আসছে অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষার সূচি
দেশে করোনা সংক্রমণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলে ২৩ মে কলেজ খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে ২০২০ সালের স্নাতক প্রথম ও তৃতীয় বর্ষ এবং ২০১৮ সালের মাস্টার্সের শেষ পর্বের পরীক্ষা নেবে। শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে চলতি মাসেই পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করবে।
বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ খোন্দাকার বলেন, অনার্স ও মাস্টার্সের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্ততি নিয়ে রাখবো। কলেজ খুললেই যেন পরীক্ষা শুরু করতে পারি।
সরকার লকডাউন ঘোষণা না করা পর্যন্ত চলমান স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের (বিশেষ) ও ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এফএ
মন্তব্য করুন
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু
রমজান, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে আজ (মঙ্গলবার) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শুরু হয়েছে।
ছুটির তালিকা অনুযায়ী, গত ১০ মার্চ থেকেই প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা প্রায় এক মাসের ছুটি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমানো হয়। আর রোজার প্রথম ১০ দিন প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্তে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করা হয়। পরে আপিল বিভাগ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছুটি সমন্বয় করে রোজায় ১৫ দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার পক্ষে রায় দেন। আর মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয় ১০ দিনে ছুটি কমানো হয়। সেই হিসেবে ২১ মার্চ পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু ছিল। ২২ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলোতে ২৫ মার্চ থেকে ছুটি শুরু হয়েছে। মাদরাসার ছুটি শুরু হয়েছে ২২ মার্চ থেকে।
শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ইঙ্গিত শিক্ষামন্ত্রীর
আগামী বছর থেকে সপ্তাহের শনিবারও স্কুল খোলা রাখার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামীতে সব মতের মানুষের বিশ্বাস ও চিন্তা-চেতনার প্রতি সম্মান রেখে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে মন্ত্রণালয়। রমজানের ছুটি সমন্বয় করতে আগামী বছর থেকে প্রয়োজনে সারা বছর শনিবার স্কুল খোলা রাখা যেতে পারে।
পবিত্র রমজান মাসে স্কুল খোলা থাকা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে, আমরা আগামীতে চেষ্টা করবো এই বিতর্ক এড়াতে। বছরে ৫২টি শনিবার আছে। এ দিনগুলোতে বিদ্যালয় খোলা রেখে রমজানের ক্ষেত্রে যে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চলছে তা বন্ধ করার চেষ্টা করবো। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো, যেন আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে এসে এ ধরনের অপচেষ্টা কেউ আর না করতে পারে।
প্রসঙ্গত, এ বছর রমজানে স্কুল ছুটির আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল মন্ত্রণালয়। রমজানের আগের দিন তারা আপিল করে বসে। পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। শুনানিতে স্কুল খোলা রাখার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা এ এম আমিন উদ্দিন।
এ সময় চেম্বার বিচারপতি প্রশ্ন রাখেন, এই কদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকলে কী এমন অসুবিধা হবে?
পরে উচ্চ আদালতের আদেশ স্থগিত না করে মঙ্গলবার (১২ মার্চ) আপিল বিভাগে শুনানির দিন ধার্য করা হয়, যেখানে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
‘১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে, কাউরে বলব না’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামকে চাকরি প্রদানের বিনিময়ে মিষ্টি খেতে দশ লাখ টাকার প্রস্তাব দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছেন মিথি নামের এক তরুণী।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে চাকরি প্রদানের অনুরোধ জানিয়ে প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন এবং পরবর্তীতে ওই বার্তাটি পাঠান তিনি। হোয়াটসঅ্যাপ আইডিতে তার নাম দেখা যায় মিথি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচএম আলী হাসান ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ক্ষুদেবার্তায় ওই তরুণী লিখেছেন, ‘স্যার ১০ লাখ মিষ্টি খেতে নেন স্যার, এটা আপনি আর আমি ছাড়া কেউ জানবে না ইনশাআল্লাহ, আমার সত্যিই ওখানে কেউ নেই, প্লিজ স্যার চাকরিটা খুব দরকার।’
জিডি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপাচার্যের মোবাইলে মিথি নামক এক অজ্ঞাত নারী উপাচার্যকে ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অনুরোধ করে মেসেজ পাঠান। এ ছাড়া মেয়েটি উপাচার্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলার জন্য জোরাজুরি করেন। উপাচার্য তার সঙ্গে কথা না বললে ওই মেয়ে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠায়। এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করলে উপাচার্যের মানহানি হবে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, উপাচার্য স্যারকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য এক চাকরিপ্রার্থী মেয়ে ১০ লাখ টাকা দিতে চাইছে। স্যারকে মেসেজ করে বলেছে। স্যারের নির্দেশনা অনুযায়ী থানায় জিডি করা হয়েছে। এ দিকে জিডিতে উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘সকালে ১১টার ফুল দিয়ে আসছিলাম তখন এক মহিলা কণ্ঠ আমাকে ফোন দিয়ে বললো, স্যার আমি আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমি পরিচয় চাইলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, স্যার আপনি কী একা? আমি আবার কল দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাকরির ব্যাপারে কথা বলব। আমার তো কুষ্টিয়াতে কেউ নাই। আমি কাউকে চিনি, জানিও না।’
তখন আমি তার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী না বলে কল কেটে দিলাম। তিনি আবার অনুরোধ করে বললেন, ‘প্লিজ একটা মিনিট একটু কথা বলেন। তারপর আমি কেটে দিলে একটা মেসেজ পাঠায় যে, ১০ লাখ টাকা নেন মিষ্টি খেতে। এটা আমি কাউরে বলব না। এখন দেখেতেছি সেই মেসেজটা ডিলেট করে দিয়েছে।’
ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার ধারণা এটা একটা চক্রের ষড়যন্ত্রের জাল ছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি জিডিটা করেছি এবং পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি যেন দ্রুত এটা খুঁজে বের করে।’
পরিবর্তন আসছে এসএসসিতে, নতুন নামে হতে পারে পরীক্ষা
নতুন কারিকুলামে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। যেখানে নতুন পদ্ধতিতে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে নতুন নামকরণের ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। তবে, এসএসসি পরীক্ষার নাম বদলে কী হবে, এখনও চূড়ান্ত হয়নি তা।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালে নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। সে হিসেবে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাই প্রথমবার নতুন কারিকুলামের এই ‘এসএসসি’ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এতদিন নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলেও নতুন পদ্ধতিতে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির ১০টি বিষয়ের ওপরই পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। এরমধ্যে একটি অংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই শিখনকালীন। বাকি আরেকটি অংশের মূল্যায়ন হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন।
সূত্রমতে, এখনকার মতোই কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ঠিক করে হবে এই পরীক্ষা। তবে, শিখনকালীন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন সমান গুরুত্ব পাবে।
এসএসসি পরীক্ষার নতুন নাম কী হবে, এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর পাবলিক পরীক্ষার নাম কী হবে, তা বলা যাবে।
এনসিটিবির খসড়া অনুযায়ী, দশম শ্রেণির পর যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, তাতে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এ পরীক্ষা। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। অর্থাৎ হাতে-কলমে শেখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশ বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে।
ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হলেন যারা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের কলা-আইন-সামাজিক বিজ্ঞান, বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও চারুকলা ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।
কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।
এবার বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসূল। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১১১.২৫। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১১০০৭৩৭। তিনি নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী।
চারুকলা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন মো. বাঁধন তালুকদার। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ৯৮.১৬। তার পরীক্ষার রোল নাম্বার ৫১০৬৩৮৯। তিনি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।
ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন অথৈ ধার। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৫.৫০। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৩২০৩৪৫১। তিনি চট্টগ্রাম গভ কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার, মানতে হবে যেসব সতর্কতা
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম দুই ধাপে ছয় বিভাগের ৪০ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের ২৪ জেলার ৪১৪টি কেন্দ্রে শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে তিন লাখ ৪৯ হাজার ৪৩৮ জন চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।
এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ১৮ জুন।
জানা গেছে, এদিন প্রার্থীকে অবশ্যই রঙিন প্রিন্ট করা প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে কেন্দ্রে আসতে হবে। কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ তালাবদ্ধ থাকবে এজন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে সতর্কীকরণ ঘণ্টা বাজিয়ে কেন্দ্রের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে তালাবদ্ধ করা হবে। এরপর কোনো প্রার্থীকে প্রবেশ বা বের হতে দেওয়া হবে না। দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া আর কাউকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বা বের হতেও দেওয়া হবে না।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা ঘড়িজাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক হাতঘড়ি বা যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কমিউনিকেটিভ ডিভাইস বা এ জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা বা সঙ্গে রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনো পরীক্ষার্থী এসব দ্রব্য সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিক তাকে বহিষ্কারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরীক্ষার কক্ষে নিজ আসনে কান খোলা রেখে বসতে হবে প্রার্থীদের। কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। তা নিশ্চিত করতে পরীক্ষা কেন্দ্রের ফটকে প্রার্থীদের দেহতল্লাশি করা হবে। নারী প্রার্থীদের নারী পুলিশ ও পুরুষ প্রার্থীদের পুরুষ পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন। প্রার্থীর কাছে কোনো ডিভাইস আছে কি না, তা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শনাক্ত করা হবে।
এদিকে পরীক্ষা ঘিরে শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার রয়েছে। কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারকচক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।
মুনিয়া খান ন্যাশনাল মেডিকেলে পড়েছেন কি না জানালেন অধ্যক্ষ
ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল থেকে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সম্প্রতি আলোচনায় আসা মুনিয়া খান রোজা নামে কেউ ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেননি বলে জানিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি নাগরিক টিভি ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুনিয়া খান রোজা নামক এক কথিত ডাক্তারের বক্তব্য প্রচারিত হয়েছে। বক্তব্যটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। কথিত ওই ডাক্তার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করেছেন মর্মে সাক্ষাৎকারে উল্লেখ করেছেন। প্রকৃত সত্য হলো মুনিয়া খান রোজা নামের কোনো ছাত্রী কখনোই ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করেননি।
এতে আরও বলা হয়, তার এ ধরনের মিথ্যা বক্তব্যের কারণে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিব্রতবোধ করছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য প্রচার কোনোভাবে কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবনের আইসিইউ থেকে মুনিয়া খান রোজা নামে এক তরুণীকে আটক করা হয়। ওই তরুণী ডাক্তারদের অ্যাপ্রোন পরে হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি করতেন বলে সেসময় জানানো হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে ওই তরুণী জেলও খাটেন।