• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাকশক্তির নিয়ন্ত্রণ ও হেফাজত সৎ মানুষের গুণ

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ০৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:৩৭

বাকশক্তি আল্লাহ তাআলার বড় নেয়ামত। মানুষের মনের ভাব, দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা-বেদনা, আনন্দ-উল্লাস প্রকাশে কথা বা কাকশক্তিই প্রধান ভূমিকা পালন করে। বলতে গেলে বাকশক্তি সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মুখপাত্র। তাই বাকশক্তির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোথায় কোন অবস্থায় কোন স্থানে কী বলতে হবে তা সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে।

বাকশক্তির এই নেয়ামত যার নেই একমাত্র সেই উপলদ্ধি করতে পারে বাকশক্তি কত বড় নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে কত বড় নেয়ামত দান করেছেন। আমাদের অনেকের মাঝেই একটি প্রবণতা খুব বেশি কাজ করে। আমরা যা শুনি তাই বিশ্বাস করি এবং প্রচার করতে শুরু করি। যাচাই বাছাইয়ের প্রয়োজন বোধ করি না। কোনো তথ্য বা সংবাদ বর্ণনা করার আগে যাচাই-বাছাই করা কর্তব্য। অন্যথায় মিথ্যা হওয়ার প্রবল আশংকা থাকে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই তার পিছে যেয়ো না। জেনে রেখো, কান, চোখ হৃদয়-এর প্রতিটি সম্পর্কে (তোমাদেরকে) জিজ্ঞেস করা হবে।’ (সুরা বনী ইসরাঈল,আয়াত:৩৬)

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ব্যক্তি যা শুনে তা বর্ণনা করা মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট। (মুসলিম শরীফ,হাদিস:৪)

অন্য এক হাদিসে আছে, তোমাদের মধ্যে আমার কাছে সবচেয়ে অপছন্দনীয় এবং কেয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে দূরে থাকবে সে, যে অযথা বেশি কথা বলে এবং যে অহংকার প্রদর্শনের জন্য, দাপট দেখানোর জন্য মুখ ভরে কথা বলে। (তিরমিজি শরীফ,হাদিস:২০১৮)

তিনি আরও বলেন, যে তার বাকশক্তি ও লজ্জাস্থান হেফাজতের জামানত দিতে পারবে, আমি তার জান্নাতের জামিন হব।(বুখারী শরীফ,হাদিস:৬৪৭৪)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্য-সঠিক কথা বল। তাহলে আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলী শুধরে দেবেন এবং তোমাদের পাপরাশি ক্ষমা করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করল সে মহা সাফল্য অর্জন করল। (সুরা আহযাব,আয়াত:৭০-৭১)

তাই আসুন! আমরা সকলেই কথা বা বাকশক্তির হেফাজত করি এবং কথা দ্বারা যে সমস্ত গুনাহ হয় তা থেকে বিরত থাকি। (আমিন)

আরও পড়ুন :

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh