টিএসসিতে ১৪ দিনে জমা পড়ল ১১ কোটি টাকা
বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ২২ আগস্ট থেকে গণত্রাণ কর্মসূচি শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এখন পর্যন্ত ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ অর্থ জমা পড়েছে। এ ছাড়া এসেছে বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, ২২ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিএসসিতে সংগ্রহ হয়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৯ টাকা।
এই সমন্বয়ক বলেন, শুরুতে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছাতে পারলেও সব জায়গায় বিতরণ সম্ভব হচ্ছিল না। পরিবহন না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে ত্রাণ পৌঁছাতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে আমরা চেষ্টা করেছি।
আবদুল কাদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন করাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তী কার্যক্রম।
মন্তব্য করুন
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের নতুন চমক
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে নতুন নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। গত বছর ছবি থেকে স্টিকার তৈরির জন্য ‘কাস্টম স্টিকার মেকার’ নামের একটি টুল চালু করে হোয়াটসঅ্যাপ। এত দিন টুলটি শুধু আইফোনে ব্যবহার করা গেলেও এবার অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোন থেকেও ব্যবহার করা যাবে। ফলে অন্য প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের সাহায্যে ছবির আদলে স্টিকার তৈরি করতে হবে না অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের।
হোয়াটসঅ্যাপের তথ্যমতে, স্মার্টফোনের গ্যালারিতে থাকা যেকোনো ছবির আদলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টিকার তৈরি করতে পারে কাস্টম স্টিকার মেকার টুল। ফলে টুলটি কাজে লাগিয়ে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইলে নিজেদের চেহারার আদলে স্টিকার ব্যবহারের পাশাপাশি বন্ধুদের পাঠানো বার্তার উত্তরে পছন্দের স্টিকার ব্যবহার করা যাবে।
ছবি দিয়ে স্টিকার বানানোর সময় এডিটিং টুল ব্যবহার করে টেক্সট বসানো, ফোনে থাকা অন্য স্টিকার ও ইমোজিও যুক্ত করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। স্টিকার তৈরির পর সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টিকার ট্রেতে যুক্ত হয়ে যাবে। ফলে পরে যেকোনো সময় স্টিকারগুলো ব্যবহার করা যাবে।
ছবি দিয়ে নিজেদের চেহারার আদলে স্টিকার তৈরির পাশাপাশি জিফির তৈরি স্টিকার ব্যবহারের সুযোগও পাওয়া যাবে হোয়াটসঅ্যাপে। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ থেকেই সরাসরি জিফির তৈরি বিভিন্ন স্টিকার বার্তায় যুক্ত করা যাবে। হোয়াটসঅ্যাপের স্টিকার আইকনে ট্যাপ করে জিআইএফ বাটনে ক্লিক করলেই জিফির তৈরি স্টিকারের তালিকা দেখা যাবে।
যেসব প্রাণী থেকে ছড়ায় মাঙ্কিপক্স
মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাসজনিত প্রাণীজাত (জুনোটিক) রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের একটি বিজ্ঞানাগারে এক বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় বলে একে মাঙ্কিপক্স বলা হয়। এ রোগটির প্রাদুর্ভাব ১৯৭০ সাল থেকে প্রধাণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার ১১টি দেশে দেখা যায়। ইতিপূর্বে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশেও এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তবে এর নাম শুনে মনে হতে পারে বানরই এ রোগের জন্য দায়ী, যা সঠিক নয়।
বানরই এ রোগের জন্য দায়ী?
ভাইরাসটি আসলে সংক্রমিত হয় ইঁদুর, বন্য কুকুর, কাঠবিড়ালি, বানর ও খরগোশের শরীর থেকে। ত্বকের ফোসকা সম্পূর্ণরূপে ভালো না হওয়া পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারেন। অনেক ক্ষেত্রে লক্ষণ দেখা দেয়ার এক থেকে চার দিন আগে থেকেই অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে।
ছড়ায় কীভাবে?
সংক্রমিত ব্যক্তির সরাসরি যেকোনো ধরনের সংস্পর্শ বা যৌনমিলনের মাধ্যমে, ব্যবহার করা কাপড়, সুই বা অন্যান্য জিনিসপত্রের মাধ্যমে, আক্রান্ত প্রাণী শিকার করা, কাটা বা রান্না করার সময়, কম তাপমাত্রায় আক্রান্ত প্রাণীর রান্না করা মাংস খেলে এমনকি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের থেকে তাদের অনাগত শিশুর কাছেও ভাইরাসটি যেতে পারে।
জটিলতা
সঠিক চিকিৎসা না হলে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত, বিকৃত দাগ, সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, ব্রঙ্কোপনিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, কর্নিয়াল ইনফেকশন, অন্ধত্ব, সেপটিসেমিয়া, এনকেফালাইটিস ইত্যাদি হতে পারে।
প্রতিরোধ
আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। ব্যবহার করা কাপড় এবং অন্যান্য জিনিসপত্র স্পর্শ করা যাবে না।
আক্রান্ত প্রাণীর সংস্পর্শে আসা থেকে বিরত থাকুন। সংস্পর্শে এলে দ্রুত সাবান পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
প্রাণীর মাংস সঠিক তাপমাত্রায় রান্না করে খেতে হবে। যদি রোগের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
এইচএসসিতে অটোপাস নিয়ে যা জানালেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো দিতে অনইচ্ছুক পরীক্ষার্থীরা। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে অটোপাস দেওয়ার দাবি তাদের। এ কারণে কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) দিনভর ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে দাবি জানাতে থাকেন পরীক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, এদিন দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানান বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। বিকেলে মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়া নতুন সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ রুটিন বাতিল করতে বোর্ড চেয়ারম্যানকে মৌখিক নির্দেশনা দেন। এরপরই বোর্ড প্রাঙ্গণে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নতুন রুটিন বাতিল করার কথা জানান। আর অটোপাসের যে সিদ্ধান্ত সেটি প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দিতে পারেন বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, ‘আগামী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য যে রুটিন প্রকাশ করা হয়েছিল, তা শিক্ষা সচিব বাতিলের মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। তার মানে রুটিন বাতিল করা হবে।’
অটো পাস দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই। প্রধান উপদেষ্টা তোমাদের এ বিষয়টি জেনেছেন। প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, সচিব স্যাররা মিটিং করবেন। সেখান থেকে তোমাদের বিষয়টি নিয়ে ঘোষণা দিতে চান তারা। শুধু রুটিন বাতিল নয়। তোমাদের আরও যেসব দাবিগুলো আছে, সেগুলোও লিখে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। যতদূর জেনেছি, সিদ্ধান্ত তোমাদের অনুকূলে আসবে।’
জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেটা নিয়ে আবার আগামীকাল মঙ্গলবার সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষা সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানরা অংশ নিতে পারেন। সেখানেই সব কিছু চূড়ান্ত হবে।’
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর আর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার। সূচি অনুযায়ী, এখনো ১৩ দিনের মোট ৬১টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি রয়েছে।
মহাকাশীয় বিরল দৃশ্যের সাক্ষী হলেন কোটি কোটি মানুষ
মহাকাশীয় সৌন্দর্য বছরের প্রথম সুপার ব্লু মুনের অনাবিল সৌন্দর্য খালি চোখে দেখলেন ভারত ও পাকিস্থানের কোটি কোটি মানুষ।
সোমবার (১৯ আগস্ট) পাকিস্তানের মহাকাশ ও উচ্চ বায়ুমণ্ডল গবেষণা কমিশনের (সুপারকো) বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম জিও নিউজ টিভি।
মহাকাশ সংস্থাটি জানিয়েছে, সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত ১১টা ২৬ মিনিটে পাকিস্তানের আকাশে এই বছরের প্রথম সুপারমুন দেখা গেছে। পরবর্তী তিনটি সুপারমুন হবে ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৭ অক্টোবর এবং ১৫ নভেম্বর।
২০২৩ সালের ১ আগস্ট রাতের স্টার্জন মুন এবং ৩০ আগস্ট রাতের সুপার ব্লু মুন দেখা গিয়েছিল। এর প্রায় এক বছর পর এ বছরের প্রথম সুপার ব্লু মুন বিশ্ববাসীকে বিমোহিত করলো।
১৯৭৯ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী রিচার্ড নোলে সুপারমুন শব্দটি নামকরণ করেন। চাঁদ যখন পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করে তখনই ‘সুপারমুন’ দৃশ্যমান হয়। এসময় পৃথিবী ও তার একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের গড় দূরত্বের চেয়ে ৯০ শতাংশ বেশি কাছাকাছি অবস্থান করে। কক্ষপথে আবর্তিত হওয়ার সময় যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসে অর্থাৎ ৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে তখন এটি ৩০ শতাংশের বেশি উজ্জ্বল এবং ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এই অবস্থাকে সুপারমুন বলা হয়।
চাঁদকে এই সময় পৃথিবী থেকে সবচেয়ে উজ্জ্বল দেখায়।
শেখ মুজিবের নাম বাদ দিয়ে প্রাথমিক স্কুলের নতুন শপথবাক্য
দেশের প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের এখন থেকে নতুন শপথবাক্য পাঠ করানো হবে। নতুন শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল এবং পিটিআইকে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দপ্তরটির পলিসি ও অপারেশন বিভাগের পরিচালক লুৎফুর রহমানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, এখন থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআইয়ে প্রতিদিন সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর সরকার নিম্নোক্ত শপথবাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’
২০২২ সালে সরকার স্কুল-কলেজ এবং মাদ্রাসায় নতুন শপথবাক্য পাঠ করার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়। শপথ বাক্যটি হলো-
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।’
যেভাবে তৈরি হবে এইচএসসির বাতিল পরীক্ষার ফল
পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো ইতোমধ্যে বাতিল করা হয়েছে। এখন ফলাফল তৈরি ও প্রকাশ কীভাবে করা হবে, তা নিয়ে কাজ শুরু করবে শিক্ষা বোর্ডগুলো। তবে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হবে এবং এ জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
বুধবার (২১ আগস্ট) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাতিল হওয়া পরীক্ষাগুলোর ফল তৈরি করার জন্য এক বা একাধিক কমিটি গঠন করা হবে। তারা সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে ফল তৈরি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে আমরা সাবজেক্ট ম্যাপিং করে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করেছিলাম। সেই কমিটিটা এখনও রয়েছে। এ কমিটি এখন বিলুপ্ত করে নতুন আরেকটা বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করে সুপারিশপত্র জমা দেবেন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত এবং প্রকাশ করা হবে।
কবে নাগাদ কমিটি গঠন ও কাজ শুরু হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবুল বাশার বলেন, আজই এ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হতে পারে। কমিটি হলে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়ে শিগগিরই কাজ শুরু করবেন।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, কীভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব বোর্ড এটা নিয়ে আলোচনা করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে। তারপর কীভাবে ফল তৈরি ও প্রকাশ করা হবে, তা চূড়ান্ত হবে। শিক্ষার্থীরা একটু ধৈর্য ধরুক। আমরা সব জানিয়ে দেব।
দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
ভারত থেকে আসা পানি এবং ভারী বর্ষণের ফলে দেশের আট জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিভিন্ন এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আগামী তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটির বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের আট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।