প্রধানমন্ত্রীর অনুদান পাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা
করোনায় সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে পড়া নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রত্যেক শিক্ষক ৫ হাজার ও কর্মচারী ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পাবেন।
বুধবার (১২ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী ৭৫ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। এতে সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ পাঁচ হাজার ৭৮৫ জন, কারিগরি শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৬১ হাজার ৪৪০ জন শিক্ষক কর্মচারীকে এ অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
এফএ
মন্তব্য করুন
চার মাসের মধ্যে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ
আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ), ময়মনসিংহের মিলনায়তনে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদ আহমদ বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। বর্তমানে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩১ এ দাঁড়িয়েছে। আমরা আশাবাদী ২০২৪ সালের মধ্যেই এ অনুপাত ১:৩০ হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১৬ মাসের মধ্যে শিক্ষার চলমান উন্নয়ন কাজে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করার টার্গেট রয়েছে। এ ছাড়া আরও ৭ হাজার কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এ বিভাগে প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে সময়মতো শেষ করার জন্য একটু নজরদারি বাড়ানো উচিত। সমন্বয় ও কাজের তদারকির জায়গায় সমাধান আনতে পারলে যথাসময়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। বর্তমানে চলমান গুণাগুণের সঙ্গে সংগতি রেখে আগামীতে শিক্ষায় আরও মানসম্মত উন্নয়নে কাজ করব।
আইইএলটিএস ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে ফেলোশিপে মাস্টার্সের সুযোগ
আইইএলটিএস ছাড়াই মাস্টার্স করার জন্য ফেলোশিপ প্রদান করছে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গের গ্লোবাল স্টাডিজ সেন্টার। উন্নয়নশীল দেশগুলোর মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়।
এই ফেলোশিপের পোশাকি নাম ‘এইচজে হেইনজ ফেলোশিপ’। এটি এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছর মেয়াদি ফেলোশিপ, যা শুরু হয় আগস্টে এবং শেষ হয় জুনে। এই ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ২০ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার দেওয়া হবে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
ফেলোশিপের জন্য আবেদনকারীদের অবশ্যই মাস্টার্স প্রোগ্রামে (যে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে তারা হেইনজ ফেলোশিপ চান) ভর্তি হতে হবে। মাস্টার্সের বিষয় হবে পাবলিক হেলথ, আইন, পাবলিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স, শিক্ষা অথবা নার্সিং থেকে যেকোনো একটি। আবেদনকারীকে অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি ইংরেজি বলা, পড়া ও লেখায় দক্ষ হতে হবে। কর্মজীবনের প্রাথমিক বা মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে এমন আবেদনকারীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বর্তমানে কর্মরত অথবা পলিসি ডোমেইনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, এমন ব্যক্তিবিশেষের জন্য এই ফেলোশিপ দেওয়া হয়। মৌলিক একাডেমিক গবেষণা, একাডেমিক সাবাটিক্যাল বা চিকিৎসা গবেষণার জন্য এই ফেলোশিপ দেওয়া হয় না।
মাস্টার্সে আবেদনের সময় এই ফেলোশিপের কথা উল্লেখ করতে হয়। তবে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ক্ষেত্রে আবেদনের সময় ভিন্ন হতে পারে, শিক্ষার্থীকে নিজ বিষয়ের ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিতদের নাম মে মাসে প্রকাশ করা হবে।
আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
ভিকারুননিসার ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল
২০২৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের এক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাউশির পরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃক ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে আবার তা অনুসরণ না করে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী (প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত) শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাটা ছিল বিধি বহির্ভূত। এমতাবস্থায়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে বিধি বহির্ভূত ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের পূর্বে জন্মগ্রহণকারী ভর্তিকৃত, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রেরিত সংযুক্ত তালিকায় বর্ণিত ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন এবং ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী ১৫৯ জনসহ মোট ১৬৯ জন শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে জরুরিভিত্তিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী মাউশি থেকে নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার তারিখ জানা গেল
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহমদ জানিয়েছেন আগামী চার মাসের মধ্যে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এ জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষা আগামী মার্চ মাসের মাঝামাঝিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একটি বৈঠকের মাধ্যমে পরীক্ষার তারিখ নির্দিষ্ট করা হবে। এসএসসি পরীক্ষা শেষে মার্চের মাঝামাঝিতে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মণিষ চাকমা গণমাধ্যমকে জানান, তৃতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২২ মার্চ হতে পারে। শিগগিরই তারিখ চূড়ান্ত করে জানানো হবে।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জন্য গত ১৮ জুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদন শুরু হয়েছিল ২৪ জুন, আবেদনের শেষ সময় ৮ জুলাই। তবে এ দুই বিভাগে কতজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে।
প্রথম ধাপে বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে গত ৮ ডিসেম্বর তিন বিভাগের ১৮ জেলার এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৯ হাজার ৩৩৭ জন। এসব প্রার্থী পরে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন।
সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দ্বিতীয় ধাপে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে লিখিত পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ৩ বিভাগের ২২ জেলায় সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার এই এমসিকিউ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপের এমসিকিউ পরীক্ষার ফলাফল চলতি সপ্তাহে হতে পারে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এইচএসসি হবে দুইবার, পাল্টাচ্ছে এসএসসি পরীক্ষাও
এ বছরের জানুয়ারি থেকেই শুরু হয়েছে নতুন কারিকুলামে পাঠদান। নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির সিলেবাসে হবে এসএসসি পরীক্ষা। আর একাদশ ও দ্বাদশে দুইবার হবে এইচএসসি পরীক্ষা।
নতুন কারিকুলামে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কেমন হবে এখন সবার প্রশ্ন এটাই।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলছেন, নতুন কারিকুলামে এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির সিলেবাসের ভিত্তিতে, আর নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে।
তিনি বলেন, একাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় ৭০ শতাংশ এবং শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৩০ শতাংশ। একইভাবে দ্বাদশ শ্রেণির মূল্যায়নও করা হবে।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ে দুই শ্রেণি একসাথে পরীক্ষা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর পরীক্ষার বোঝা কমবে। নতুন কারিকুলামের মূল চিন্তা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা প্র্যাকটিকালি শিখবে। নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর মুখস্থ করার চাপ কমবে, পরীক্ষার বোঝাও কমবে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জানিয়েছেন, এসএসসি ও এইচএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি সহজতর করতে চেষ্টা করা হচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতিতে আসতে পারে সংস্কার।
প্রসঙ্গত, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী ২০২৬ সালের এসএসসি ও ২০২৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
রাবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য এবারও চলবে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াত সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা রুটে গত বছরের মতো এবারও বিশেষ ফ্লাইট চালাবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রাজশাহী জেলা ব্যবস্থাপক মহিদুল ইসলাম শান্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আমরা শিডিউলটি পাবলিশ করে দেব। এরপরই সেটি অনলাইনে পাওয়া যাবে।
মহিদুল ইসলাম শান্ত আরও জানান, গত বছর প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে বিমান বাংলাদেশ বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছিল। সোশ্যালি এবং কমার্শিয়ালি গতবার আমরা সাকসেসফুল হয়েছিলাম; বিমানও সেটি এপ্রিসিয়েট করেছিল। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায়ও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের যাতায়াতের বিষয়টি চিন্তা করে আগামী ৫, ৬, ৭ ও ৮ মার্চ বিমান বাংলাদেশ বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৫ মার্চ শুরু হচ্ছে। ৫ মার্চ ‘সি’ ইউনিট, ৬ মার্চ ‘এ’ ইউনিট এবং ৭ মার্চ ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের ন্যায় এ বছরও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গত বছরের মতো ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। এক ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১.২৫। প্রাথমিক ও চূড়ান্ত পর্যায়ে আবেদন শেষে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সর্বমোট একক ভর্তি পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০ জন।
বেইলি রোডের আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ শিক্ষক-শিক্ষার্থী
রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে লাগা ভয়াবহ আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন শিক্ষক ও ১২ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এতে একসঙ্গে ৭ বান্ধবীও রয়েছেন বলে জানা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন তারা। এছাড়া আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন ও লামিশা ইসলাম। নাহিয়ান আমিন বিশ্ববিদ্যালয়টির ইইই বিভাগের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আর লামিসা ইসলাম একই ব্যাচের মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষার্থী।
একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষিকা লুৎফুর নাহার করিম (৪৭) ও তার মেয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জান্নাতি তাজরিন (২৩)। এছাড়া আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন তুষার হাওলাদার নামে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংবাদিকতা বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতদের মধ্যে মো. নুরুল ইসলাম নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একজন শিক্ষার্থীও আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর সন্ধ্যাকালীন কোর্সে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। তদের মধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত না হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ছিল। এরপর তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও ছিল খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রেস্টুরেন্টগুলোতে ভিড় হয় ক্রেতাদের। অনেকগুলো গ্যাস সিলিন্ডার ছিল রেস্টুরেন্টগুলোতে। কিন্তু, অগ্নিনির্বাপনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না ভবনে। ফলে আগুনের তীব্রতাও ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।