ঢাকায় থামলেও কয়েকটি বিভাগে বৃষ্টিপাত অব্যাহত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ঝরছে। শনি ও রোববার টানা দুইদিন ঢাকাতেও থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকায় বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়েছে। দেখা মিলেছে সূর্যের।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপের প্রভাবে আজও দেশের চার বিভাগে বৃষ্টি থাকবে, তবে মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টি কমবে। তারপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে।
আরও বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে।
এ ছাড়া রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
মন্তব্য করুন
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্সে রেকর্ড
চলতি বছরের এপ্রিল, মে ও জুন মাসে টানা দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। জুনে তা কমে ফের দুই বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। জুলাই মাসে রেমিট্যান্সের গতি আরও কমে। তখন ১৯১ কোটি মার্কিন ডলারের নিচে নেমে আসে। যদিও এর পেছনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর ঘোষণা দেয়।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের পরপরই বাড়তে থাকে রেমিট্যান্সের গতি। নতুন সরকারের শুরুতে আগস্টে ফের রেমিট্যান্সের পালে হাওয়া লাগে যার গতিতে দুই বিলিয়ন (২২২ কোটি ডলার) ডলার ছাড়িয়ে যায়।
সেই ধারাবাহিকতায় রেমিট্যান্সে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে দেশ। চলতি মাস সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে। গত বৃহস্পতিবার একদিনেই এসেছে প্রায় ১৩ কোটি (১২.৮০) ডলার। যা দেশের জন্য এক নতুন রেকর্ড গড়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয় চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এর মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৫ কোটি ২৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪১ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার ডলার আসে। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।
উল্লেখ্য, ছাত্রজনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের অনুরোধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পরেই সব কিছুতে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। বাদ যায়নি অর্থনীতিতেও।
পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ, দিন হবে ২৫ ঘণ্টায়
কয়েক দশক আগেই বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছিলেন পৃথিবী থেকে চাঁদ ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। এবার যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ফের জানালেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব বাড়ছে এবং তা এভাবে বাড়তে থাকলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়বে। তবে তা কয়েক মিনিট নয়, পুরো ১ ঘণ্টা অর্থাৎ ১ দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা থেকে বেড়ে হবে ২৫ ঘণ্টা। যদিও সেই দীর্ঘ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে প্রায় ২০ কোটি বছর।
সম্প্রতি নতুন এই গবেষণার প্রতিবেদন জানিয়েছে ডেইলি মেইল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যাওয়ায় মহাকর্ষীয় প্রভাবের কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি কমে যাচ্ছে। এর ফলে পৃথিবীর দিনের সময় ধীরে ধীরে বাড়ছে। দিনের সময় বাড়ার এই হার সেকেন্ডের ভগ্নাংশতম হওয়ায় সাধারণভাবে বোঝা যায় না। এভাবে চাঁদ ধীরে ধীরে দূরে সরে যেতে থাকলে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে দিন ২৫ ঘণ্টা পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্টিফেন মেয়ার্স বলেন, ‘চাঁদ প্রতিবছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার দূরে সরে যাচ্ছে। যার অর্থ, আমাদের গ্রহের চারপাশ অতিক্রম করতে চাঁদের বেশি সময় লাগছে। চাঁদ দূরে সরে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিও কমে যাচ্ছে। এমন এক সময় আসবে, যখন চাঁদ একটি স্থিতিশীল দূরত্বে পৌঁছে যাবে। তখন শুধু আমাদের গ্রহের এক দিক থেকে চাঁদ দেখা যাবে।’
গবেষকরা বলছেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের বর্তমান দূরত্ব ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। এখন চাঁদ প্রতি বছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার করে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। চাঁদের এই দূরে চলে যাওয়াই পৃথিবীতে বড় পরিবর্তন আনতে পারে
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ১৪০ কোটি বছর বছর আগে চাঁদ কাছাকাছি থাকার কারণে পৃথিবীতে ১৮ ঘণ্টায় এক দিন হতো। চাঁদ ধীরে ধীরে সরে যাওয়ার কারণে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে। চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, তখন এর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সমুদ্রের পানির ওপর টান তৈরি করে, যা আংশিকভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনকে ধীর করে দিচ্ছে। পৃথিবীর জড়তা চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ থেকে শক্তিশালী। পৃথিবী ও চাঁদের টানাটানিতে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয়। আবার পৃথিবী তার অক্ষের ওপর চাঁদের কক্ষপথের চেয়ে অনেক দ্রুত ঘোরে। এসব কারণে পৃথিবীর গতি ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে।
জলবায়ুপরিবর্তনসহ বিভিন্ন কারণও পৃথিবীর ঘূর্ণনগতিতে প্রভাব ফেলছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেরু বরফ আগের চেয়ে দ্রুত গলে যাচ্ছে। পৃথিবীর মহাসাগরে পানির পরিমাণ বাড়ছে। সব গলে যাওয়া পানি পৃথিবীর মেরু থেকে ধীরে ধীরে বিষুবরেখার দিকে চলে যায়। যেখানে মহাসাগরের ওপরে চাঁদের আকর্ষণ বেশি। এর ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণন আরও ধীরগতির হচ্ছে। এসব পরিবর্তন কোটি কোটি বছর ধরে চললে পৃথিবীর দিনের সময়ে বাড়তি এক ঘণ্টা যোগ হবে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, ৯ কোটি বছরের পুরোনো একটি পাথরের ভূতাত্ত্বিক গঠনের ওপর বেশ কয়েক বছর ধরে গবেষণা চালানো হচ্ছে। এতে দেখা গেছে, পৃথিবী থেকে চাঁদের ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়ার প্রভাব পড়ছে পৃথিবীর ওপর। এই ফলাফলই গাণিতিক হিসাব কষে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই থিওরি এখনো পুরোটাই গবেষণার স্তরে এবং সেটিও একটি ধারণার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
যেসব কারণে ফেসবুক পোস্টের রিচ কমিয়ে দেয়, বাড়াবেন যেভাবে
ফেসবুক পোস্টের রিচ কমে যাওয়া মানে কোনো ছবি, ভিডিও বা স্ট্যাটাস ফ্রেন্ড ও ফলোয়ারদের ফিডে না পৌঁছানোকেই বোঝানো হয়। এর ফলে লাইক, কমেন্ট আগের তুলনায় কমে যায়। ২০২৩ সাল থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এমন অভিযোগ করছেন। তবে জেনে অবাক হবেন যে, ফেসবুক নিজেই রিচ কমিয়ে দেয়।
যেসব কারণে ফেসবুক রিচ কমিয়ে দেয়
ফেসবুক প্রতিনিয়ত অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে নিত্যনতুন ফিচার নিয়ে আসে। আর জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির এসব পরিবর্তন অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যবহারকারীরা জানতেই পারেন না। এখানে দুটি প্রশ্ন সামনে আসে। প্রথমটি, ফেসবুক অ্যালগরিদম কী? দ্বিতীয়টি, কোন পোস্ট কত রিচ হবে, তা এই অ্যালগরিদম কীভাবে নির্ধারণ করে?
ফ্রেন্ড-ফলোয়ারদের ফিডে একটি পোস্ট কতটুকু রিচ করবে তা ফেসবুক ৪টি প্রক্রিয়ায় নির্ধারণ করে। যাকে কনটেন্ট বা পোস্ট র্যাংকিং বলে। সেগুলো হলো-
১. কনটেন্টের উৎস: পোস্ট করা কনটেন্টটি ব্যবহারকারীর নিজের তৈরি কি না এবং কনটেন্টটির প্রকৃত উৎস কী? এসব দেখে ফেসবুক। ব্যবহারকারীর ফিডে ফেসবুক সেসব পোস্টই দেখায়, যেসব পোস্ট ব্যবহারকারীর ফেসবুক ফ্রেন্ড কিংবা তারা যাদের ফলো করে তাদের। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারী যেসব পেজ ফলো করে, সাধারণত সেসব কনটেন্টই তার ফিডে বেশি দেখতে পায়।
২. কনটেন্টের ধরন: কনটেন্টটি লাইভ, ভিডিও, ছবি নাকি স্ট্যাটাস? ব্যবহারকারী যে ধরনের কনটেন্ট বেশি দেখে বা ইন্টার্যাক্ট করে (লাইক, কমেন্ট, শেয়ার), ওই ধরনের পোস্ট তার ফিডে বেশি দেখায় ফেসবুক। ব্যবহারকারী যদি ভিডিও বেশি দেখে, ফেসবুক তার ফিডে বেশি বেশি ভিডিও দেখাবে, যদি ছবি বেশি দেখে, তাহলে ছবি দেখাবে।
৩. কনটেন্ট এনগেজমেন্ট: বন্ধুতালিকায় বা পেজে বেশি এনগেজমেন্ট হওয়া পোস্টগুলোই ব্যবহারকারীর ফিডে বেশি দেখায়। যেমন বন্ধুতালিকায় থাকা বন্ধুদের যেসব পোস্টে এনগেজমেন্ট বেশি, সেসবই ব্যবহারকারীর ফিডে বেশি দেখাবে।
৪. কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড: পোস্ট শেয়ারের ক্ষেত্রে ফেসবুকের একটি সুর্নির্দিষ্ট ও লিখিত নির্দেশিকা আছে (ফেসবুক কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস)। এমন কোনো পোস্ট, যেটি এই নির্দেশিকা অমান্য করে, সেসব পোস্ট ফিডে কম দেখাবে। ফেসবুকের ভাষায় যেটিকে বলে ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডস ভায়োলেশন’। নির্দেশিকাটি ফেসবুকের ওয়েবসাইটে বিস্তারিত দেওয়া আছে।
অ্যালগরিদম অনুযায়ী, চলতি বছর ফেসবুক রিচের ক্ষেত্রে লাইভ ভিডিও, রিলস, ভিডিও, ছবিকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। অর্থাৎ এ ধরনের কনটেন্টের চাহিদা বেশি এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে বেশি বেশি পৌঁছাবে। এছাড়াও আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ফেসবুক সব সময় চায়, ব্যবহারকারীরা প্রকৃত, নির্ভরযোগ্য ও তথ্যপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করুক।
ফেসবুক পোস্টের রিচ বাড়াতে করণীয়
কনটেন্টের মান ও যাচাই: প্রোফাইল বা পেজে কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করছেন, তা খেয়াল রাখুন। বন্ধুতালিকা ও ফলোয়ারের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট শেয়ার করুন। যেকোনো তথ্য, ছবি, ভিডিও শেয়ার করার আগে সেটির সত্যতা যাচাই করা জরুরি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভ্যস্ত হওয়ার ফলে আমাদের মধ্যে অনেককেই ‘ফোমো’ বা ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ সমস্যায় পেয়ে বসেছে। অর্থাৎ আমরা অনেকেই কিছুক্ষণ ফেসবুকে না থাকলে মনে করি, ‘আরে, আমি তো ফেসবুকে নাই, এখন কী না কী হয়ে যাচ্ছে! মানুষ না জানি কত কিছু শেয়ার করে কত লাইক-কেমন্ট-শেয়ার পাচ্ছে!’ অর্থাৎ এই ফোমোর কারণে অনেকেই যাচাই–বাছাই না করেই কিছু একটা পোস্ট করে বসেন। এ ধরনের পোস্ট চিহ্নিত করার জন্য ফেসবুক বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্বও দিয়েছে, যাদের বলা হয় ‘ফ্যাক্ট চেকার’। তাই কিছু পোস্ট করার আগে তথ্য যাচাই অত্যন্ত জরুরি। তথ্য যাচাইয়ের জন্য গুগল, কোনো সংবাদমাধমের খবর হলে সেই প্রতিষ্ঠানের ভ্যারিফায়েড পেজ বা ওয়েবসাইট, ছবির ক্ষেত্রে গুগল লেন্স, রিভার্স ইমেজ সার্চ ইত্যাদি ব্যবহার করা।
প্রোফাইল বা পেজ হেলথ: পোস্ট রিচ ও এনগেজমেন্ট বেশি হওয়ার জন্য ব্যক্তির প্রোফাইল বা পেজের ‘স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা’ বজায় রাখা জরুরি। কিছু অসাধু ব্যক্তি বা সংগঠন ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে অনেক ভুয়া তথ্য ছড়ায়। এ ধরনের পোস্ট শেয়ার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ভুয়া প্রোফাইলকে বন্ধুতালিকায় যুক্ত করা যাবে না। ফেসবুক অ্যালগরিদম এ ধরনের ভুয়া তথ্য বা বন্ধুতালিকায় থাকা ভুয়া প্রোফাইল নিয়মিত চিহ্নিত করে এবং সেসব প্রোফাইল বা পেজের রিচ কমিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে বাংলা প্রবাদ ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সর্বনাশ’ কিংবা ‘দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো’ একেবারে জুতসই।
যা থাকছে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো-সিলেবাসে
দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলতি বছর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন কারিকুলামের বই পড়ানো হচ্ছে। তবে অভিভাবকদের দাবির মুখে এ কারিকুলাম বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন কারিকুলামে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে এর আগের কারিকুলামের নিয়মে। তবে পাঠ্যবই থাকবে নতুন কারিকুলামেই।
দুই কারিকুলামের সমন্বয়ে ডিসেম্বরে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নকাঠামো ও সিলেবাস কেমন হবে, তা প্রস্তুত করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। খসড়া এ প্রশ্নকাঠামো এবং সিলেবাস সম্পর্কে মতামত ও অনুমোদনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার পর দু-এক দিনের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এনসিটিবি চলতি বছরের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামো সিলেবাস প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামতের জন্য পাঠিয়েছে। মতামত পেলে আশা করি দু-এক দিনের মধ্যেই সিলেবাস ও প্রশ্ন কাঠামো প্রকাশ করা হবে।
এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, নতুন যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল মাধ্যমিক পর্যায়ে তা ছিল অভিজ্ঞতানির্ভর। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আগের শিক্ষাক্রমের আদলের শিক্ষায় ফিরে গিয়ে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। অভিজ্ঞতানির্ভর শিক্ষার বইয়ের কোন কোন অংশ থেকে প্রচলিত লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা খুঁজে বের করে আমরা ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস প্রস্তুত করেছি।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন হবে ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের আদলে। প্রতিটি বিষয়ে ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্নের সমন্বয়ে প্রশ্নকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষক ও কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেমিনার করে সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামোর খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই সিলেবাস ও প্রশ্নকাঠামো প্রকাশ করে স্কুলে স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
আরটিভি/এএ/এসএ
ওমরাহ যাত্রীদের সুখবর দিলো বিমান বাংলাদেশ
বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে ওমরাহ যাত্রীদের জন্য টিকিটের দাম কমিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংস্থাটির জনসংযোগ বিভাগের মহাপরিচালক বোসরা ইসলামের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ থেকে জেদ্দা ও মদিনা রুটে টিকিটের মূল্য কমানো হয়েছে। একইসঙ্গে টিকিটপ্রাপ্তি সহজলভ্য করতে সকল বুকিং ক্লাস বা আরবিডি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আগে ওমরাহর জন্য দুটি নির্দিষ্ট ফেয়ার ক্লাস বা আরবিডি ব্যবহার করা হতো। সকল বুকিং ক্লাস উন্মুক্ত হওয়ায় ওমরাহ যাত্রীরা সাধারণ যাত্রীদের মতো যেকোনো আরবিডিতে ওমরাহ টিকিট কিনতে পারবেন।
যেসব ওমরাহ যাত্রী আগে টিকিট ক্রয় করবেন তারা সর্বনিম্ন ভাড়ার সুবিধা পাবেন। আর যেসব যাত্রী ওমরাহ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মদিনায় গমন করবেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় মূল্য ছাড় দেওয়া হবে।
আইফোন ১৬’র দাম জেনে নিন
অ্যাপলের বহুল আকাঙ্ক্ষিত আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলো উন্মোচিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আইফোনপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্ধুতে এখন এই সিরিজের ৪টি মডেল। সেগুলো হলো- আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। সাদা, কালো, সবুজ, গোলাপি ও নীল-এই ৫ রঙে পাওয়া যাবে ফোনগুলো।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) টেক পিডিয়ার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সংস্করণভেদে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১২০ টাকা ধরে ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি পর্দার আইফোন ১৬-এর দাম পড়বে সর্বনিম্ন ৭৯৯ ডলার বা প্রায় ৯৬ হাজার টাকা। আর ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি পর্দার আইফোন ১৬ প্লাসের দাম পড়বে সংস্করণভেদে সর্বনিম্ন ৮৯৯ ডলার বা ১ লাখ ৮ হাজার টাকা।
আইফোন ১৬ প্রো ও ১৬ প্রো ম্যাক্সের পর্দার আকার যথাক্রমে ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি ও ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চি। আইফোন দুটির দাম পড়বে সংস্করণভেদে সর্বনিম্ন ৯৯৯ ডলার বা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১ হাজার ১৯৯ ডলার বা ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, সোমবার (৯ আগস্ট) আইফোনের নতুন সিরিজ ছাড়াও ‘গ্লোটাইম’ ইভেন্টে উন্মোচিত হয়েছে অ্যাপলের নতুন সিরিজের এয়ারপড ও অ্যাপল ওয়াচ।
আরটিভি/এসএপি-টি
ফেরার জন্য যে পদক্ষেপ নিলো সিটিসেল
ব্যবসায় ফিরতে বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়েছে দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল।
সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়ে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে।
চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এ জন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছেন তারা।
বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি– সবমিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ফাইভজিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।
এ প্রসঙ্গে প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না। তৎকালীন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে দাবি করে তিনি এর প্রতিকার চান।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ জুন বিটিআরসি দেশের সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়।
আরটিভি/এসএপি-টি