেলেও গেছেন তিনি। ভোটে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো নিয়ে জোট গড়ে অনেকটাই ভালো অবস্থায় আছেন তিনি।

তার দল ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলেই প্রার্থী দিয়েছে। ফলে ছাত্রলীগের পরেই দলগতভাবে অবস্থান শক্ত করতে পেরেছেন তিনি। ভোটের মাঠে কতটা এগিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশে থেকেছি। যে কারণে গণসংযোগে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমাদের আহ্বান থাকবে শিক্ষার্থীরা সবাই ভোট দিতে আসুন। তাদের অধিকার প্রয়োগ করুক, যাকে ইচ্ছা ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনুক।

লিটনের পরেই আলোচনায় আছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নূর। ডাকসুতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারলেও শিক্ষার্থীদের পরিচিতি বেশ। তবে মূল ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে জোট গড়তে না পারায় ও হলগুলোতে সমর্থকদের প্রার্থী করতে না পারায় জনসমর্থন থাকলেও অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থী তিনি। জানতে চাইলে নূর বলছেন, ক্যাম্পাসে বিদ্যমান সমস্যাটা হচ্ছে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা আধিপত্য বিস্তার করে দখলদারিত্ব বজায় রাখতে চায়। আমরা সেই জায়গাটা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।

তবে তিন প্রার্থী বেশ গণসংযোগ করলেও সুবিধা করতে পারছে না ছাত্রদল। সংগঠনটির ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান একেবারেই অপরিচিত মুখ। হলগুলোতেও দলের কর্মীরা কেউ অবস্থান করেন না। তাছাড়া বিগত দশ বছর ক্যাম্পাসে নেই সংগঠনটি। তিনি আরটিভি অনলাইনকে বলেন, প্রতিকূল পরিবেশেও ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করার চেষ্টা করেছে। নির্বাচিত হলে আবাসন, গ্রন্থাগার আধুনিকীকরণ, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে পরিবহন বিষয় নিয়ে কাজ করব।

অন্যান্য সংগঠনগুলোর মধ্যে থেকে ভিপি প্রার্থীরা হলেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের এসএম আতায়ে রাব্বী, ছাত্রলীগ-বিসিএল নাইম হাসান, ছাত্রমৈত্রীর মো. রাসেল শেখ, ছাত্রমুক্তিজোটের শিহাব শাহরিয়ার সোহাগ। স্বতন্ত্র ও অন্যান্যা ভিপি প্রার্থীরা হলেন- অরণি সেমন্তি খান, মো. আব্দুল আলীম, মো. গোলাম রাসেল, এডিএম আব্বাস আল কোরেশী, সফিক সরকার, আবদুল্লাহ আল লাবিব, আবদুল্লাহ জিয়াদ, ওমর ফারুক, টিটো মোল্লা, ফাহমিদা মজিদ, শফিকুল ইসলাম, ওমর ফারুক, নকীবুল হাসান ও মো. রাকিবুল ইসলাম।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh