চবিতে ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি
আন্তর্জাতিক ফিলিস্তিন সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালি ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ ও ইসরায়েলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে এ র্যালি ও মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে মশাল মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তারা ‘Free Free Palestine’, ‘from the river to the sea, Palestine will be free’ ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন, থামিয়ে দাও-রুখে দাও’ নানা স্লোগান দেন।
এ মিছিলের মাধ্যমে তারা ফিলিস্তিনিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানান দেন।
আরটিভি/এমকে/এআর
মন্তব্য করুন
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ জানা গেল
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেলের এমবিবিএস ও ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে পারে। পবিত্র শবে বরাত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণ বিবেচনায় এই সময়ে পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর।
জানা গেছে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের। তবে ওইদিন পবিত্র শবে বরাত হতে পারে। ফলে শবে বরাত ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কারণ বিবেচনায় নিয়ে পরীক্ষা আয়োজনের তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন জানান, গত ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ সভায় মেডিকেলের এমবিবিএস ও ডেন্টালের বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা এগিয়ে আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি জানান, আগামী ১৭ জানুয়ারি এ পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটি চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নয়। পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিল কানাডা
আবাসন ও সম্পদ সংকট দেখিয়ে ১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এই স্কিম বন্ধ করার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর এনডিটিভির।
ভারত, পাকিস্তান, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ব্রাজিল, চীন, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, মরক্কো, পেরু, ফিলিপাইন, সেনেগাল, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্রানাডা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো ও ভিয়েতনামের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা। ২০১৮ সালে এসব দেশের শিক্ষার্থীদের সহজ এবং দ্রুত ভিসা প্রক্রিয়ার জন্য স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিম ভিসা প্রোগ্রাম চালু করা হয়।
কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবাসন ও সম্পদের সংকটের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব দেশের শিক্ষার্থীদের সমান সুযোগ দেওয়ায় বিশ্বাসী বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কানাডা। প্রায় সব মৌসুমে কানাডাতে শিক্ষা অর্জনে যাওয়ার হিড়িক থাকে দেশের বাইরে পড়ালেখা করতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের। এসব শিক্ষার্থীদের বাড়তি সুবিধা দিতে নানা উদ্যোও গ্রহণ করে থাকে কানাডা। তবে এবার শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভিসা কর্মসূচি বন্ধের ঘোষণা দিল ট্রুডো সরকার।
আরটিভি/এসএপি
৫ দফা দাবি / জবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে উপদেষ্টা নাহিদ
সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ ৫ দাবিতে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে তারা প্রথমে শিক্ষা ভবন ঘেরাও করেন। পরে সেখান থেকে সরে গিয়ে দুপুর ২টার দিকে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে বিকেল ৩টার দিকে সচিবালয়ের সামনে হাজির হন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণপদযাত্রা সহকারে সচিবালয়ের অদূরে শিক্ষা ভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার’, ‘ঘেরাও ঘেরাও ঘেরাও করো, মন্ত্রণালয় ঘেরাও করো’, ‘বৈষম্য মানব না, মানি না মানব না’, ‘দিতে হবে দিয়ে দাও, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে দাও’, ‘যদি থাকে হায়া লাজ, সেনাবাহিনীকে দাও কাজ’সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সচিবালয়ের সামনে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষা ভবনের সামনে সংশ্লিষ্ট কেউ এসে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেটা না হওয়ায় আমরা সচিবালয়ের সামনে এসেছি।'
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেওয়ার পর সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগে থেকেই সেখানে পুলিশের দুটি সাঁজোয়া যান অবস্থান নিয়ে ছিল। আরও দুটি এপিসি আনা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যাও।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর ভেতর আছে—স্বৈরাচার সরকারের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ প্রকল্প পরিচালককে আইনের আওতায় আনা এবং সাত দিনের মধ্যে প্রজেক্ট ডিরেক্টর হিসেবে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসার নিয়োগ, সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর এবং হস্তান্তরের প্রক্রিয়া নিয়ে সুস্পষ্ট রূপরেখা (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হল) এবং অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার আমলে করা সকল অনৈতিক চুক্তি বাতিল করা।
আরটিভি/এআর
স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু আজ, আবেদন করতে হবে যেভাবে
শুরু হল সরকারি-বেসরকারি স্কুলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা টেলিটকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ ৫টি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ফল প্রকাশ করা হবে।
মাউশির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ১০ ডিসেম্বর ঠিক করা হয়েছে। এর পর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এই তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে।
ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আরটিভি/এসএপি
এইচএসসির পুনঃনিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার, জানবেন যেভাবে
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনঃনিরীক্ষণের ফল বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হবে। এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় যে বিষয়গুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেই বিষয়গুলোর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সুযোগ শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন।
বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করা শিক্ষার্থীদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হয় না। শুধু পরীক্ষকদের দেওয়া নম্বরগুলো ঠিকভাবে যোগ হয়েছে কি না, তা দেখা হয়।
এবারে প্রতিটি বোর্ড দুপুর ২টা থেকে ৩টার মধ্যে পুনর্নিরীক্ষণের ফল প্রকাশ করতে পারবে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন। প্রতিবারের ন্যয় এবারও ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্নিরীক্ষণের ফল জানা যাবে দুই পদ্ধতিতে। একটি হলো এসএমএসের মাধ্যমে। এ ছাড়া নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা ফল দেখতে পারবেন।
প্রথম ফল প্রকাশের সময় যেভাবে এসএমএস পাঠিয়ে ফিরতি এসএমএসে ফল জানা যায়, পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে তা নয়। এ ক্ষেত্রে প্রার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করার সময় যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন, সেই নম্বরে বোর্ড থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানিয়ে দেবে। তাই ফলাফলের জন্য এসএমএস পাঠানোর প্রয়োজন নেই।
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নিজ শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ঢুকে ফল জানতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন নেওয়া হয়। ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ১১টি শিক্ষাবোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন শিক্ষার্থী।
আরটিভি/এমএ-টি
রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যা বললেন সমন্বয়করা
জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার, তাই উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই তাদের বক্তব্য নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) প্লাটফর্মটির বাংলামোটর কার্যালয়ে চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের চার ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা, আসন্ন কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সংগঠকদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে।
বৈঠক শেষে আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, আমাদের আজকের সভায় ১৫৮ জনের মধ্যে ৭০-৮০ জন সমন্বয়ক ছিলেন। তবে অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। নিজেদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলাও নেই আমাদের, আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই আমাদের বক্তব্য নিতে হবে।
সমন্বয়কদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শেষ পর্যন্ত আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু সরকারের গুণগান গাইব না। পাশাপাশি গঠনমূলক সমালোচনাও করা হবে। এ ছাড়া মানুষের ভোগান্তি হয় এমন কোনো কিছু করবে না বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তিনি জানান, বিপ্লবের ১০০ দিন উপলক্ষে আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। আর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে দেশব্যাপী আন্দোলনের কমিটি দেওয়া হবে।
আরটিভি/এফএ
শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ঢাবিতে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত শিক্ষকদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সিন্ডিকেট মিটিং চলাকালে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে তা পণ্ড হয়ে যায়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাবির নবাব আলী চৌধুরী সিলেট ভবনে সন্ধ্যার পর মিটিং বসে। এ সময় সিন্ডিকেট সদস্যরা তাদের নির্ধারণী কাজ করছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে শিক্ষার্থীবিরোধী অবস্থানের জন্য বিতর্কিত হয়ে পড়ে এই সিন্ডিকেট বডি। এরই জোরে ধরে সিন্ডিকেট মিটিং পণ্ড করে দেয় শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মিটিং চলছে এমন খবর জানতে পেরে শিক্ষার্থীদের একাংশ মধুর ক্যান্টিনে জমা হতে থাকে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী।
সংগঠিত ছাত্রদের একটি অংশ মধুর ক্যান্টিন থেকে মিছিল করতে করতে নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের যে স্থানে সিন্ডিকেট চলছে সেখানে পৌঁছে যায়। ফলে ভেস্তে যায় মিটিং। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ এসে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলে শিক্ষার্থীরা স্থান ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাবু বলেন, এই সিন্ডিকেট শেখ হাসিনার দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। গত ১৭ জুলাই ঢাবি সিন্ডিকেটের এই সদস্যদের মিটিংয়েই পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও সোয়াট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং আবাসিক হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সিন্ডিকেট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এমনকি এই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
তিনি আরও বলেন, নিয়ম না মেনে গঠিত এই সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে ব্যাপক দলীয়করণ করা হয়েছে। তাই এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নতুন সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। দলীয় আনুগত্যের বিবেচনায় সিন্ডিকেট গঠন করা যাবে না। সিন্ডিকেটে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নেই। সিন্ডিকেটে অবশ্যই শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা দরকার।
আরটিভি/একে