গুগল কর্মীর স্কাইডাইভ রেকর্ডের ডকুমেন্টারি নেটফ্লিক্সে
অস্ট্রিয়ার ফেলিক্স বমগার্টনারের রেকর্ড ভেঙে ২০১৪ সালে স্কাইডাইভে নতুন রেকর্ড গড়েছিলেন গুগলের সাবেক ইঞ্জিনিয়ার অ্যালান ইউস্টেস। তিনি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯০ ফুট (৪০ কিলোমিটার/২৫ মাইল) উঁচু থেকে লাফ দিয়ে এই রেকর্ড করেন।
সম্প্রতি তার রেকর্ড সংক্রান্ত একটি ডকুমেন্টারি প্রকাশ করা হয়েছে নেটফ্লিক্সে। এই ভিডিওটি ২০১৬ সালে তৈরি করা হয় যার নাম ‘ফোরটিন মিনিটস ফ্রম আর্থ’। এতে দেখানো হয়েছে, ইউস্টেস কিভাবে এই রেকর্ড গড়েছেন।
মূলত প্যারাগন স্পেস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ওজনস্তর পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে ইউস্টেস এই রেকর্ড গড়েন। এজন্য তাকে এক বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট কাজে গবেষণা করতে হয়েছে।
২০১৪ সালে মেক্সিকোর রসওয়েল এলাকা থেকে একটি হিলিয়াম গ্যাসভর্তি বেলুনে চড়ে স্ট্র্যাটোসফেয়ারের (ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী শূন্যস্থান) উদ্দেশে রওনা হন ইউস্টেস।
দুই ঘণ্টা ৯ মিনিটে তিনি মহাশূন্যের নিকটবর্তী ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯০ ফুট উচ্চতায় ওঠেন। পরবর্তীতে বিশেষভাবে তৈরি করা পোশাক পরিহিত অবস্থায় ৫৭ বছর বয়সী ইউস্টেস লাফ দেন। এই পোশাকটি অতিরিক্ত গরম এবং অতিরিক্ত ঠাণ্ডা দুটোকেই মানিয়ে নিতে সক্ষম।
লাফ দেয়ার পর ইউস্টেসের পতনের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় প্রায় ১৩২০ কিলোমিটার। অবশ্য আগের রেকর্ডের অধিকারী বমগার্টনারের গতি ছিল আরও বেশি। তিনি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ প্রায় ১৩৪০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসেন।
ইউস্টেন ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি এসে শরীরে বাঁধা প্যারাস্যুট খুলে দেন। লাফ দেওয়ার পর থেকে প্যারাস্যুট খোলার আগ পর্যন্ত তিনি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৪ ফুট পথ অতিক্রম করেন। এই পথ পাড়ি দিতে তার সময় লাগে ৪ মিনিট ২৭ সেকেন্ড। প্যারাসুট খোলার ১০ মিনিট পর তিনি ভূপৃষ্ঠে পৌঁছান। অর্থাৎ লাফ দেওয়ার পর থেকে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে সব মিলিয়ে ইউস্টেনের প্রায় ১৫ মিনিট লাগে।
নিজের এই দুঃসাহসিক রেকর্ডের কথা জানাতে গিয়ে ইউস্টেন বলেন, আমার টিম যে প্রযুক্তি তৈরি করেছিল মূলত সেটার কারণেই আমি বেঁচে গেছি। এটা শতভাগ সুরক্ষিত না হলেও মানুষের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব তার সবটুকুই করেছে তারা।
ডি/পি
মন্তব্য করুন