• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

সুস্থতা আল্লাহর নেয়ামত, সেটার যথাযথ কদর কর: আল হাদিস

হাফেজ মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন

  ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:১৭

খাদ্য ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। আল্লাহ তাআলা খাদ্যকে মানুষের শরীরের জন্য এতটা জরুরি করেছেন যে, বাঁচতে হলে মানুষকে খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। শরীর সুস্থ রাখতে হবে। শরীর সুস্থ থাকলে পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানোর যে উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করা তা যথাযথ আদায় করা সম্ভব হবে।

উত্তম খাদ্য গ্রহণ ও বৈধ পন্থায় উপার্জনের সাথে সাথে শরীর সুস্থ রাখার ব্যাপারেও ইসলামে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শরীরের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। কেননা মানুষের উপর তার রক্ত ও মাংসের, স্বাস্থ ও শরীরের অনেক বড় হক রয়েছে। সে হকের প্রতি নজর রাখা এবং শরীরকে সুস্থ রেখে ইবাদত বন্দেগিতে মগ্ন থাকা মানুষের দায়িত্ব। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘অসুস্থ হওয়ার আগে সুস্থতাকে গনীমত মনে কর। (মুসতাদরাকে হাকেম,হাদিস:৭৯১৬) কেননা সুস্থতা হল আল্লাহর নেয়ামত, সেটার যথাযথ কদর করা মানুষের কর্তব্য।

অন্য এক হাদিসে আছে, সাহারি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে যখন আমার সম্পর্কে এই সংবাদ পৌঁছল যে, আমি লাগাতার রোজা রাখি, রাতে নামাজ পড়ি, (অন্য বর্ণনায় আছে, সারারাত কুরআন পড়ি) তখন নবীজী বললেন, তুমি এরকম করো না। নিশ্চয় তোমার চোখের হক রয়েছে, তোমার শরীরের হক রয়েছে। (বুখারী শরীফ ১৮২;মুসলিম শরীফ ১৮৪)

উল্লেখিত হাদিস দুটি দ্বারা এ কথাই বুঝা যায় যে, শরীরের সুস্থতার প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরি এবং যথাযথ ইবাদত করার জন্য সুস্থতার বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সুতরাং এ ক্ষেত্রে অবহেলা করা যাবে না। আমরা এ কথা সকলেই জানি যে, শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেক মাধ্যম হতে পারে তার মধ্যে অন্যতম একটি হল খাদ্য। আর এই খাদ্য আসে উপার্জনের মাধ্যমে। সুতরাং সেই উপার্জন হতে হবে বৈধ পন্থায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। (সুরা নিসা,আয়াত:২৯)