• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নারী প্রাধ্যক্ষের বাসা থেকে ভাগ্যক্রমে ধর্ষণ থেকে রক্ষা শিক্ষার্থীর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:৩০
প্রাধ্যক্ষ, রাজশাহী, ধর্ষণ

২৪ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ বিথীকা বণিকের ধরমপুর এলাকার যোজক টাওয়ারে প্রতিদিনের মতো পড়াতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এ সময় বিথীকা বণিক বাসায় ছিলেন না। এই সুযোগে তার ভাই শ্যামল বণিক ওই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে শ্লীলতাহানি করে। পরে ওই শিক্ষার্থী ৯৯৯ এ কল দিয়ে কোনোরকমে রক্ষা পান। পরে পুলিশ এসে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শ্যামল বণিককে গ্রেপ্তার করে। তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে অধ্যাপক বিথীকা বণিকের দাবি, আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। ঘটনার দিন রাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি হলে চলে আসি। বাসায় কি হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই জানি না।

এদিকে বিথীকা বণিকের ভাই শ্যামল বণিকের শাস্তি নিশ্চিতসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি থেকে অধ্যাপক বিথীকা বণিককে প্রাধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান।

দাবিগুলো হলো, অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত, বিথিকা বণিককে প্রাথমিক স্টেটমেন্ট, মেয়েটির পরিবারকে কোনও প্রকার চাপ না দেওয়া, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তার পদত্যাগ, কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছে তার ক্ষমা চাওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া, প্রতিটি হল ও বিভাগে ধর্ষণবিরোধী সেল গঠন এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আগামী রোববারের মধ্যে যদি অধ্যাপক বিথীকা বণিককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না দেওয়া হয় তাহলে কঠোর আন্দোলনে যাবে শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে বিক্ষোভ মিছিল করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, তোমরা যে দাবি করেছো তা আমি দেখেছি। তোমাদের সেই দাবিগুলো যৌক্তিক মনে হয়েছে। আর এ ঘটনার সঠিক বিচার করা হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টার মধ্যে অধ্যাপক বিথীকা বণিকের হল প্রাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ দাবি করলে উপাচার্য বলেন, দুই ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ দেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা প্রক্রিয়া আছে। সেই নিয়মানুসারে কাজ করা হবে। এজন্য দুই-তিন দিন সময় দিতে হবে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা না মানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, তোমাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হলো। কিন্তু এজন্য একটু সময় দিতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীরা এ দাবি মেনে নেন।

আন্দোলনরত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী এস এম তমাল বলেন, আমাদের এক শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। ওই মেয়ে সেই রাতে বিথীকা বণিকের বাড়িতেই ছিল। একটা মেয়ে যখন তার বাসাতেই নিরাপদ নয়, তাহলে হলের এতোগুলো মেয়ের নিরাপত্তা তিনি কিভাবে দেবেন? তাই আমরা অবিলম্বে বিথীকা বণিকের পদত্যাগ চাই।

জেবি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মান বাঁচাতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন রাজনৈতিক কর্মী
ধর্ষণ মামলা : আ.লীগ থেকে বড় মনিরকে অব্যাহতি
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চীনের নানজিং ইউনিভার্সিটিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপন
স্কুলছাত্রীকে তিন দিন আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
X
Fresh