• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সকল বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তথ্য চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ জুলাই ২০১৬, ১৩:৫৮

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ তালিকা চেয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

মন্ত্রীর এ নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম সাদি দেশের সকল স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে সারাদেশে চালু বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রীর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মোট সংখ্যা, তার মধ্যে কতগুলো লাইসেন্সপ্রাপ্ত ও লাইসেন্সবিহীন, লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে থাকলে নবায়ন হয়েছে কি না, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, জনবল ও যন্ত্রপাতি আছে কিনা সে সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে দেশে বেসরকারি পর্যায়ে গড়ে ওঠা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সঠিক তালিকা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) প্রকাশিত বার্ষিক হেলথ বুলেটিন ২০১৫ অনুযায়ী বেসরকারি পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৪ হাজার ২শ ৮০টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং ৯ হাজার ৬১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তবে অবৈধ বা লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো হিসেবে অধিদপ্তরে নেই।

প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ছাড়াই সারাদেশে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে নামসর্বস্ব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালিত অভিযানে ভয়াবহ চিত্র পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করেই নামসর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন কমিটির বর্তমান সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুবের মতে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এখন সেবা নয়, পণ্য বা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। কঠোর পর্যবেক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করতে না পারলে নিরীহ মানুষ পকেটের টাকা খরচ করে চিকিৎসার পরিবর্তে অপচিকিৎসা পাবে।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh