আদালতের নির্দেশনার পরও হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে তোয়াক্কা নেই
হাইড্রোলিক হর্ন বন্ধে একের পর এক উদ্যোগ নিয়েও বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। পরিবেশ ও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এ হর্নের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে গেলো দেড় মাসে দু’বার নির্দেশনা দেন উচ্চ আদালত। তারপরও কারো যেন তোয়াক্কা নেই।
এদিকে নিকটস্থ থানায় হাইড্রোলিক হর্ন জমা দিতে হাইকোর্টের বেঁধে দেয়া (১৫ দিনের) সময়সীমার ২৩ অক্টোবরে ছিলো শেষ দিন।
গেলো ২৩ আগস্ট দেয়া নির্দেশনায় ২৭ আগস্টের পর হাইড্রোলিক হর্ন বাজালে গাড়ি জব্দ করতে বলে হাইকোর্ট। কিন্তু কীসের কি? উল্টো আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেশিরভাগ যানবাহনে ব্যবহার হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর এসব হাইড্রোলিক হর্ন।
পরে চলতি মাসের ৮ তারিখে আরো একটি নির্দেশনা আসে উচ্চ আদালত থেকে। যেখানে ২৩ অক্টোবরে মধ্যে হাইড্রোলিক হর্ন কাছের থানায় জমা দিতে গাড়ির মালিক-চালককে নির্দেশ দেয়া হয়।
সাধারণ শব্দের মানমাত্রা ৪০ থেকে ৪৫ ডেসিবল। তার চে’ বেশি মাত্রার শব্দে মানুষের শ্রবণশক্তি লোপ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি করে। অথচ হাইড্রোলিক হর্ন ১০০ ডেসিবলের বেশি মাত্রার শব্দ করে।
সমাজ বিশ্লেষক ডক্টর মনিরুল ইসলাম খান জানান, নির্দেশনার পাশাপাশি তা ঠিকভাবে কার্যকর হচ্ছে কী-না সেটিও দেখা দরকার।
তবে এতো কথা যাকে নিয়ে সেই হাইড্রোলিক হর্নও হাতের নাগালে পেতে বেগ পেতে হয় না। চাইলেই মেলে, দামও কম। তাই সচেতনতার সঙ্গে জরুরি এর আমদানি, উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা।
আরকে/জেএইচ
মন্তব্য করুন