• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

বরখাস্তে হ্যাট্রিক প্রধান শিক্ষকের

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:৫৭
বরখাস্তে হ্যাট্রিক প্রধান শিক্ষকের
গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আবার ও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। গোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পালের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির এসব অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে একাধিক অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। ইতিপূর্বে বহুল আলোচিত প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল অর্থআত্মসাতের অভিযোগে দু,বার বরখাস্ত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবারও ৯১ হাজার ৩০০ টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রমানিত হলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো বরখাস্ত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন সহকারি প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ।

প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল যে সব কারনে বরখাস্ত হয়েছেন তারমধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ১৩ টি রেজুলেশন খাতা গায়েব। এর আগে ১৯৮৫ ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষদের বেতন ভাতার এ্যাকুটেনসি খাতা গায়েব করে রাখা। ১৯৮৫ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এসএসসি ও জেএসসি’র মুল সনদ শিক্ষার্থীদের না দিয়ে নিজ বাসায় আটকে রাখা।

এতে করে শিক্ষার্থীরা মারার্ত্বকভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারিদের নিয়োগ ফাইলের সকল কাগজপত্র প্রতিষ্ঠানের আলমারিতে রাখার নিয়ম থাকলেও আইন অমান্য করে নিজের কাছে রেখেছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের জমির দলিল, ক্যাশ বই নিজ বাসায় রেখেছেন। বিদ্যালয়ের মোবাইল ফোনটি (০১৩০৯-১১৬৫৭৮) বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তার অসৎ উদ্দেশ্যের কারনে গোপনে কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে সিমটি উত্তোলন করেন। পরে বিদ্যালয়ের নানা কাজে বিঘ্ন ঘটার কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যশোর শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করেন এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিনকে অবহিত করেন। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পালের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ বিষয়টি আমলে নেয়। তদন্ত শেষে ফোনের সিমটি চিত্তরঞ্জন পালের কাছে রয়েছে প্রমানিত হলে সিমটি পুলিশের কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হন।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির এক সভায় প্রধান শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করার জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের আরপিটিশন বোর্ডে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দাখিলের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন পাল এর আগে ৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ২ বার বরখাস্ত হয়েছিল। ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ লাখ ৬১ হাজার টাকা স্কুল ফান্ডে জমা দিয়ে তিনি চাকরি ফিরে পান। সে সময়ে চাকরিতে যোগদানের পুর্বে ১৪ টি শর্তে ৩০০ টাকার ষ্ট্যাম্পে অঙ্গিকার করে চাকরিতে যোগদান করেন। এরপর যশোর মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের আরপিটিশন বোর্ডের কাছে ক্ষমা চেয়ে সে দফায় রক্ষা পান। তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের হিসাব, খরচ ভাউচার, নগদ টাকা ব্যাংকে জমাকৃত টাকা, বিদ্যালয়ের জমির দলিল, রেজুলেশন খাতা, এ্যাকুটেনসি খাতা, শিক্ষক ও কর্মচারিদের নিয়োগের যাবতীয় কাগজপত্রসহ সমস্থ ডকুমেন্ট নিজের কাছে রেখে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতো। এবারও ৯১ হাজার টাকার বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমানিত হয়।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুদ্দিন আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা, বরখাস্ত ৩
ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের ইফতার 
ফেসবুকে শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ ভিডিও পোস্ট, তুমুল সমালোচনা 
ঝিনাইদহে মানবপাচার মামলায় ৩ জনকে যাবজ্জীবন 
X
Fresh