• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বড় ডিগ্রি অর্জন করলেও বাস্তবে তা কাজে আসছে না: শিক্ষামন্ত্রী

আরটিভি নিউজ

  ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫৭
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

‘শিক্ষাটা কেমন যেন একটা নিরানন্দ ব্যাপার হয়ে গেছে। মনে হয় শিক্ষা মানেই একটা খুব কঠিন ব্যাপার। এর মধ্যে আমার মনে হয় আনন্দের আর কোনো জায়গা নাই। সারাদিন শিক্ষার্থী পড়ছে, তারপরে গৃহশিক্ষক, কোচিং সেন্টার, পরীক্ষার চাপ…। তাহলে খেলাধুলা করবার, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবার, পারিবারিক পরিসরে আনন্দময় পরিবেশ কোথায়? আমার কিন্তু সবগুলোই লাগবে একজন ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ হিসেবে।’

দীপু মনি বলেন, কাজেই আমরা আমাদের শিক্ষাকে আনন্দময় করতে চাই। শিক্ষার্থীর উপরে অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা সামাজিক চাপও কিন্তু আমাদের আছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের জ্ঞানার্জনের উৎস শুধুমাত্র যেন বই না হয়, বই আমাদের শুধু সহযোগিতা করবে। এর বাইরে অনেক কিছু পড়ে শেখা, অ্যাকটিভিটি বেইজড সেটি খুব জরুরি। বাস্তবতার সাথে দেখে শিখে পড়া, বাস্তবের সাথে যেন সম্পৃক্ততা বেশি হয়। বিজ্ঞান শিক্ষায় টুল কিটস আনতে পারি কিনা সেদিকে আমরা মনোযোগী হবো।

শিক্ষার লক্ষ্য অর্জনে শিক্ষকের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তাদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং তাদের সম্মানজনক জীবনের নিশ্চয়তা করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি যখন আমরা নিশ্চিত করতে পারবো তখন কিন্তু আমাদের সত্যিকারের শিক্ষা ব্যবস্থাকে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো। এসব লক্ষ্য অর্জনে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শিক্ষায় যতো অগ্রগতি তার সবকিছু বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা করে যাচ্ছেন। শুধু শিক্ষায় নয়, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পসহ অন্য খাতগুলোতেও আমরা সাফল্য দেখতে পাই।

সবাইকে শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার পর শিক্ষায় মান অর্জনের উপর গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে সব পর্যায়ের শিক্ষায় মানোন্নয়নের কথা বলেছি। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করতে কারিকুলামে ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ খুব জরুরি, আমরা সে বিষয়েও কাজ করছি। একই সঙ্গে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কোনো সরকারই সেভাবে শিক্ষায় গুরুত্ব দেননি। গত কয়েক বছরে শিক্ষার যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে তা তারই কন্যার কারণে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রাথমিকের বিষয়ে কোনো ফাইন এক দিনের বেশি আটকে রাখেননি। আমরা যা চেয়েছি তিনি দিয়েছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, আমরা বিভিন্ন সূচকে এগিয়ে যাচ্ছি। শিক্ষায় বড় ধরণের বিপ্লব সাধিত হয়েছে। সামনে ৩৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করতে যাচ্ছি। আমরা গুণগত শিক্ষা দিতে পারবো।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সাধারণ শিক্ষার মধ্যেও আমরা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে আসতে চাই। আমরা দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি করতে চাই। যাতে সবাই কর্মমুখী হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।

আরও পড়ুনঃ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: ইতিহাস ও বঞ্চনার এক মূর্ত সাক্ষী

স্কুল-কলেজে সব শিক্ষকের আসা বাধ্যতামূলক নয়

রাবিতে শিক্ষকদের ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে দুই পক্ষের বোঝাপড়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

জুরি বোর্ডের বিচারে এ বছর তিনজন ইবার বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পুরস্কার লাভ করেন। তারা হলেন- কালের কণ্ঠের শরিফুল আলম সুমন, ডেইলি সানের সোলাইমান সালমান এবং বণিক বার্তার সাইফ সুজন।

জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির হেড অব নিউজ আশিষ সৈকত, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক শরীফুজ্জামান পিন্টু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম বিন হারুন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, পুরস্কৃত করার মধ্য দিয়ে কাজের স্বীকৃতি এবং আরও ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে। পেশাদারিত্বের প্রতি অবিচল থেকে কাজ করবেন। তাহলেই সাংবাদিকতার উদ্দেশ্য পূরণ হবে।

ইরাব সভাপতি সাব্বির নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সুমনের সঞ্চালনায় বিদায়ী সভাপতি মুসতাক আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, ইউজিসিসহ শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh