• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ইট সরিয়ে গ্রিল বাকা করে বের হই

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৯ জানুয়ারি ২০১৭, ২২:০০

'ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলাম, সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে হঠাৎ অ্যার্লাম বাজে কর্মরত সবাই ভবন থেকে বাইরে বের হতে যায়। তখন ফ্যাক্টরির ম্যানেজার আবদুর রাজ্জাক, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিনসহ অন্যারা বলে যে, কিছু হয় নাই তোরা কাজ কর'। আদালতে এভাবেই সাক্ষ্য দিলেন তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডের সাবেক কোয়ালিটি সুপারভাইজার মো. রাকিব হোসেন।

রোববার ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম সাইফুল ইসলামের আদালতে তিনি একথা বলেন।

তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। বর্তমানে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

রকিব বলেন, 'তারপর আমরা কাজে যায়, কিছুক্ষণ পর বাঁচাও বাঁচাও শব্দ শুনতে পাই। বেরোতে গিয়ে দেখি গেইট লকড, গেইটে ধোয়া দেখতে পাই। তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।'

সাক্ষী আরো বলেন, 'আমরা ২০/২৫ জন মিলে স্যাম্পল রুমে ধাক্কাধাক্কি করে জানালার ইট সরিয়ে গ্রিল বাকা করে বের হয়ে বাঁশ দিয়ে পাশের ভবনের ছাদে যাই এবং সিড়ি দিয়ে নেমে যাই। যারা আমাদেরকে ঘটনার দিন বের হতে বাধা দেয় তারা আজকে আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত আছেন।'

সাক্ষীর জনানবন্দি শেষে তাকে জেরা করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট টি এম আকবর ও ফারুক আহমেদ।

২৬ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন আদালত। চার্জশিটের ১০৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

মামলার ১৩ আসামির মধ্যে দুলাল উদ্দিনসহ দুইজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার বাকি আসামিরা হলেন- তাজরীন ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, এডমিন অফিসার দুলাল উদ্দিন, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন, লোডার শামীম মিয়া প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, ফ্যাক্টরি ম্যানেজার আবদুর রাজ্জাক ও প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরের তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১১২ জন নিহত হন। আহত ও দগ্ধ হন আরও দুই শতাধিক শ্রমিক।

এসজে/

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh