মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি, জাবিতে প্রতিবাদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মহানবি (সা.)-কে নিয়ে ভারতের পুরোহিতের কটূক্তি এবং সেই কটূক্তিতে ভারতের সংসদ সদস্যের সমর্থনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই বিক্ষোভ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে তাদেরকে ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও এক হও’, ‘বিশ্বনবির অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘ইনকিলাব ইনকিলাব জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘নরেন্দ্র মোদির ছেলেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘রেহান থেকে আবরার ফিরে আসবো বার বার’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
সমাবেশে প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী বনি আমিনের সঞ্চালনায় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মশিউর সা’দ বলেন, আমরা তো কোনো ধর্মকে নিয়ে কটূক্তি করি না, কিন্তু তারা কেন করে? কটূক্তির কারণে তাদের কোন শাস্তি হয় না যার ফলে তারা এত সাহস পায়। ভারতের পুরোহিত মহানবি (সা.)-এর সঙ্গে আয়েশা (রা.) বিয়ে নিয়ে কটূক্তি করেছেন। তার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আমি বলব তাদেরকে, আপনারা রাসুল (সা.) জীবনী পড়েন। নবি (সা.) শুধুমাত্র একজন কুমারি মেয়েকে বিবাহ করেছেন তিনি আয়েশা (রা.)। তিনি কম বয়সী এবং রাসুল (সা.)-এর সংস্পর্শে বেশি থাকার কারণে অনেক হাদিস মুখস্থ করতে পেরেছেন। কিন্তু বর্তমান সময় এটাকে নেগেটিভভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। আমরা এই কটূক্তির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাই।
বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আবরার শাহরিয়ার বলেন, মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি ভারতের জন্য নতুন কিছু না। তারা অনেক আগে থেকে ইসলামবিদ্বেষী। আমরা এর আগে দেখেছি, ভারতে কোনো ধরনের কটূক্তির জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এবং বাংলাদেশের সরকার থেকেও কোনো ধরনের নিন্দা জানায়নি। বর্তমানে ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, আমরা মনে করি এই সরকার জনগণের সরকার। তাই আমরা চাইব, এই সরকার যেন ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে।
সমাপনী বক্তব্যে বনি আমিন বলেন, মহানবি (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তি আমরা মেনে নেব না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং ভবিষ্যতে যেন এরকম কটূক্তি করার সাহস না পায় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরটিভি/এমকে-টি
মন্তব্য করুন