জোবায়ের মিলনের প্রেমের দুটি কবিতা
তোমারে স্মরণে আসলে
তোমারে স্মরণে আসলে
বুকটা আসমান হইয়া যায়
আসমানে ঘোরে শূন্য হাওয়া-হু হু বাতাস
লিলুয়া বাতাস মতো তাপের ঝাপটা, হঠাৎ হঠাৎ
চোখের ভেতর ঘোরে, ফেলে আসা, শত শত গান
সব ফেলে আসায় যায়-না ফেরা
না ফেরার যন্ত্রণা জানে গারদ ঘরের লোক
তোমারে স্মরণে আসে, মাঝে মাঝে,
প্রায়ই;
তোমার মতন এক অন্য ছবি শুশ্রূষা বিলায়
ঘুম পারাতে চায়, ব্যর্থ চেষ্টা
তার ভেতরে তোমার মতন মুখ নাই, আছে।
সব ফেলেফুলে গাঢ় রাত হয়ে গেলে
কর্নিয়া যুগল দ্যাখে ঝাপসা আঁধার
বালিসের, লেপের, কভারের সাথে মেশে শিশির ফোঁটা
কখন সেই জলে থৈ থৈ করে বিছানা, ঘর জানি না
খালি টের পাই ধ্বংসস্তুপের ভেতর দিয়ে
সমকাল পাড়ি দিচ্ছে আমার স্বত্ত্বা
[দুই]
সিগারেটের ধোঁয়ায় তোমাকে আঁকি
সিগারেটের ধোঁয়ায় তোমাকে আঁকি
ধরো, রোজ এক প্যাকেট বা ততোর্ধ্ব
বিশ বা চল্লিশ শলাকায়,
কবরের মতো যে নিস্তব্ধতা
ঘুমের মতো যে মগ্নতা
তার দেয়ালে দেয়ালে তোমাকে আঁকি
অচিন পুরুষ তোমাকে পকেটে নিয়ে
বিচরণ করে অলিগলি,
ধূমপানে যার নেই অভ্যাস
আগুনহীন শলাকা সে আঙুলের ভাঁজে পুরে
ঘোরে শহর
চ্যাপ্টাকৃতি মুখ নিয়ে তুমি কেবল তাতে ঝুলে থাক!
তোমাকে নিয়ে প্রদর্শিত হয় চিত্রকলা
গুহায় গুহায় রচিত হয় দেয়ালচিত্র
পয়ারের পর পয়ার অঙ্কিত হয় বহুমাত্রিকতায়
শিল্পকর্মের শৌকর্যে স্মরণ করা হয় তোমাকে
তুমি তার কিছুই জানো না...জানবেও না
গর্জনরহিত বাঘের কবলে বন্দী হয়ে পড়ে
যে হরিণী- তার না আছে জন্ম, না আছে মৃত্যু!
তোমার মতো অভাগিনী, জন্মে আর জন্মাবে না
দ্বিতীয়টি
মন্তব্য করুন