সাততলা বস্তির আগুনের কারণ জানালেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক
রাজধানীর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সম্ভব্য কারণ জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর আজ সোমবার (৭ জুন) সকালে ঘটনাস্থলে এ বিষয়ে ব্রিফিং করেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘আগুন ছড়িয়ে পড়ার সব উপাদানই এই বস্তিতে ছিলো। এই বস্তি সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখানে অবৈধ গ্যাস ও বিদুৎ সংযোগও রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- গ্যাস বা বিদুৎ সংযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বস্তির ঘর-বাড়ি বাঁশ ও কাঠের কাঠামোতে তৈরি করা হয়েছে। ফলে আগুন সহজেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। দক্ষিণা বাতাসের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে ঘটনার পর খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে এসেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’
-
আরও পড়ুন... কনডম ব্যবহারে আগ্রহ নেই ৯৭% নারী ও ৮৭% পুরুষের
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার পর বস্তি এলাকা পরিদর্শন করেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন। এ সময় তিনি বস্তিবাসীর সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয় জানার চেষ্টা করেন।
জানা গেছে, সোমবার (৭ জুন) ভোররাত ৪টার দিকে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে পুরো বস্তিতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সোমবার সকাল আনুমানিক ৭ টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বস্তির শত শত ঘর পুড়ে ছাই হওয়া তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। নির্দিষ্টভাবে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে তদন্ত করার পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়া যাবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হোসেন জানান, ভোর ৩টা ৫৯ মিনিটে মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। প্রথমে সেখানে ৪টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ১৪টি ইউনিট সেখানে যোগ দেয়। এছাড়া পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তা করে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
কেএফ
মন্তব্য করুন