দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী
দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
বুধবার (২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সালামাতে প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। দোয়ার নিবেদন।’
এর আগে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া চলে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
সে সময় মিজানুর রহমান আজহারী এক ফেসবুক পোস্টে জানান, পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে এখানেই এ বছরের তাফসির প্রোগামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকি প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হলো। রিসার্চের কাজে আবারও মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে আবারও দেখা হবে ও কথা হবে ইনশাআল্লাহ।
আরটিভি/আরএ
মন্তব্য করুন
মনিটাইজেশন আরও সহজ করছে ফেসবুক
ফেসবুক হলো মেটা প্ল্যাটফর্মসের মালিকানাধীন বিশ্ব-সামাজিক আন্তযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। ব্যবহারকারীরা বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলি হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন। সেইসঙ্গে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন।
এ ছাড়া ফেসবুকে পেজ খুলে অনেকেই ব্যবসা করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন ঘরে বসেই। আবার অনেকেই ফেসবুকে ভিডিও বা বিভিন্ন কনটেন্ট বানিয়ে আয় করে থাকেন। তবে কনটেন্ট বা ভিডিও শেয়ারের মাধ্যমে আয় করতে হলে ভিন্ন ভিন্ন শর্ত রয়েছে। যা ভাঙলে আয় করা সহজ হয়ে উঠে না। তাই এবার ভিডিও নির্মাতাদের জন্য নতুন কিছু পরিবর্তন আনছে ফেসবুক।
সম্প্রতি দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে, তিন পদ্ধতিতে ফেসবুক থেকে আয় করা যায়। সেগুলো হচ্ছে ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস। তবে এসব ব্যবস্থার পরিবর্তন আনছে ফেসবুক। কনটেন্ট মনিটাইজেশন প্রোগ্রামে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য আয়ের পথ আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তুলবে এ পরিবর্তন।
জানা গেছে, নতুন ব্যবস্থায় ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিল অ্যাডস, এবং পারফরম্যান্স বোনাসকে একটি সিঙ্গেল প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করেছে। তবে নতুন এ মনিটাইজেশন প্রক্রিয়া চালু হলে ভিডিও নির্মাতাদের আবেদন করে অনবোর্ডিং প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে হবে। এরপরই ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, অ্যাডস অন রিলস ও পারফরম্যান্স বোনাস এ তিন পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। ফলে বারবার আবেদন করতে হবে না।
২০২৫ সালে সবার জন্য নতুন এই মনিটাইজেশন মডেলটি উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে এটি শুধুমাত্র আমন্ত্রিত ক্রিয়েটরদের জন্য বিটা ভার্সনে চালু করা হয়েছে। বিটা ভার্সনের অংশ হিসেবে এক মিলিয়ন ক্রিয়েটর এ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন।
আরটিভি/এসএপি
বিশ্বের দরিদ্রতম ১০ দেশের তালিকা প্রকাশ
মাথাপিছু জিডিপির (পিপিপি) ভিত্তিতে ফোর্বস ইন্ডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্রতম ১০টি দেশের তালিকা দিয়েছে। যার বেশির ভাগই আফ্রিকা মহাদেশের।
ফোর্বস জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বরের হিসাব থেকে এ তালিকা তৈরি করেছে।
এ তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সুদানের নাম। সুদানের মাথাপিছু জিডিপি ৪৫৫ দশমিক ১৬ মার্কিন ডলার।
দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বুরুন্ডি। এই দেশের মাথাপিছু জিডিপি ৯১৫ দশমিক ৮৮ মার্কিন ডলার।
তৃতীয় দরিদ্রতম দেশটি হচ্ছে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার।
আর চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার।
পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৫০ মার্কিন ডলার।
এর পরের অবস্থানটি নাইজারের। আফ্রিকার এই দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৬৭০ মার্কিন ডলার।
তালিতায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে আফ্রিকার দেশ মালাউই। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৭১০ মার্কিন ডলার।
আর অষ্টম অবস্থানে রয়েছে লাইবেরিয়া। আফ্রিকার এই দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৮৮০ মার্কিন ডলার।
নবম অবস্থানে রয়েছে মাদাগাস্কার। এই দেশটিও আফ্রিকার। এর মাথাপিছু জিডিপি ১ হাজার ৯৮০ মার্কিন ডলার।
আর দশম অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার দেশ ইয়েমেন। দেশটির মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার মার্কিন ডলার।
আরটিভি/এফআই
খাটাশ বিড়াল ও হাতির মল থেকে যেভাবে তৈরি হয় বিশ্বের দামি কফি
আপনি কি জানেন, যে কফি খেয়ে আপনি ক্লান্তি দূর করেন, সেই কফি আসলে বিড়াল কিংবা হাতির মল থেকে তৈরি হতে পারে? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। কফির জগতে এমন দুটি অসাধারণ প্রক্রিয়ায় তৈরি কফি রয়েছে, যা শুধু স্বাদে নয় বরং এর উৎপাদন প্রক্রিয়ায়ই লুকিয়ে আছে এক অদ্ভুত পদ্ধতি। এমন দুটি কফি হলো কপি লুয়াক ও ব্ল্যাক আিইভোরি কফি; যা বিশ্বের অন্যতম দামি ও অনন্য কফি হিসেবেও বিবেচিত।
প্রথমে আসি কপি লুয়াকের কথায়। এই কফি ইন্দোনেশিয়ার সিভেট ক্যাট বা খাটাশ বিড়ালের মল থেকে তৈরি হয়। কিন্তু ভাবছেন তা আবার কীভাবে? ইন্দোনেশিয়ার মুসাঙ্গ বা খাটাশ জাতের এই বিড়ালরা মূলত বাগানে পাকা কফি খায়। এই কফি চেরির গায়ে থাকে মিষ্টি মাংসল অংশ, যা বিড়ালদের খুব প্রিয় খাবার। চেরি বীজ, যা আমরা কফি বীজ হিসেবে জানি। তা কিন্তু খাটাশ জাতের বিড়ালের পেটে হজম হতে পারে না। তাই সেটি পেটের ভেতর প্রাকৃতিকভাবে অক্ষত থাকে এবং মল আকারে বেরিয়ে আসে।
এই বীজ খাটাশের পেটের হজম প্রক্রিয়া কফির তিক্ততা কমিয়ে তৈরি করে এক মোলায়েম স্বাদ। আর যখন এই প্রাণি মলত্যাগ করে, তখন সেই মলের মধ্যে থাকা কফি বীজগুলো সংগ্রহ করে একত্র করা হয়। এসব বীজ পরিষ্কার করে সূক্ষ্মভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এই ধাপের পর কফি বীজগুলো শুকিয়ে ভাজা হয়, যা কফির স্বাদকে আরও উন্নত করে। আর এভাবে তৈরি হয় কপি লুয়াক, যা কফিপ্রেমীদের মাঝে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
প্রায় একই প্রক্রিয়ায় তৈরি হয় ব্ল্যাক আিইভোরি কফি। তবে এটি বিড়াল নয়, মূলত থাইল্যান্ডে হাতির মল থেকে তৈরি হয়। হাতিরা যখন পাকা কফি চেরি খায়, তখন সেই চেরিগুলোও তাদের হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। হাতির হজম প্রক্রিয়া কফির প্রোটিন ভেঙে দেয়, যার ফলে কফির তিক্ততা কমে স্বাদ হয় আরও মোলায়েম।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রাণীদের মল থেকে তৈরি এসব কফির দাম এত বেশি কেন? কারণ এই প্রক্রিয়াগুলো অত্যন্ত শ্রমসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। কস্তুরি বিড়াল ও হাতির হজম প্রক্রিয়া কফির স্বাদকে এমনভাবে পরিবর্তন করে, যা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সম্ভব নয়। এ ছাড়া,বছরের নির্দিষ্ট সময়ে সীমিত পরিমাণে এই কফিগুলো তৈরি করা যায়, যার ফলে এর দাম অত্যন্ত বেশি।
ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও কপি লুয়াক এর উৎপাদন হচ্ছে ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামে। আর ব্ল্যাক আিইভোরি কফি শুধুমাত্র থাইল্যান্ডে তৈরি হয়। যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফির একটি হিসেবে স্বীকৃত। এ কফিগুলো শুধু কফি নয়, বরং একটি অভিজ্ঞতা। কস্তুরি বিড়াল ও হাতির হজম প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া প্রতিটি কফির কাপ যেন একেকটি গল্প বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে অদ্ভুত ও মূল্যবান কফির মধ্যে এই দুইটি কফি নিশ্চিতভাবেই আপনার কফি অভিজ্ঞতাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে।
মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে জেরার মুখে মিজানুর রহমান আজহারী
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীকে আটকে দিয়েছে সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশ। ইমিগ্রেশনে তাকে জেরা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিজানুর রহমান আজহারীর নামে অভিযোগ থাকায় তাকে দেশটিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশের পক্ষ থেকে এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলেম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশাকরি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।
মাওলানা মিজানুর রহমান লিখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।
দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা। তবে, কয়েকদিনের মাথায় শুক্রবার ফের দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়ার পথে যাত্রা করেন তিনি।
আরটিভি/এসএইচএম
বিশ্ব মিডিয়ায় শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবর
ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়টি বিশ্ব গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
এরমধ্যে বার্তাসংস্থা রয়টার্স তার শিরোনামে লিখেছে, ‘নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি’। বার্তাসংস্থাটি বলেছে, এ বছরের শুরুতে শুরু হওয়া সহিংস আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি শিরোনাম করেছে, ‘শেখ হাসিনা: সাবেক নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি।’ বিবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি লিখেছে, ‘হাসিনা সরকার ২০১০ সালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিচার করতে এই আদালত প্রতিষ্ঠা করে। যদিও এটির বিচারকার্য নিয়ে জাতিসংঘসহ অন্যান্যরা প্রশ্ন তুলেছিল। অভিযোগ ছিল, বিরোধী দলীয় সদস্যদের হত্যায় এই আদালত ব্যবহার করা হয়েছে।’
এছাড়া পাকিস্তানের দ্য ডন, মধ্যপ্রাচ্যের গালফ নিউজ, খালিজ টাইমসেও হাসিনার বিরুদ্ধে জারি হওয়া পরোয়ানা নিয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনা ভারতেই অবস্থান করছেন। সম্প্রতি জানা গেছে, হাসিনাকে ট্রাভেল ডকুমেন্ট দিয়েছে ভারত। যা দিয়ে তিনি চাইলে অন্য দেশে যেতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ভারতে থেকে থাকেন তাহলে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী তাকে ফেরত দিতে হবে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২০১০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে। সেই ট্রাইব্যুনালে জামায়াত-বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয় এবং তা কার্যকরও হয়। সেই ট্রাইব্যুনালেই এখন মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন শেখ হাসিনা। এখন এই আদালতে তারও বিচার হবে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন প্রায় ৩১ হাজার মানুষ। এর মধ্যে বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে গঠিত এ ট্রাইব্যুনালে পরিবর্তন আনা হয়। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল পুনর্গঠনের অনুমোদন দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান এবং সদস্যরা ১৫ অক্টোবর বিচারিককাজে যোগ দেন। ইতোমধ্যে এই ট্রাইব্যুনালে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, আঘাত হানতে পারে যেখানে
বঙ্গোপসাগরে ‘ডানা’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এটি সৃষ্টি হতে পারে এবং তা আগামী ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেশিরভাগ আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে জানা যায়, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এটির নাম হবে ‘ডানা’। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার এই নামটি দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে।
এসব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টির বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেলেও এটি উপকূলের কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও অনিশ্চিত। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে ‘ডানা’ বরিশাল বিভাগ ও ভারতের ওড়িশা রাজ্যের মধ্যবর্তী যেকোনো উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক সরকারি সংস্থা আইএমডি জানিয়েছে, আগামী ২০ অক্টোবরের দিকে উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে ২২ অক্টোবরের দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ‘অক্টোবরে এমনিতেই সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। ২২ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপও হতে পারে। তবে এখনও ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
এর আগে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে নিদিষ্ট সময় জানায়নি আবহাওয়া অফিস।
আরটিভি/এসএপি/এআর
গণমাধ্যম সংস্কারে কমিশন গঠন, যা বললেন মাহমুদুর রহমান
সাংবাদিক কামাল আহমেদকে প্রধান করে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরদিনই এ বিষয়ে মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি সংবাদমাধ্যমে সংস্কার নিয়ে কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, সংবাদমাধ্যমে সংস্কারের আগে এর সম্পাদক ও মালিকদের সংস্কার প্রয়োজন। সম্পাদক আবুল আসাদের দাড়ি ধরে ছাত্রলীগের ছেলেরা অপমান করে বের করে দেয়, অথচ কোনো প্রতিবাদ করেনি সম্পাদক পরিষদ। এদের বিরুদ্ধেই আগে সংস্কার চালানো উচিত।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে টেনে এনে বলেন, শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের নামে সেখানে নির্লজ্জভাবে তেলবাজি করতো সম্পাদকরা। আমার বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ের হাতিয়ার আমার দেশ পত্রিকার ছাপাখানা ধ্বংস করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার। আমাকে টুকরো টুকরো করতে না পেরে ছাপাখানাটিকে টুকরো টুকরো করেছে, এটাই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী চরিত্র। অথচ বড় বড় কোনো সম্পাদকের মুখে এর কোনো প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি, আর এটাই মিডিয়ার চরিত্র বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমসহ আরও চারটি বিষয়ে সংস্কার কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এই চার কমিশনের মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান করা হয়েছে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদকে।
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই চার কমিশনের সদস্যদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে।
এর আগে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়। এসব কমিশন ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
আরটিভি/এএইচ/এআর