• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইবি ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদকের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, আরটিভি অনলাইন

  ১৬ জুন ২০২০, ০৯:৩১
expulsion order of EB Student Union,General Secretary,
ছবি সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি. কে সাদিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংসদের কেন্দ্রীয় নেতারা। একইসঙ্গে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির বিভিন্ন সংসদের নেতা-কর্মীরা।

গতকাল সোমবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল ও সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের যৌক্তিক সমালোচনা করলেই কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে ভয় ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। এরই ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক জি.কে সাদিককে অভিযুক্ত করে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা অনতিবিলম্বে এই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।

কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সরকারবিরোধী লেখা লেখায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিককে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ঢাকা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম পবন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ফ্যাসিবাদের দোসর হইছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আসলে কিসে নির্ধারণ হবে? অবিলম্বে সাদিকের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিককে ফেসবুকে এবং পত্রিকায় লেখালেখি করার অপরাধে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন নীতিতে লেখা আছে যে একজন শিক্ষার্থী পত্র-পত্রিকায় রাজনৈতিক লেখালেখি করতে পারবে না?

তারা আরও বলেন, বর্তমান পরিপ্রক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বৈরাচারী কার্যক্রম চালাচ্ছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়টাকে দাস তৈরির কারখানা বানিয়ে রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গেল শনিবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম মৃত্যুবরণ করার আগে ও পরে সাদিকুল ইসলাম তার ফেসবুক আইডি থেকে কয়েকটি স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নজরে আসলে ওই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের দাবি জানান।

এ ঘটনায় সাদিককে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আগামী সাত দিনের মধ্যে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।। জি.কে সাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইবিতে বিবস্ত্র করে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি, আবেদন করবেন যেভাবে
সোমবার কোথায় কখন গ্যাস থাকবে না
জাবির ডিন নির্বাচন ১৫ মে
X
Fresh