• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

তাজরীন ট্র্যাজেডি : মামলার অগ্রগতিই এখন চাওয়া

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৪ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:৫৩

২৪ নভেম্বর, ২০১২ সালের। ঢাকার অদূরে আশুলিয়া নিশ্চিন্তপুরে তোবা গ্রুপের তাজরীন ফ্যাশন লিমিটেডের একটি পোশাক কারখানায় আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার আগে কারখানায় পাঁচটি ফ্লোরে প্রায় ১৮শ’ শ্রমিক কাজ করছিলেন। ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠলে সতর্ক হয়ে ওঠেন শ্রমিকেরা। অথচ মূল গেটে থাকা এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, ভয় নেই, আগুন নিভে গেছে। হঠাৎ সন্ধ্যা ৭টার দিকে ধোঁয়ায় চারদিক ছেয়ে যায়। আট তলা ভবনের অন্ধকারে ছাদ থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের আর্তনাদ আর বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার ভেসে আসতে থাকে।

এ সময় অনেকেই লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। কারো ভাগ্যে জোটে চিরকালের জন্য পঙ্গুত্ব। এক এক করে ১১১ তাজা প্রাণ পুড়ে অঙ্গার।

১১১ সংখ্যাটি মালিক পক্ষ ও সরকারি হিসেবে লেখা।আহত শ্রমিকদের দাবি, নিহত সংখ্যা ৫শ’র বেশি।

এ ঘটনায় তাজরীন ফ্যাশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতাসহ বেশ ক’জন কর্মকর্তা কর্মচারির বিরুদ্ধে মামলা হয়।

শ্রম আইন ভঙ্গ করে আশুলিয়ায় তাজরীন গার্মেন্টস দীর্ঘদিন ব্যবসা চালিয়ে এলেও সরকারের কোনো সংস্থা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি।

তাজরীন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হবার ১৩ মাস পর ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সিআইডির পরিদর্শক এ কে এম মহসীন উজ জামান খান।

অভিযোগপত্রে আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ৩০৪ (ক) ধারা অনুযায়ী ‘নরহত্যা ও অবহেলার কারণে মৃত্যু’র অভিযোগ আনা হয়।

কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর দীর্ঘ সময় পাড় হলেও ওই মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি।

আসামিদের মধ্যে দেলোয়ার, মাহমুদা ও মোর্শেদ ছাড়াও প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলাম লাভলু, সিকিউরিটি সুপারভাইজার আল-আমিন, ইনচার্জ আনিসুর রহমান, স্টোর ইনচার্জ আল-আমিন জামিনে রয়েছেন।

কারখানার ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক, প্রোডাকশন ম্যানেজার মোবারক হোসেন মঞ্জু, কোয়ালিটি ম্যানেজার শহিদুজ্জামান দুলাল, সিকিউরিটি গার্ড রানা ওরফে আনারুল ও লোডার শামীম মিয়া পলাতক।

এইচএম/এসজেড

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh