• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আমিরাতে জনতা ব্যাংকগুলোতে ২১ শতাংশ ঋণ খেলাপি

মাহাবুব হাসান হৃদয়, ইউএই প্রতিনিধি

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:৩৯
জনতা ব্যাংক, ঋণ খেলাপি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
ছবি: নিজস্ব

বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমানে আমিরাতে জনতা ব্যাংকগুলোতে ২১ শতাংশ ঋণ খেলাপি রয়েছে এবং তা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির বিপরীত।

তিনি বলেন, ইউএই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী একটি ব্যাংকে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত খেলাপি ঋণ থাকতে পারে। তবে জনতা ব্যাংক সেই সীমারেখা অতিক্রম করেছে। আরব আমিরাতস্থ জনতা ব্যাংকের চারটি শাখায় ১৬১ জন ঋণখেলাপির নামের তালিকা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার জনতা ব্যাংক ইউএই ও বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাত আয়োজিত প্রবাসীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম এ কথা বলেন। এসময় তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আমিরাতে জনতা ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন, তারা তা দ্রুত সমাধান না করলে কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

সিনিয়র সচিব বলেন, ইউএই’তে আরও বিদেশি ব্যাংক আছে, তাদের খেলাপি ঋণ খুবই কম। আপনাদের মনে রাখা উচিত এই ব্যাংকটি দেশের বাইরে। এখানে ইউএই’র নীতি নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হবে। এতসংখক ঋণ খেলাপি আমাদের জন্য দুঃখজনক। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এক সময় ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবার ঝুঁকি থাকে। তাই এক্ষেত্রে কেউ যদি মনে করেন ঋণ নিয়ে পালিয়ে থাকবেন সেটা ভুল।

তিনি বলেন, এই টাকা দেশের টাকা, জনগণের টাকা। এই টাকা আত্মসাৎ করার কোনও পথ নেই। অনতিবিলম্বে জনতা ব্যাংকের শাখাগুলোতে যোগাযোগ করে এই ঋণ খেলাপি থেকে মুক্তির পথ বেছে নেবার আহ্বানও জানান তিনি। অন্যথায় দূতাবাস বা কন্স্যুলেটের সহয়তায় তাদের পাসপোর্ট জব্দ করা হবে।

মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম আরও বলেন, সরকার যে ২ শতাংশ প্রণোদনার কথা বলেছেন তা চলতি বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হবে এবং অচিরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ফলে বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি সিঙ্গাপুর ও হংকংকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৯ শতাংশে অবস্থান করছে এবং পরবর্তী কয়েক বছরে প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পাবে। এই অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সকলকে বৈধ পথে রেমিটেন্সও পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সভাপতিত্বে ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলার কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় এই অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান। কনস্যুলেটের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী-কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশে সংকট বাড়বে জনতা ব্যাংকের
ঋণ খেলাপি প্রার্থী শনাক্তে তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জনতা ব্যাংকের ভল্ট থেকে উধাও ৫ কোটি টাকা, গ্রেপ্তার ৩
X
Fresh