অনুমতি ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাস ও এর আশেপাশের এলাকায় সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ‘উপাচার্যের আদেশক্রমে’ বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় সকল ধরনের সমাবেশ, মানববন্ধন, মিছিল-মিটিংসহ যে কোন কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে আয়োজন না করার জন্য নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।
এ নির্দেশ অমান্য করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন
শেখ মুজিবের ছবিতে মন্তব্য করায় ৪ মাসের জেল, শিক্ষা জীবন শেষ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এডিট করা একটি ছবিতে কমেন্ট করায় জেল ও পড়ালেখা বন্ধের সম্মুখীন হয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ফয়েজ আহমেদ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
ফয়েজ বলেন, ‘আমি কোনো ফেক আইডি থেকে পোস্ট করিনি। কেবল একটা মন্তব্য করেছি। কিন্তু আমাকে শিবির ট্যাগ দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে চার মাস জেলে বন্দি করে রাখা হয়। আমাকে থানায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। কেউ সাহায্য করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছে আমার বাবা, তাকে অপমান করা হয়েছে। আমার চার বছর পড়াশোনা বন্ধ ছিল। আমি অসংখ্যবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নাছের, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন ও আমার বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে পড়াশোনা করতে দেননি। বাদশা স্যার আমাকে বলেছেন, তোমাকে ধর্ষণ মামলায় সহায়তা প্রদান করলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিষয়ে কোনো মামলায় আপস করব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার জীবনটা শেষ করার পেছনে দায়ী ফ্যাসিবাদের দোসর বাদশা মিয়া। আমি সেই মামলায় খালাস পেয়েছি। তিনি আমার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমাকে পড়তে দেওয়া হবে না। আমার বিরুদ্ধে ভুয়া তদন্ত কমিটির মাধ্যমে দোষীসাব্যস্ত করে বহিষ্কারাদেশ বহাল রেখেছেন। অথচ আমি কতবার তার হাত-পা ধরেছি; বলেছি, আমাকে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমাকে সেই সুযোগ দেননি।’
নোবিপ্রবির ওই শিক্ষার্থী বলেন, কোনো প্রকার মামলা ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নোবিপ্রবি ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা প্রিতম আহমেদ বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। যেখানে স্বাক্ষী হিসেবে ছিলেন তৎকালীন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার নাসের, শিক্ষা প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সজিব এবং বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগনেতা সাব্বির। দীর্ঘ চার মাস আমি কারাগারে থাকি। পরবর্তীতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে জামিন পেয়ে বের হয়ে আসি।’
ন্যায়বিচার প্রার্থনায় আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অভিযোগ দেব। আমি দেখব, বিশ্ববিদ্যালয় কী ব্যবস্থা নেয়? যদি তারা আমাকে ন্যায়বিচার দিতে না পারে আমি আদালতে মামলা করব। আমি শেষ দেখতে চাই। আমার মতো কারও সাথে এমন ঘটনা ঘটুক, আমি তা চাই না।’
অভিযোগের বিষয়ে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান বাদশা মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। প্রথমত, বহিষ্কার করা এবং ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড ও একাডেমিক কাউন্সিলের হাতে। সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ওর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছি।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর মুহম্মদ মুমিন আদ দ্বীন নামক একটি আইডি থেকে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামক একটি গ্রুপে নোবিপ্রবির বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সঙ্গে ভিপি নুরের এডিট করা ছবি পোস্ট করা হয়। সেই পোস্টের সমালোচনা করে তৎকালীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি শাহরিয়ার নাসের পোস্ট করেন। সেখানে ফয়েজ আহমেদ কমেন্ট করেন, ‘এখানে দুঃসাহসের কিছু তো দেখছি না’। এই একটি কমেন্টের কারণে ফয়েজ আহমেদকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাকে পাঁচদিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে দীর্ঘ চার বছর ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত করা হয়। পরবর্তীতে এ ঘটনায় শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান বিপ্লব মল্লিককে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে সদস্য হিসেবে ছিলেন তৎকালীন প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমী, ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট আনিসুজ্জামান রিমন ও সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি বিএনসিসির পিইউও একিউএম সালাউদ্দিন পাঠান।
এইচএসসির ফল প্রকাশ কবে, জানাল আন্তঃশিক্ষা বোর্ড
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতি নিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৬ থেকে ৯ অক্টোবরের মধ্যে এই ফল প্রকাশ করা হতে পারে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে সরকার পতনের দাবিতে হওয়া লাগাতার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবার পুরো এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। ১৩টি বিষয়ের মধ্যে কেবল ৭টি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়। পরীক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিল করে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা হওয়া বিষয়গুলোর মূল্যায়ণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর বাতিল হওয়া বিষয়গুলো ম্যাপিং করার পদ্ধতিসহ একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন হওয়ার পরপরই পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, আমি আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি ফল প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
সায়েন্সল্যাবে সংঘর্ষ, আহত ১৫ শিক্ষার্থী ঢামেকে
রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজ ঢাকা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীরা বের হলে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের কলেজের ভেতরে ঢুকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে।
আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আমাদের ক্যাম্পাসে এসে ভাঙচুর করে এবং আমাদের কলেজের বিলবোর্ড খুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের সঙ্গে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন, ঢাকা কলেজের মশিউর রহমান (১৭), আব্দুল্লাহ (১৮), তৌহিদুর রহমান তানভীর (১৭), বাদল (১৭), সামির (১৫), তাহমিদ সালেহ (২১), আব্দুল্লাহ (১৮), আরিফ (১৯), শামীম (১৭), বখতিয়ার (১৮), মো শামীম (১৭), নিশাত (১৬), হুজাইফা (২৩), ইয়াসিন (১৮) ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী উসাইব (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। অনেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন।
আরটিভি/এসএ
যা থাকছে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো-সিলেবাসে
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন কারিকুলামের বই পড়ানো হচ্ছে। তবে অভিভাবকদের দাবির মুখে এ কারিকুলাম বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন কারিকুলামে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে এর আগের কারিকুলামের নিয়মে। তবে পাঠ্যবই থাকবে নতুন কারিকুলামেই।
দুই কারিকুলামের সমন্বয়ে ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো ও সিলেবাস কেমন হবে, তা প্রস্তুত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। খসড়া এ প্রশ্নকাঠামো এবং সিলেবাস সম্পর্কে মতামত ও অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর দু-এক দিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এনসিটিবি চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো সিলেবাস প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠিয়েছে। মতামত পেলে আশা করি দু-এক দিনের মধ্যেই সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো প্রকাশ করা হবে।
এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পর্যায়ে তা ছিল অভিজ্ঞতানির্ভর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগের শিক্ষাক্রমের আদলের শিক্ষায় ফিরে গিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অভিজ্ঞতানির্ভর শিক্ষার বইয়ের কোন কোন অংশ থেকে প্রচলিত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা খুঁজে বের করে আমরা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস প্রস্তুত করেছি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আদলে। প্রতিটি বিষয়ে ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্নের সমন্বয়ে প্রশ্নকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষক ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার করে সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামোর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এএ/এসএ
ষষ্ঠ-নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা কোন পদ্ধতিতে, জানাল এনসিটিবি
চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে। আর গ্রেডিং পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হবে। তবে আরও গ্রহণযোগ্য মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তন করতে অভিভাবক ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলন সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এনসিটিবি জানিয়েছে, চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরে নেওয়া হবে। প্রতিটি বিষয়ের পরীক্ষায় থাকবে সংক্ষিপ্ত, বর্ণনামূলক প্রশ্ন, সঠিক উত্তর ও শূন্যস্থান পূরণ। সামষ্টিক মূল্যায়নে ৭০ শতাংশ আর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা। আবার পরীক্ষার ফল প্রকাশেও থাকছে না আলোচিত-সমালোচিত ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ ও বৃত্ত। এর পরিবর্তে আবারও চালু করা হবে নম্বরভিত্তিক গ্রেডিং পদ্ধতি।’
তিনি বলেন, ‘একটা অংশ থাকবে যে, সংক্ষিপ্ত এমসিকিউ বাকি সিকিউ ধরনের প্রশ্ন এবং যে উদ্দীপক থাকে সেটা ছাড়াও কিছু প্রশ্ন রাখা হবে। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-শূন্যস্থান পূরণ, সত্য-মিথ্যা এগুলোও থাকবে। অর্থাৎ একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্নদিক থেকে প্রশ্ন রেখে মূল্যায়ন করা হবে।’
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে মানদণ্ডগুলো আছে, তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা মেধা ঠিক করব। সেটা প্রথমে নম্বরের ভিত্তিতে করে গ্রেডে পরিবর্তন করা হবে। চলতি বছর সাময়িক সময়ের জন্য পুরনো সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির প্রচলনকে ইতিবাচক আখ্যা দিয়ে দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষা পদ্ধতি প্রবর্তনের দাবি অভিভাবক ও শিক্ষা সংস্কার আন্দোলনকারীদের।’
সম্মিলিত শিক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল সাহা বলেন, ‘আমরা জানি যে, সৃজনশীল মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু তারপরও আমাদের সেখানে আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন পদ্ধতিতে যেতে হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শুরু হয়েছে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ। তারই ধারাবাহিকতায় সংস্কার হচ্ছে শিক্ষা খাতও। অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে নতুন কারিকুলামের সমালোচিত মূল্যায়ন পদ্ধতি। তবে সৃজনশীল প্রশ্নপত্রেই চলতি বছরের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা।
আরটিভি/এসএপি-টি
জেএসসি ও এসএসসির নম্বরের সমন্বয়ে এইচএসসির ফল
সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতিতে জেএসসির ২৫ ও এসএসসির ৭৫ নম্বরের সমন্বয়ে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফল তৈরি হবে। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য ও কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে শিক্ষা বোর্ড।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমানের ছয়টি পরীক্ষা বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া বিষয়গুলোর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসিতে প্রাপ্ত নম্বরের ৭৫ শতাংশ যোগ করে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে। যেমন কোনো একটি বিষয়ে জেএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে সেখান থেকে ২৫ এবং একই বিষয়ে এসএসসিতে ১০০ নম্বর পেয়ে থাকলে ৭৫ নম্বর নেওয়া হবে। এ দুটি নম্বর যোগ করলে এইচএসসিতে ওই বিষয়ে শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর হবে ১০০।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে ফল প্রকাশ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি যাচাই-বাছাই চলছে। শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সময় পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে পূর্বের পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং প্রক্রিয়ায় ফল প্রকাশ করা হয়। এবার সেই পদ্ধতিতে ফল তৈরি করা হবে। সেই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত এলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে।’
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। জুলাইয়ের ১৬ তারিখ পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
আরটিভি/এসএপি
ষষ্ঠ থেকে নবমের বার্ষিক পরীক্ষার সঙ্গে থাকছে শিখনকালীন মূল্যায়নও
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার সঙ্গে থাকছে শিখনকালীন মূল্যায়নও। নতুন কারিকুলামের বইয়ের ওপর এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ নির্দেশিকা জারি করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়, ৭০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে তিন ঘণ্টার বার্ষিক পরীক্ষা দিতে হবে। বাকি ৩০ নম্বর শিক্ষার্থীর শিখনকালীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
‘২০২৪ সালের শিখনকালীন মূল্যায়ন ও বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণের নির্দেশিকায়’ এসব নির্দেশনার পাশাপাশি আরও কিছু নতুন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরো নির্দেশিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরটিভি/এএইচ/এসএ