পদত্যাগ করলেন শাবিপ্রবির প্রোভিসি-কোষাধ্যক্ষ
পদত্যাগ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন।
শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বলেন, ১০ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি ও কোষাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বরাবর তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
১০ আগস্ট দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেডিকেল প্রশাসক, পরিবহন প্রশাসক ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক পদত্যাগ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য, হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট সকলে রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেয়।
মন্তব্য করুন
ঢাবিতে গণবিয়ের আয়োজন, অনুমোদনের বিষয়ে যা জানাল কর্তৃপক্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণবিয়ের আয়োজনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গণবিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তবে এ ধরনের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এতে আর বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে গণবিয়ে আয়োজনের অনুমোদন দেয়নি। তা ছাড়া কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জানায়নি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত রীতিনীতি এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা থাকার সুযোগ নেই। যেসব শিক্ষার্থী এই উদ্যোগ নিয়েছে, তা একান্ত তাদের ব্যক্তিগত উদ্যোগ। সর্বোপরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি বিদ্যায়তনিক প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যাচর্চার স্থান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের আয়োজন নিয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
আরটিভি/এসএপি
ত্রাণের টাকা ব্যাংকে রাখার কারণ জানালেন হাসনাত
ত্রাণ তহবিলের জন্য টাকা উঠিয়ে সেগুলো কেন ব্যাংকে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, তহবিল সংগ্রহের শুরুতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সব খরচ না করে বেশিরভাগই জমা রাখা হবে। কারণ, আগের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জেনেছি যে, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর অর্থ সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ত্রাণ তহবিলের বেশিরভাগ টাকা পরিকল্পিতভাবেই ব্যাংকে রাখা হয়েছে। তহবিল সংগ্রহের শুরুতেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে সব খরচ না করে বেশিরভাগই জমা রাখা হবে। কারণ, আগের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা জেনেছি যে, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরবর্তী ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর অর্থ সহায়তা বেশি প্রয়োজন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এখন ওই অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ব্যয় করা হবে। আরও আগে থেকেই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণসহ অন্য কাজগুলো করে দেওয়ার কথা ভাবছিলাম, কিন্তু আয়-ব্যয়ের অডিট কমপ্লিট না হওয়ায় সেটি সম্ভব হচ্ছিল না।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নিরীক্ষা শেষ করে শিগগিরই তহবিলের সব অর্থ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যয় করার পরিকল্পনা আছে। এক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সরকার যে তহবিল গঠন করেছে, সেখানেই টাকাগুলো দেওয়া হবে। এর ফলে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবেই আমাদের তহবিলের অর্থ মানুষের কাজে আসবে বলে আশা রাখি। বন্যার্তদের সহযোগিতার উদ্দেশে গঠিত ত্রাণ তহবিলের যে ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখা হয়েছে, সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ত্রাণ সহায়তার জন্য যত অর্থ আমরা পেয়েছি, সেগুলোর প্রতিটি পয়সার হিসাব আমাদের কাছে আছে। কাজেই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, প্রাথমিক ত্রাণ কার্যক্রমে খরচের পর তহবিলের বাকি অর্থের বেশিরভাগই জমা রাখা হয়েছে জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায়। চাইলেও সেগুলো কেউ আত্মসাৎ করতে পারবে না। কারণ, সেগুলো বিশেষভাবে খোলা হয়েছে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকও যুক্ত রয়েছেন। তিনিসহ আরও দুইজনের সম্মিলিত সিগনেচার ছাড়া কেউ টাকা তুলতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, অর্থের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আমরা ত্রাণ কার্যক্রমের আয় ও ব্যয়ের ওপর একটি অডিট করছি এবং আগামী কয়েকদিনের মধ্যে অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। সিএ ফার্মের প্রফেশনাল ব্যক্তিদের দিয়েই নিজ দায়িত্বে এটা আমরা করছি, যাতে পরবর্তী সময়ে কেউ কোনো অভিযোগ বা অপবাদ দিতে না পারে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, প্লাটফর্মের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় যত সভা-সমাবেশ হচ্ছে, সেগুলোতেও ত্রাণের কোনো অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে না। কেউ যদি দেখাতে পারে যে, আমরা ত্রাণ তহবিলের কোনো টাকা অন্যকাজে ব্যবহার করছি, তাহলে যা শাস্তি দেওয়া হবে, বিনাবাক্যে সেটা মাথা পেতে নেব।
ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যাতায়াত, থাকা-খাওয়া ও অন্যান্য খরচের ব্যাপারে তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু করার পর থেকেই সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছায় আমাদের সহযোগিতা করে আসছেন, এখনও করছেন। আমরা শুধু সেবাটা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে কেউ কেউ তাদের গাড়ি দিয়ে আমাদের পৌঁছে দিচ্ছেন, অনেকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন, এভাবেই চলছে। তবে এখন যেহেতু এটা নিয়েও কথা উঠছে, সে জন্য আগামীতে কারা কী ধরনের সেবা দিয়ে আমাদের সহায়তা করছেন, সেটার তালিকাও আমরা প্রকাশের কথা ভাবছি।
আরটিভি/এফএ
মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি, আসন ৬৬০
বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (বিএমএ) চট্টগ্রামসহ সরকারি/বেসরকারি মেরিটাইম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেরিন ক্যাডেট প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন চলছে। সারা দেশে ৯টি মেরিন একাডেমিতে মোট ৬৬০ জন নারী ও পুরুষ প্রার্থী ভর্তি করা হবে।
আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ প্রাপ্ত হয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং এইচএসসি অথবা সমমান পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও গণিত বিষয়ে আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩.৫০ এবং ইংরেজি বিষয়ে ন্যূনতম ৩.০ প্রাপ্ত হয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। ইংরেজিতে ৩.০০–এর কম থাকলে আইএলটিএস পরীক্ষায় সামগ্রিকভাবে ৫.৫ স্কোর থাকতে হবে। ইংলিশ মিডিয়াম অক্সফোর্ড পাঠ্যক্রমের ক্ষেত্রে পদার্থবিদ্যা, গণিতসহ ন্যূনতম সি গ্রেডে এ-লেভেল সনদপ্রাপ্ত এবং পদার্থবিদ্যা, গণিত ইংরেজিসহ কমপক্ষে ৫টি বিষয় নিয়ে ন্যূনতম সি গ্রেডে ও লেভেলে সনদপ্রাপ্ত অথবা সমমানের হতে হবে। ২০২৪ সালের এইচএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা অ্যাপিয়ার্ড হিসেবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে এইচএসসির ফলের পর ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকলে বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
শারীরিক যোগ্যতা
ন্যূনতম উচ্চতা ও ওজন: পুরুষ ৫৴–৪৴ ৴ এবং নারী ৫৴–২৴ ৴। ওজন বিএমআই চার্ট মোতাবেক ন্যূনতম ১৭ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ (যেমন ৫৴–৪৴ ৴: ৪৫-৬৬ কেজি বা ৫৴–৬৴ ৴: ৪৮-৭০ কেজি)। খালি চোখে নটিক্যাল ক্যাডেটদের জন্য ৬/৬; ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেটদের জন্য ৬/১২ (চশমাসহ অবশ্যই ৬/৬ হতে হবে) আবেদনকারীকে অবশ্যই বর্ণান্ধতামুক্ত হতে হবে।
সাঁতার
ন্যূনতম ৬০ মিটার একটানা অতিক্রমে সক্ষমতা থাকতে হবে। সাঁতারে প্রয়োজনীয় দক্ষতা না থাকলে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
বয়স
১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে সর্বোচ্চ বয়স ২২ বছর (পুরুষ/নারী)। আবেদনকারীকে বাংলাদেশি নাগরিক এবং অবিবাহিত হতে হবে।
কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কত আসন:
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি মেরিটাইম শিক্ষা/প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহ
১. বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম (আসনসংখ্যা: পুরুষ ১৬০ জন ও নারী ২০ জন)।
২. বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৫০ জন)
৩. বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, বরিশাল (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৭০ জন)
৪. বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, রংপুর (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৭০ জন)
৫. বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, সিলেট (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৫০ জন)
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারি মেরিটাইম শিক্ষা/প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান:
১. মেরিন ফিশারিজ একাডেমি, চট্টগ্রাম (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৭০ ও মহিলা ১০ জন)।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত বেসরকারি মেরিটাইম শিক্ষা/প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহ:
১. ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৭০ জন)
২. ওয়েস্টার্ন মেরিটাইম একাডেমি, ঢাকা (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৫০ জন)
৩. মাস মেরিন একাডেমি, চট্টগ্রাম (আসনসংখ্যা: পুরুষ ৪০ জন)
চূড়ান্ত নির্বাচন পদ্ধতির ধাপসমূহ:
এসএসসি ও এইচএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে নিম্নোক্তভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হবে
এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ১৫ গুণ ৭৫ নম্বর (সর্বোচ্চ)। এইচএসসি/ সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ–এর ২৫ গুণ = ১২৫ নম্বর (সর্বোচ্চ);
লিখিত পরীক্ষা নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ পদ্ধতি) ৮০ নম্বর এবং মৌখিক পরীক্ষা ২০ নম্বর। মোট ৩০০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ শতাংশ।
নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ পদ্ধতি) ৮০ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিভাজন: পদার্থবিজ্ঞান-২০, গণিত-২০, বাংলা-১০, ইংরেজি-২০, বাংলাদেশ ও সাধারণ জ্ঞান-১০।
নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় মোট ১৬০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের নম্বর ০.৫০। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.১২৫ কাটা যাবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রাথমিক শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন এবং শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
অনলাইনে আবেদন: নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের (dos.gov.bd) মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা হবে। আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে doscadet.solutionart.net এর মাধ্যমেও আবেদন করা যাবে। প্রয়োজনে যোগাযোগ: ০১৮১০০০১১৯০, ০১৮১৫৩৩০৫৯৭।
বিশেষ নির্দেশনা: সরকারি মেরিন একাডেমি থেকে পাসকৃত ক্যাডেটদের জাহাজে শিক্ষানবিশকাল প্রশিক্ষণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে নিজ নিজ একাডেমি সব ধরনের সহযোগিতা করবে। বেসরকারি মেরিন একাডেমি কর্তৃপক্ষ ক্যাডেটদের জাহাজে শিক্ষানবিশকাল প্রশিক্ষণ দিতে বাধ্য থাকবে।
আরটিভি/এফআই/এআর
ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র পাওয়ার আবেদন করতে আর সশরীরে ঢাবিতে যেতে হবে না। এখন থেকে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমেই সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্র তুলতে পারবেন তারা।
সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরীর দপ্তর থেকে কলেজ অধ্যক্ষদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সেবার মান উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট ও নম্বরপত্রের আবেদন প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য ‘কলেজের জন্য নির্দেশাবলি’ নামে একটি দিক নির্দেশনা মেইলে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টি অতি জরুরি উল্লেখ করে, সব বিভাগে গুরুত্ব সহকারে জানানোর জন্যও চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
৯ দফা নিয়ে যা বললেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের
কোটা সংস্কারকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, কিন্তু সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে ৯ দফার অবতারণা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
পাঠকদের জন্য সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের পোস্টটি তুলে ধরা হলো-
কোটা সংস্কারকে উদ্দেশ্য করে আন্দোলন গড়ে উঠেছিল; কিন্তু সরকার পরিস্থিতি ঘোলাটে করলে আন্দোলন ভিন্ন দিকে মোড় নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় নয় দফার অবতারণা হয়। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলাম; কিন্তু ১৬ তারিখ মঙ্গলবার আবু সাঈদসহ ছয়জন যখন শহীদ হয়, ওই দিন রাত ১২টায় সামনের সারির সমন্বয়করা মিলে আমরা একটা অনলাইন মিটিং করি। মিটিংয়ে প্রথম এজেন্ডা-ই ছিল, আজকে যে ছয়জন শহীদ হলো, এই ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার কি না? তখন সবাই হই হই করে বলে উঠে, ছয়টা লাশের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার হতে পারে না। পরবর্তীতে দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা করা হয়। এই আলোচনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিসহ আরও কিছু দাবি দাওয়া উঠে আসে।
বলে রাখা ভালো, আমরা এতদিন ‘বাংলা ব্লকেড’ থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশসহ নানান সফট এবং হার্ড কর্মসূচি নিয়ে মাঠে অবস্থান করেছিলাম; কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে একেবারে নির্বিকার-নির্লিপ্ত মনোভাব পরিলক্ষিত হয়েছিল। আলাপ-আলোচনার ধার ধারেনাই সরকার, কেবল হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে চুপচাপ দেখে যাচ্ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি যখন বেগতিক হয়ে যায়, ছয় জন শহীদ হয়, ঐদিনই সরকার আলোচনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়, আমাদেরকে বিভিন্ন মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে আলোচনায় বসার জন্য। কিন্তু আমরা আলোচনার আহ্বানকে বারাবরের মতোই প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের দৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করি। যদিও ভেতর বাহির থেকে আলোচনায় বসার নানারকম চাপ আসছিল।
সরকার সংলাপের আহ্বান ফরমালি জানিয়েছিল কিন্তু সেটার প্রেক্ষিতে আমরা আমাদের অবস্থান ফরমালি ক্লিয়ার করি নাই। ক্লিয়ার করার সুযোগও পাই নাই। বুধবার গায়েবানা জানাজায় ঢাবি ক্যাম্পাসে পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালায়, আমিসহ কয়েকজন আহত হই। হান্নান মাসউদ গুলিবিদ্ধ হয়। তখন থেকেই আমরা আন্দোলন পরিচালনা করে যাবার স্বার্থে কৌশলি অবস্থান নিয়ে গ্রেপ্তার এড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই। যদিও সরকারের সংলাপকে প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গলবার রাতে আমরা কিছু দাবি দাওয়া ঠিক করেছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে সবাই মিলে আলাপ-আলোচনা করে যে সেই দাবিগুলো ফাইনাল করব সে সময় পাইনি। তবে আমরা বৃহস্পতিবার মাঠের কর্মসূচি (কমপ্লিট শাটডাউন) দিয়ে নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার করেছিলাম।
বৃহস্পতিবার আমি আর আসিফ ভাই এক বাসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভিন্ন ভিন্ন গন্তব্যে চলে যাই। ওই দিন ১৮ তারিখ রাতেই ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয় সরকার। আমরাও কর্মসূচি চলমান রাখতে, গ্রেপ্তার এড়াতে বার বার জায়গা পরিবর্তন করে বেড়াচ্ছি। কারও সঙ্গে তেমন কোনো যোগাযোগ করতে পারতেছি না।
আন্দোলনের শুরুতেই নাহিদ ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে এক লোকের সঙ্গে মিট করায় এবং পরবর্তীতে আন্দোলনের পারপাসে একাধিকবার ওই লোকের সঙ্গে যোগাযোগ হয়; পরবর্তীতে জানতে পারি তিনি ঢাবি শিবিরের ছাত্র আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তখনও শিবিরের সভাপতি এবং সেক্রেটারির সঙ্গে ওইভাবে যোগাযোগ হয় নাই।
শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় যখন আন্দোলন করছিলাম তখন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি ফরহাদ ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলল, ‘আন্দোলনরত কয়েকজন সমন্বয়ক সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে, এত এত শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করতেছে তারা। আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে। কিছু দাবি-দাওয়া দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে, মানুষের সাথে বেইমানি করা যাবে না।’ আমি সম্মতি জানাই। আমাদের তো আগেই অবস্থান ছিল আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার। তাছাড়া মঙ্গলবার রাতের মিটিংয়ে ঠিক করা কিছু দাবি দাওয়া আমার মাথায় আছে। আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার মতো মাঠে কোনো সিনিয়র নাই। আসিফ-নাহিদ ভাইকে গুম করে রেখেছে। আমি সাত-পাঁচ না ভেবে রিস্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ওই দিন জুমার নামাজের পর পরই যাত্রাবাড়ীতে কয়েকজন শহীদ হয়, সবগুলা আমার চোখের সামনেই ঘটতেছে। মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরে ফেলতেছে, এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারতেছিলাম না। তাছাড়া দীর্ঘদিন জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার হয়ে হাসিনার এমন অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে গেছি; মাথা নত করি নাই। আমার পরিণতি কী হবে, সেটা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করি নাই। চোখের সামনে মানুষ মেরে ফেলতেছে, মানুষের কথা চিন্তা করে নিজের জীবনের কথা ভাবার সময় পাই নাই। গত ৪-৫ বছর ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াই আমাদেরকে দৃঢ়তা ধরে রাখার শিক্ষাই দিয়েছে। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে হাল ধরার সিদ্ধান্ত নিই।
যাইহোক, কিছুক্ষণ বাদে শিবিরের সেক্রেটারি আমাকে আবারও ফোন দিল। বলতেছে, ‘কিছু দাবি দাওয়া খসড়া আকারে করছি, তোমার সঙ্গে আলোচনা করি।’ আমাদেরও যেহেতু আগেই আলোচনা হয়েছিল অনেকগুলো দাবির ব্যাপারে সেগুলো তখন উনার সঙ্গে আলোচনা করে সমন্বিতভাবে তৈরি হয় ৯ দফা।
তিনি একে একে কিছু দাবি বললেন। যেগুলা খুব কমন দাবিদাওয়া- যেমন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত পুলিশ প্রশাসনকে বরখাস্ত, সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা, ভিসির পদত্যাগ। যেগুলা ৬ জন শহীদ হওয়ার পরে মঙ্গলবার রাতের বৈঠকের আলোচনাতেই আমরা ভেবেছিলাম। এ ছাড়া মানুষজনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু দাবিদাওয়া জানিয়ে আসছিল। শেষের দিকে গিয়ে শিবিরের সেক্রেটারি একটা দাবি এড করল, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে’ এটা আমি মানি নাই, দীর্ঘক্ষণ আলাপ আলোচনা হইল। পরে আমি বললাম, ঢালাওভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবে না, এক্ষেত্রে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলতে পারেন। পরে সেটাই ঠিক হইলো, ‘লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে’।
এই হলো নয় দফা তৈরির পেছনের গল্প। তবে নয় দফা প্রচার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল শিবির। যেহেতু নেট নাই, গোলাগুলি-কারফিউর মধ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সশরীরে হাউজে হাউজে পৌঁছে দিয়েছে, বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা তারাই করেছে।
আমাকে নতুন একটা সিম এবং মোবাইল কালেক্ট করার পরামর্শ দিল তারা। আমি স্টুডেন্ট এর বাসা থেকে সিম নিয়ে ওই নাম্বারটা নয় দফা সংবলিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে দিয়ে দিলাম। ঐদিন সন্ধ্যায় বাসা থেকে ৪-৫ কিলো দূরে হেঁটে গিয়ে পরিচিত সাংবাদিকদেরকে ফোন দিয়ে নয় দফার বিষয়টা জানাইলাম। টুকটাক ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল। তো ওই রাতে তাদের অনেককে একটা একটা করে দফা বাটন ফোন দিয়ে ম্যাসেজের মাধ্যমে দাবিগুলা লিখে পাঠাইছি। পুরা নয়টা দাবি একসঙ্গে ম্যাসেজে পাঠানো যায় না। কাউকে আবার মুখে বলে দিছি, সে লিখে নিছে। কেউ আবার রেকর্ড করে নিছে। কনফার্ম হওয়ার জন্য অনেকেই ফোন দিছে, এটা আসলেই আমি দিছি কি না। বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলাকেও ফোন দিয়ে কনফার্ম করা লাগছে, ‘আমার পক্ষ থেকে এটা যাচ্ছে, আপনাকে একজন পেনড্রাইভের মাধ্যমে পৌঁছে দিবে।’ এইভাবে চলল রাতের ১১টা পর্যন্ত।
প্রতিদিন রাতের বেলায় বাসা থেকে দূরে চলে যেতাম। ফোন অন করে সাংবাদিকদের সঙ্গে ২-৩ ঘণ্টা কথাবার্তা বলে, তাদেরকে কনফার্ম করে, ফোন বন্ধ করে আবার বাসায় ফিরতাম। সিনিয়ররা গুম অবস্থায় ছিল, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না বাকিদের সঙ্গেও। এইভাবেই চলতে থাকল। আমার বাসা ছিল যাত্রাবাড়ী থানার পাশেই। গ্রেপ্তারের আতঙ্ক, তারপরও বাসায় থাকতে হতো। শুরুতেই যাওয়ার কোনো জায়গা ছিল না। কোনো রাত মসজিদে কাটাইছি, কোনো রাত অর্ধেকটা বাহিরে কিংবা বাসার ছাদে কাটিয়ে শেষ রাতে বাসায় ফিরেছি।
হাফ পাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
সপ্তাহের সাত দিনই শিক্ষার্থীরা হাফ পাস সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের এক সচেতনতামূলক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল আলম বলেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ইউনিফর্ম অথবা ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেখানো সাপেক্ষে আজ (সোমবার) থেকেই শিক্ষার্থীরা হাফ পাস সুবিধা পাবেন।
তিনি আরও বলেন, আগের সময়সীমা (সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা) বাতিল করে এখন থেকে ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে।
ঢাকা মহানগর এলাকার সব রুট ও এলাকার সব সিটি বাসে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ হবে বলেও জানান ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
নিরাপদ সড়ক আন্দলোনের (নিসআ) আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মেহেদি দীপ্ত বলেন, ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিশেষ অবদানের প্রতি ধন্যবাদ জানাতে হাফ পাস বাস্তবায়ন করা হয়।
এ সময় হাফ পাস শুধু বাস নয়, রেল ও নৌযানসহ সব পরিবহনে সরকারকে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান তিনি।
আরটিভি/আরএ/এসএ
এবার জানা গেল শিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারির পরিচয়
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতির পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর তুমুল আলোচনার মধ্যেই জানা গেল সেক্রেটারির পরিচয়ও। সেক্রেটারির নাম এস এম ফরহাদ। সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এই শিক্ষার্থী থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলে৷ তিনি ছাত্রলীগেরও পদধারী ছিলেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে আসার পর নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে৷ খোঁজ নিয়ে এস এম ফরহাদের ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে৷ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্বশীল এক নেতা নামপ্রকাশ না করার শর্তে এস এম ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পর ছাত্রশিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েমের পরিচয় সামনে আসে৷ তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র৷ সাদিক ও ফরহাদ দুজনই চট্টগ্রামের বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷
রোববার রাতে শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদের পরিচয় সামনে এলে তার পরিচিতজনদের অনেকে বিস্ময়প্রকাশ করেন৷
ফরহাদ ২০২২-২৩ বর্ষে কবি জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন৷
ক্লাবে এর ঠিক আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এ এস এম কামরুল ইসলাম৷ শুধু তা-ই নয়, জসীম উদ্দীন হলে চার বছর ধরে ফরহাদের সঙ্গে একই কক্ষে থেকেছেন তিনি৷ ফরহাদের রাজনৈতিক পরিচয় শুনে বিস্মিত কামরুল।
জানা গেছে, ফরহাদ ২০২২ সালের নভেম্বরে ঘোষিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন৷ এ নিয়ে ফেসবুকে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা দেখা গেছে৷ ওই কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর তালিকায় তার নাম দেখা গেছে।
এছাড়া, কবি জসীম উদ্দীন হল ডিবেটিং ক্লাবের একটি ইফতার অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কারিগরি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক এস এম রাকিব সিরাজীর সঙ্গে ফরহাদের একটি ছবি এবং তানভীর হাসানকে ফরহাদের ফুল দেওয়ার আরেকটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে৷
এদিকে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা প্রকাশ্যে আসছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম৷ তিনি গতকাল বলেন, সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পুরো কমিটি খুব দ্রুতই প্রকাশ করা হবে৷
আরটিভি/এআর