• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

মানুষকে বিপদগ্রস্ত করতে রাগ হচ্ছে শয়তানের জঘন্যতম অস্ত্র

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৩৬
ফাইল ছবি

প্রবাদ আছে, ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’-এতো দুনিয়ার কথা। মানুষকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য রাগ বা ক্রোধ হচ্ছে শয়তানের জঘন্যতম অস্ত্র। রাগের বশবর্তী হয়ে মানুষ বিপদ বা ক্ষতির দিকে ধাবিত হয়।

মুমিন বান্দার অন্যতম গুণ হলো রাগ বা ক্রোধ থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। রাগ বা ক্রোধ দমনে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক যেসব কাজ করা জরুরি-

  • আল্লাহ তাআলা মানুষকে রাগ দমনে সতর্কতা অবলম্বনের উপদেশ প্রদান করেছেন। রাগ দমনকে মুত্তাকিদের গুণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘এবং যারা অন্যায় ও পাপকর্ম থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে এবং যখন তারা রাগান্বিত হয় তখন তারা আত্মসংবরণ (ক্ষমা) করে।’ (সুরা আশ-শুরা : আয়াত ৩৭)
  • প্রবল রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম উপায় হলো তাকওয়া ও পরহেজগারিতা অবলম্বন করা। কেননা আল্লাহ তাআলাই কুরআনে পাকে তাকওয়া ও পরহেজগারিকে রাগ দমনের অন্যতম উপায় হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-‘আর তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে মাগফেরাত ও জান্নাতের দিকে দ্রুত অগ্রসর হও এবং সেই জান্নাতের দিকে অগ্রসর হও, যার পিরিধি আসমানসমূহ ও জমিনে বিস্তৃত। যা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা সুসময়ে ও দুঃসময়ে ব্যয় করে এবং রাগ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে দেয়। আর আল্লাহ নেক বান্দাদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৩-১৩৪)
  • অভিশপ্ত শয়তানই মানুষের অন্তরে ক্রোধের আগুন জালিয়ে দেয়। কাজেই ক্রোধের আগুন থেকে বাঁচার অন্যতম কার্যকর পন্থা হচ্ছে আল্লাহর জিকির করা। যাতে শয়তানের প্ররোচনা হতে নিরাপদ থাকা যায়। তাই বেশি বেশি ইসতেগফার করা-‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়িল আজিম।’
  • ‘রাগ বা ক্রোধ হচ্ছে অগ্নি স্ফুলিঙ্গের ন্যায়, যা মানুষের মন ও মানসিকতার ওপর (নেতিবাচক) প্রভাব ফেলে। ফলে ক্রোধান্বিত ব্যক্তির চোখ রক্ত বর্ণ হয়ে যায়। কাজেই যদি কারও মধ্যে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়, তবে তার উচিত সেজদাবনত হওয়া। নিঃসন্দেহে যে ব্যক্তি ক্রোধান্বিত অবস্থায় সেজদাবনত হবে, আল্লাহ তাকে শয়তানের প্রজ্বলিত আগুন থেকে রক্ষা করবেন আর তার অন্তরে প্রশান্তির সৃষ্টি হবে।রাগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘রাগ বা ক্রোধ শয়তানের তরফ থেকে আসে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুনকে পানি দ্বারা ঠান্ডা করা হয়। তাই যদি কারো রাগ বা ক্রোধ হয় তবে তার উচিত ওজু করে নেয়া।’ (আবু দাউদ ও মিশকাত)

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রোজার মূল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন
X
Fresh