• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

প্রিয়ভাষিণীকে শহীদ মিনারে নেয়া হবে বৃহস্পতিবার

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৫:১৬
ছবি : সংগৃহীত

মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ আগামী ৮ মার্চ বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আরটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ।

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কারু তিতাস আরটিভি অনলাইনকে জানান, তার ছোট ভাই কাজী শাকের তূর্য বিদেশে রয়েছেন। আগামীকাল বুধবার দেশে ফিরবেনতিনি। এজন্য মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। তার ছেলে কারু তিতাস জানান, ‘গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে। অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।’

দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন ৭০ বছর বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা। উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন খ্যাতনামা এই মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর। এছাড়া ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।

ল্যাবএইড হাসপাতালের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (কর্পোরেট কমিউনিকেশন) সাইফুর রহমান লেনিন গণমাধ্যমকে জানান, ‘কার্ডিয়াক অ্যাটাকে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী মারা গেছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কিডনি জটিলতা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। হঠাৎ আজ (মঙ্গলবার) তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় বেলা ১২টায় তাকে সিসিইউতে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।’

ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায়। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত হন।

স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পান। তার আত্মজীবনীগ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায়।

আরও পড়ুন:

পিআর/কেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিল্প-সাহিত্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh