• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

১৭ মার্চের পর অনলাইন গণমাধ্যমগুলোর প্রথম ধাপের রেজিস্ট্রেশন: তথ্যমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৪ মার্চ ২০২০, ১৫:৫০
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

রেজিস্ট্রেশন আহ্বান করা হয়েছে অনলাইন ও অনলাইন টিভির। ১০০টির মতো অনলাইনের গোয়েন্দা প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। প্রতিষ্ঠিত অনলাইনের রেজেস্ট্রিশন প্রথম ধাপে দেওয়া হবে ১৭ মার্চের পর। রেজিস্ট্রেশন হলে শৃংখলা ফিরে আসবে। বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (০৪ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাবেক মহাপরিচালক প্রয়াত শাহ আলমগীরকে নিয়ে ‘স্বপ্নের সারথি শাহ আলমগীর’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত মানুষ বাড়ছে। পৃথিবীতে প্রায় পৌনে ৮শ কোটি মানুষ। কিন্তু ভালো মানুষের সংখ্যা বাড়ছে না। এখন মানুষ আত্মকেন্দ্রীক বেশি। সারা পৃথিবীতে মানুষ অদ্ভুত প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত। তার মধ্যেও কিছু মানুষ আশার আলো দেখায়। প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) সাবেক মহাপরিচালক প্রয়াত শাহ আলমগীর তেমনই ভালো লোক ছিলেন। সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে তার মতো লোক প্রয়োজন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে, এটাই বাস্তবতা। শাহ আলমগীরও চলে গেছেন। তিনি উঁচু মাপের সাংবাদিক ও মানুষ ছিলেন। পিআইবির অত্যন্ত দক্ষ মহাপরিচালক ছিলেন। অনেক প্রকল্প তিনি নিয়েছেন, পিআইবিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। তিনি ছিলেন নির্লোভ নিরহংকার মানুষ, তার কারও সঙ্গে ঝামেলা নেই। এমন মানুষ যুগে যুগে খুব কমই আসে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজ সংবাদপত্রের বিকাশ ঘটেছে। সেই সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জও যুক্ত হয়েছে। প্রতিযোগিতার কারণে সংবাদ পরিবেশন, ল ও গুণগত মান নষ্ট হয়। অনলাইনে সেটা বেশি হচ্ছে। ফলে অনেক সময় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা হয় না। এজন্য কর্মশালা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। যেন কেউ কোনো অনলাইনের নিয়োগ নিয়ে পরিচয় দিয়ে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে, এটাও দেখার প্রয়োজন।

পত্রিকার প্রচার সংখ্যায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ অবস্থার উত্তরণ দরকার। প্রচার সংখ্যা নিয়ে যে অবস্থা, তাতে দেখা যায়, অনেক অখ্যাত পত্রিকাও প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার চেয়ে বেশি সার্কুলেশন। এ অবস্থার পরিবর্তন দরকার।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতি নাগরিক হিসেবে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছু রিপোর্টার খুব ভালো প্রতিবেদন করেন। যাদের লেখনীতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমি অনেক সময় ফোন করেও তাদের খোঁজ নেই।

রিপোর্টিংয়ের গুণগত মান বাড়ানো সবার সম্মিলিত দায়িত্ব মন্তব্য করে বলেন, গণমাধ্যম যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, সরকার সেই কাজ করছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান ও জেষ্ঠ্য সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও মরহুম সাংবাদিক শাহ আলমগীরের স্ত্রী মায়া প্রমুখ।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh