• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন একটি ইসলামী বিধান

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৪৫

নির্বাচন একটি প্রাচীন পদ্ধতি। ইসলামে নির্বাচনকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আর সবার অংশ গ্রহণে মতামতা প্রকাশ করা এটি একটি ইসলামের বিধানও বটে। তাই দেখা যায়, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর দাফন-কাফনের আগেই ইসলামি বিশ্বের রাষ্ট্রপ্রধান এবং খলিফা নির্বাচনকে প্রাধান্য দিয়ে হজরত আবু বকর (রা.) কে সাহাবাদের মতামতের ভিত্তিতে খলিফা নির্বাচিত করা হয়।

নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ইসলাম সর্বদা ব্যক্তির সততা, যোগ্যতা, খোদাভীতি, ঈমান, জ্ঞান, আমল, চারিত্রিক গুণাবলী ও বংশকে প্রাধান্য দিয়েছে। তাই ইসলামের দৃষ্টিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া যেমন প্রয়োজন, প্রার্থী বা নির্বাচিত ব্যক্তিও তেমন সৎ, যোগ্য, জ্ঞানী, চরিত্রবান, খোদাভীরু, আমানতদার, ন্যায়পরায়ণ, দেশপ্রেমিক, মানবদরদী ও দায়িত্বানুভূতি সম্পন্ন হওয়া তার চেয়ে আরও বেশি প্রয়োজন।

পবিত্র কুরআনের সুরা নিসার ১৩৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, হে ইমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো, আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সংগত সাক্ষ্য দান করো, তাতে তোমাদের নিজেদের বা মাতা-পিতার অথবা নিকটবর্তী আত্মীয়স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও।

ইসলাম একটি সামাজিক ও মানবিক ধর্ম। তাই ইসলাম মনে করে, পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটাই একটি ইবাদত। এর মাধ্যমে দেশ, ধর্ম ও মানবতার সেবা করার বিরাট সুযোগ লাভ করা যায়। যারা প্রার্থী হবে তারা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রত্যাশায় মানবতার সেবার নিয়তে প্রার্থী হন এবং সেভাবে আমানতদারীর সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে আল্লাহকে ভয় করে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে তারা শুধু দুনিয়ায় সম্মানিত হবেন না আল্লাহর নিকটও বড় মর্যাদার অধিকারী হবেন।

হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, একবার হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, আমি কি তোমাদের আকবারুল কাবায়ির (সবচে বড় বড় গুনাহ) সম্পর্কে বলব না? আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার করা, মাতা-পিতার অবাধ্যতা এবং খুব ভালো করে শোনো, মিথ্যা সাক্ষ্য মিথ্যা কথা।

হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, হুজুর (সা.) হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। যখন মিথ্যা সাক্ষ্যের প্রসঙ্গটি আসে, তখন তিনি সোজা হয়ে উঠে বসলেন। আর 'মিথ্যা সাক্ষ্য' শব্দটি বারবার বলতে লাগলেন। একপর্যায়ে আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম, ইশ্! যদি হুজুর (সা.) কথাটি আর না বলতেন। (বুখারি, মুসলিম, জামউল ফাউয়ায়িদ-পৃ. ১৬২, খ. ২)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যারা মানবতার সেবার জন্য কাজ করবে তাদের মর্যাদা হবে সে লোকের মতো যে সারারাত ইবাদত করে এবং সারাদিন রোজা রাখে।

সুতরাং প্রার্থী যদি নির্বাচিত হয়ে দেশ, ধর্ম ও মানুষের জন্য কল্যাণকর এবং সওয়াবের কাজ করেন শুধু তখনই তিনি সে সম্মান ও মর্যাদা পাবেন। যারা ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করবেন তারাও অনুরূপ সওয়াব ও মর্যাদার অধিকারী হবেন।

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রাসুল (সা.) যেভাবে ঘুমাতে নিষেধ করেছেন
মসজিদে মসজিদে ইবাদতে মগ্ন মুসল্লিরা
শবেকদরের ফজিলত ও আমল
লাইলাতুল কদর অনুসন্ধানের শেষ দশক শুরু
X
Fresh