• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

এ ফরেস্ট হোয়্যার গডস লিভ

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৩ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:০২

প্রকৃতি আর মানুষ যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেটি ফুটিয়ে তুলতে এক ব্যতিক্রমী শিল্প প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে টিমল্যাব নামের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইট, সাউন্ড ও প্রজেকশনের মতো প্রযুক্তির ব্যবহার করে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাপানি এই প্রতিষ্ঠানটি। গেলো ১৪ জুলাই থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে টিমল্যাব।

এডো যুগের শেষ দিকে ১৮৪৫ সালে মিফুনেইয়ামা রাকুয়েন পার্ক তৈরি করা হয়। পাঁচ লাখ স্কয়ার মিটারের এই পার্কটির বয়স এখন ১৭২ বছর। পার্কের প্রান্ত ঘেঁষে তাকেও মন্দিরে একটি তিন হাজার বছর বয়সী পবিত্র ওকুসু গাছ রয়েছে। শুধু তাই নয় পার্কের ঠিক মাঝখানে তিনশ বছর বয়সী আরেকটি পবিত্র গাছ রয়েছে।

আর এই পার্কটিকে ব্যবহার করেই ‘এ ফরেস্ট হোয়্যার গডস লিভ’শিরোনামে লাইট, প্রজেকশন, সেন্সর ও শব্দের ব্যবহার করে শিল্পকর্ম তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

টিমল্যাব তাদের এই প্রজেক্টকে বলছে ‘ডিজিটাল নেচার’। তারা বলছে, এ ধরনের শিল্প ভাবনায় ‘প্রকৃতি শিল্পের অংশ’হয়ে যায়।

তাদের মূল কনসেপ্ট ছিল প্রকৃতিকে ক্ষতি না করে ডিজিটাল শিল্প তৈরি করা।

আমরা টিকে আছি জীবন ও মৃত্যুর এক চলমান প্রক্রিয়ায়। কিন্তু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এটা অনুভব করা খুব কঠিন।

যখন আমরা প্রকৃতির কাছাকাছি থাকি তখন এগুলো বুঝতে পারি। বন, পাথর ও গুহা আমাদের জীবনের এই চক্রকে নতুনত্ব দেয়। আর এর সঙ্গে ডিজিটাল আর্ট এক ব্যতিক্রম পরিবেশের সৃষ্টি করে। যা জীবনের এই চক্রকে আরো কাছে থেকে গভীরে গিয়ে উপলব্ধি করতে শেখায়।

টিমল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং ক্রিয়েটিভ ড্রাইভিং ফোর্সের প্রধান তোসিইউকি ইনোকি বলেছেন, তারা এই পার্ক বেছে নেয়ার কারণ হচ্ছে- এটি প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ। এক সময় এখানে বন্যতা পুরো দমে বিকশিত হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে শিল্প, প্রকৃতি, মানুষ ও অন্য যেকোনো প্রাণের অস্তিত্ব যে একসূত্রে গাঁথা সেটি ফুটিয়ে তোলা। আমরা মানুষকে তার বিবর্তনের মূলে নিয়ে যেতে চাই।

শিল্পকর্মগুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য কোনো ধরনের বাড়তি কিছু ব্যবহার করা হয়নি। অর্থাৎ লাইট, সাউন্ড ও প্রযুক্তি কোনো কিছুই ভৌত উপাদান নয়। তাই প্রকৃতির কোনো কিছুই পরিবর্তন না করেই এই শিল্পকে তুলে ধরা সম্ভব, বললেন ইনোকি।

এই প্রদর্শনীতে মোট ১৪টি শিল্পকর্ম তুলে ধরা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘ইউনিভার্স অব ওয়াটার পার্টিক্যালস অন অ্যা সেকরেড রক’, যেটিতে জলপ্রপাতে প্রজেকশন তৈরি করা হয়েছে। আরেকটি শিল্পকর্ম হচ্ছে ‘এভার ব্লুসুমিং লাইফ রক’যেখানে জীবন-মৃত্যুর চক্রকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

‘স্প্লিট রক অ্যান্ড এনসো’-তে জাপানের ক্যালিওগ্রাফির দীর্ঘ ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

২০০১ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে টিমল্যাব। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৪৫০ জন কর্মী রয়েছেন যারা নিজেদের ‘আল্ট্রা-টেকনোলজিস্টস’হিসেবে অভিহিত করেন। এই দলে রয়েছেন শিল্পী, স্থপতি, ডিজাইনার, অ্যানিমেটর, প্রোগ্রামার ও ইঞ্জিনিয়ার। তবে ‘এ ফরেস্ট হোয়ার গডস লিভ’ টিমল্যাবের সবচেয়ে বড় প্রজেক্ট।

আগামী বছর প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ধরনের আরো দুটি প্রদর্শনী চিন্তাভাবনা করছে টিমল্যাব।

এ/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh