• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এমপি রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৫৮

টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে এমপি রানাসহ এ হত্যা মামলার সব আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

এর মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার বিচার শুরু হলো।

আসামি এমপি রানা এ সময় আদালতে মামলার পুনঃতদন্ত চেয়ে দুটি আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

সকাল ১০টার দিকে এমপি রানাকে টাঙ্গাইলে আদালতে হাজির করা হয়। এর আগে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৮ বার পেছানো হয়েছিল।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর এ আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন।

এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, আইন অনুযায়ী আসামি কারাগারে থাকলে তার উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি করতে হয়। ফারুক হত্যা মামলার আসামি আমানুর যেহেতু কারাগারে রয়েছেন এবং অভিযোগ গঠনের তারিখগুলোতে অসুস্থতার কথা বলে হাজির করা হয়নি। তাই শুনানি সম্ভব হয়নি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলের কলেজপাড়া এলাকায় তার বাসার সামনে পাওয়া যায়।

ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে।

২০১৪ সালের আগস্টে এ মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

এরপর থেকে আমানুর ও তার ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান। গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি আমানুর, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh