সকালের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়, হুঁশিয়ারি সংকেত
সকাল ৯টার মধ্যে দেশের ৭ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবার্তায় এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং ক্সকবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আইফোন ১৬’র দাম জেনে নিন
অ্যাপলের বহুল আকাঙ্ক্ষিত আইফোন ১৬ সিরিজের ফোনগুলো উন্মোচিত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আইফোনপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্ধুতে এখন এই সিরিজের ৪টি মডেল। সেগুলো হলো- আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। সাদা, কালো, সবুজ, গোলাপি ও নীল-এই ৫ রঙে পাওয়া যাবে ফোনগুলো।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) টেক পিডিয়ার এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সংস্করণভেদে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১২০ টাকা ধরে ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি পর্দার আইফোন ১৬-এর দাম পড়বে সর্বনিম্ন ৭৯৯ ডলার বা প্রায় ৯৬ হাজার টাকা। আর ৬ দশমিক ৭ ইঞ্চি পর্দার আইফোন ১৬ প্লাসের দাম পড়বে সংস্করণভেদে সর্বনিম্ন ৮৯৯ ডলার বা ১ লাখ ৮ হাজার টাকা।
আইফোন ১৬ প্রো ও ১৬ প্রো ম্যাক্সের পর্দার আকার যথাক্রমে ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি ও ৬ দশমিক ৯ ইঞ্চি। আইফোন দুটির দাম পড়বে সংস্করণভেদে সর্বনিম্ন ৯৯৯ ডলার বা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ১ হাজার ১৯৯ ডলার বা ১ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, সোমবার (৯ আগস্ট) আইফোনের নতুন সিরিজ ছাড়াও ‘গ্লোটাইম’ ইভেন্টে উন্মোচিত হয়েছে অ্যাপলের নতুন সিরিজের এয়ারপড ও অ্যাপল ওয়াচ।
আরটিভি/এসএপি-টি
ফেরার জন্য যে পদক্ষেপ নিলো সিটিসেল
ব্যবসায় ফিরতে বাতিল হওয়া লাইসেন্স ফেরত চেয়েছে দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল।
সিটিসেলের মালিক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম গত ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) চিঠি পাঠিয়ে অপারেটিং ও রেডিও ইকুইপমেন্ট লাইসেন্স দুটি ফেরত চেয়েছে।
চিঠিতে কোম্পানিটি দাবি করেছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে প্রথমে তাদের তরঙ্গ স্থগিত করা হয়। এ জন্য সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে দায়ী করেছেন তারা।
বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি– সবমিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ফাইভজিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।
এ প্রসঙ্গে প্যাসিফিক টেলিকমের হেড অব রেগুলেটরি ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স নিশাত আলি খান বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই বিটিআরসি লাইসেন্স বাতিল করতে পারে না। তৎকালীন সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে দাবি করে তিনি এর প্রতিকার চান।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১১ জুন বিটিআরসি দেশের সিডিএমএ প্রযুক্তির একমাত্র মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয়।
আরটিভি/এসএপি-টি
ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস, ৮ জেলায় বন্যার শঙ্কা
আগস্টের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত না শুকাতেই ফের বন্যার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে আগামী সপ্তাহে দেশের আট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, আবহাওয়া সংস্থাসমূহের পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশে এবং উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে, আগামী তিনদিন চট্টগ্রাম বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, দেশের সকল প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, হালদা, সাঙ্গু ও মাতামুহুরি নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ছাড়া দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতার প্রেক্ষিতে আগামী তিনদিন বরিশাল ও খুলনা বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষার শুরুতে জুনের দ্বিতীয়ার্ধে দেশে ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বন্যার কবলে পড়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ দুর্ভোগে কাটে সিলেট, সুনামগঞ্জসহ আশপাশের জেলার বাসিন্দাদের। পরের মাসেও (জুলাই) উজানের ঢলে প্লাবিত হয় দেশের উত্তর ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের অনেক গ্রাম। কিন্তু বন্যার ভয়াবহ রূপ ধারণ করে আগস্ট মাসে। অতি ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারত থেকে নেমে আসা তীব্র ঢলে গত ২০ আগস্ট থেকে দেশের ১১ জেলায় (নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার) বন্যায় তলিয় যায়।
হঠাৎ এমন বন্যায় ভেসে যায় ঘরবাড়ি, স্কুল, গ্রাম, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট। অধিকাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দেখা দেয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৭১ জনের।
আরটিভি/আরএ
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা, বৃষ্টি যতদিন থাকবে জানাল আবহাওয়া অফিস
সেপ্টেম্বর মাসে সম্ভাবনা না থাকলেও অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে আগামী তিন দিনের বর্ধিত সময়ে বৃষ্টি কমতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আবহাওয়া অফিসের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ।
তার স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (৫ নম্বর) বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগেরে থাকা স্থল নিম্নচাপটি সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘণীভূত হয়ে আজ সকালে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নিম্নচাপটির প্রভাবে শনিবার সারাদেশে বৃষ্টিপাত হবে। যা থাকবে আগামীকাল পর্যন্ত। তবে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাত কমে যাবে।
এই স্থল গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সারাদেশে গত দুইদিনে বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগে অতিভারী বর্ষণ হয়েছে। এরমধ্যে কক্সবাজারে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। দেশের প্রতিটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর আর নদী বন্দর দুই নম্বর সতর্ক সংকেত দেখে যেতে বলা হয়েছে। যা আগামীকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
অন্যদিকে শনিবার সকাল ৯টায় দেওয়া আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিম বঙ্গ, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। ফলে সারাদেশে আগামী তিন দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সংস্থাটি জানায়, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা (২-৩) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
যেদিন থেকে কমবে বৃষ্টি
টানা চার দিন ধরে দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে নিম্নচাপের প্রভাবে শনিবার ঢাকায় দিনভর বৃষ্টি হয়েছে, যা রাতেও অব্যাহত ছিল। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ভারী বৃষ্টির কারণে পানিতে তলিয়ে গেছে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন অঞ্চল। এ অবস্থায় আজও (রোববার) বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকাসহ সারাদেশে আজও বৃষ্টি থাকবে। সোমবার থেকে কমতে পারে। সমুদ্র বন্দরগুলোতে সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।
এদিকে, রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকায় ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে পটুয়াখালীতে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া একই সময়ে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়।
বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টি আগামী তিন দিনও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়েও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আরটিভি/এসএপি/এআর
৯ জেলায় ঝড়-বৃষ্টি, হুঁশিয়ারি সংকেত
দেশের ৯ জেলায় রাতের মধ্যে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
অবশ্য সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
আরটিভি/এসএপি/এআর