• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শবে বরাতের ইবাদত ও ফজিলত

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২১ এপ্রিল ২০১৯, ২১:৫৩

হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত অনেক তাৎপর্যবহ ও গুরুত্বপূর্ণ। এ রাতকে ‘শবে বরাত’ বলা হয়। ‘শবে বরাত’ ফার্সি ভাষার দুইটি শব্দ। ফার্সিতে ‘শব’ মানে রাত আর ‘বরাত’ মানে মুক্তি।

বিভিন্ন হাদিসে শবে বরাত আলোচনায় এসেছে। যেমন- ‘লাইলাতুল কিসমাহ’ বা ভাগ্যরজনী, ‘লাইলাতুল আফউ’ বা ক্ষমার রাত, ‘লাইলাতুত তাওবাহ’ বা তাওবার রাত, ‘লাইলাতুল ইৎক’ তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত, ‘লাইলাতুত দোয়া’ বা প্রার্থনার রাত।

শবে বরাতের ফজিলত, সওয়াব ও কল্যাণ সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মধ্য শাবানের রাতে—অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষী লোক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস নং : ৫৬৬৫, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং : ৬৬২৮)

শবে বরাত অনেক ফজিলত ও বরকতপূর্ণ। কিন্তু কিছু লোক এ রাতের ফজিলত ও বরকত থেকে বঞ্চিত থাকে। এ পবিত্র রাতে কয়েক শ্রেণির লোকের জন্য দয়া ও ক্ষমার দরজা বন্ধ থাকে।

এক. মুশরিক (যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করে)।

দুই. হিংসা-বিদ্বেষপোষণকারী। তিন. ডাকাত। চার. মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান। পাঁচ. অন্যায়ভাবে হত্যাকারী। ছয়. জিনা-ব্যভিচারকারী। সাত. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী। আট. টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী। নয়. মদপানে অভ্যস্ত ব্যক্তি। (শুআবুল ঈমান, হাদিস নং : ৩৫৪৪)

শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস শরিফে এসেছে, ‘এমন পাঁচটি রাত রয়েছে, যেগুলোতে আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া ফিরিয়ে দেন না। সে রাতগুলো হলো, জুমার রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের ১৫ তারিখের রাত, দুই ঈদের রাত।’ (সুনানে বায়হাকি, হাদিস নং : ৬০৮৭, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং : ৩৪৪০, মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস নং : ৭৯২৭)

আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, “রাসুল (সা.) মধ্য শাবানের রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’-তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তেগফার করতেন।” তিনি বলেন, ‘এ রাতে মহান আল্লাহ বনি কালবের বকরির পশমের সংখ্যার চেয়েও বেশিসংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস নং: ৭৩৯, ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ১৩৭৯)

তবে শবে বরাতের নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত-বন্দেগি ও আমল নেই। তবে এ আমলগুলো করা যায়—এশা ও ফজর নামাজ ওয়াক্তমতো জামাতের সঙ্গে আদায় করা, যথাসম্ভব নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা, সম্ভব হলে অতীত জীবনের কাজা নামাজ ও সালাতুত তাসবিহ আদায় করা। পবিত্র কোরআন বেশি বেশি তিলাওয়াত করা, বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা, বেশি করে দোয়া করা, মাঝে মাঝে শবেবরাতে কবর জিয়ারত করা, পরের দিন রোজা রাখা। প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হাফেজ ইবনে রজব (রহ.) বলেন, ‘এ রাতে জিকির ও দোয়ার জন্য পুরোপুরি অবসর হবে। প্রথমে খাঁটি মনে তাওবা করবে। এরপর মাগফিরাত ও ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আপদ-বিপদ দূর হওয়ার জন্য দোয়া করবে ও নফল নামাজ পড়বে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ : ১/১৩৮)

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রমজান শুরুর তারিখ জানা যাবে সোমবার
আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শবেবরাতে যে চার আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ
পবিত্র শবেবরাত আজ
X
Fresh