অর্থপাচার মামলা : তারেকের ৭ বছরের কারাদণ্ড
অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।
মানিলন্ডারিং আইনে দায়েরকৃত অর্থপাচার মামলায় নিম্ন আদালত তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে খালাস দেন। তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের সাজা ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করে। ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ মো. মোতাহার হোসেন ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ রায় দেন। তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। অপরদিকে, সাজা ও অর্থদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন মামুন।
বিচারিক আদালতের দেয়া তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল আবেদন মঞ্জুর করে এ সাজা দেওয়া হয়েছে তাকে। একই সঙ্গে পলাতক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই রায়ে তারেকের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। তবে বিচারিক আদালতের করা জরিমানা ৪০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছেন।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের সাজার বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল আবেদনটিও খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ১৬ জুন এ মামলার শুনানি শেষে রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।
গত ২৫ মে দুদক ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আপিল আবেদন দু’টির শুনানি একসঙ্গে শুরু হয়।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তারেক রহমান পলাতক থাকায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন।
অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের খালাস পাওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেননি।
মন্তব্য করুন