না ফেরার দেশে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী
না ফেরার দেশে চলে গেলেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার ছেলে কারু তিতাস আরটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
অনেকদিন থেকেই উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন খ্যাতনামা এই মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর । তার রক্তে পটাসিয়াম ও হিমোগ্লোবিন একেবারেই কম বলে জানিয়েছিলেন ল্যাব এইডের চিকিৎসকরা। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন বলে জানান কারু তিতাস।
বেশ কিছুদিন ধরেই ল্যাবএইড হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাকে স্থানান্তর করা হয়।
সেখান থেকে আবার তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গত কিছুদিন ধরে ল্যাবএইড হাসপাতালেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায়। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত হন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়। ২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পান।
তার আত্মজীবনীগ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায়।
আরও পড়ুন:
পিআর/কেএইচ
মন্তব্য করুন