• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo

তাকওয়া অর্জনে রোজাদারদের প্রতিদিন যে কাজগুলো করত হবে

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৯ মে ২০১৯, ১৬:৪৮

রমজান মাসে আল্লাহ তাআলা মানুষের সর্বোত্তম জীবন বিধান কুরআনুল কারিম নাজিল করেছেন। আর কুরআনের শিক্ষা গ্রহণের অন্যতম প্রশিক্ষণ মাস হলো রমজান।

এ মাসে রোজাদারের জন্য অনেক কাজ থেকে বিরত থাকা থাকার নির্দেশনা রয়েছে। আবার এমন কিছু আমল বা কাজ আছে যা পরিমাণে কিংবা সময়ে অল্প হলেও তা করা অত্যন্ত জরুরি। আর তাহলো-

কুরআন তেলাওয়াত

অল্প সময় কিংবা অল্প পরিমাণে হলেও পবিত্র কুরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা। কুরআন তেলাওয়াতের সময় অবশ্যই তা বিশুদ্ধভাবে তারতিলের সঙ্গে তেলাওয়াত করা। জামাআতে নামাজ পড়া

প্রতিদিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাআতের সঙ্গে আদায় করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। যদিও সবসময়ই জামাআতে নামাজ আদায় করা গুরুত্বপূর্ণ।

তারাবিহ পড়া

তারাবিহ নামাজ নিয়মিত আদায় করা। এ নামাজের প্রসঙ্গে রাসুলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে রমজানের রাতের (তারাবিহ) নামাজ পড়বে, তার আগের জীবনের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।

রাত জেগে ইবাদত

তারাবিহ নামাজ যদিও গভীর রাতের লম্বা ক্বেরাতের ইবাদত। কিন্তু তা বিভিন্ন কারণে গভীর রাতে কিংবা দীর্ঘ সময়ে আদায় করা হয় না। তাই একাকি হলেও রমজানজুড়ে রাত জাগরণ করে জিকির-আজকার, নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত ও তাওবা-ইসতেগফারে রাত অতিবাহিত করা।

কম ঘুমানোর চেষ্টা করা

রমজানের ফজিলত লাভে রমজান জুড়ে কম ঘুমানোর চেষ্টা করা। আর রমজানের অন্যতম ৩টি শিক্ষার একটি হলো কম ঘুম। বছরব্যাপী এ অভ্যাস তৈরিতে রমজানের বিকল্প নেই।

ইফতার করানো

প্রতিদিন সাধ্য মোতাবেক কাউকে ইফতার করানো। রমজানে অন্যকে ইফতার করানোর ফজিলত ও সাওয়াব অনেক বেশি। রোজাদারকে ইফতার করালে তার প্রতিদান আল্লাহ তাআলা নিজের পক্ষ থেকে প্রদান করবেন, রোজাদারের পক্ষ থেকে নয়। এ কারণেই রোজাদারের কোনো নেকি হ্রাস করা হবে না। এটা বান্দার প্রতি মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ।

নারীদের কাজে সহযোগিতা করা

রমজানে রোজা নারী-পুরুষ সবার জন্যই ফরজ। তাই ঘরের রান্নাবান্নার কাজে নারীদের সহযোগিতা করা। আর এটি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতও বটে।

সাহরির সময় প্রতিবেশিকে জাগিয়ে দেয়া

রমজানে রাত জেগে ইবাদতের কারণে অনেকে ঘুম থেকে সাহরি খেতে ওঠতে পারে না। তাই আগে ওঠলে সাহরির সময় বাড়ির লোকদের কিংবা প্রতিবেশিদের জাগিয়ে দেয়া। মন্দ ত্যাগ করে ভালো অভ্যাস গঠন করা

রমজান মাস ব্যাপী অন্যকে গালিগালাজ কিংবা সমালাচনা বন্ধ করে দেয়া। হিংসা-বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে দূরে থাকা। অধীনস্ত কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রী, সন্তান-সন্ততি কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি সদয় হওয়া। নিজেদের মধ্যে ক্ষমার অভ্যাস গড়ে তোলা।

গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা

রমজানের নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে সব ধরনের গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা। যারা কবিরা গোনাহে অভ্যস্ত কিংবা যে কোনো গোনাহে অভ্যস্ত তারা সব ধরনের গোনাহ থেকে নিজেদের বিরত রাখা জরুরি।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ
রমজান মাসে ৪ বিশেষ আমল
সেহরিতে মসজিদের মাইকে অনবরত ডাকাডাকি, যা বললেন আহমাদুল্লাহ 
সময় বাড়ায় মেট্রোরেলে স্বস্তি, রাতেও যাত্রীর চাপ
X
Fresh