• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রোজা ফরজ হয় কখন

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ০৪ জুন ২০১৭, ১২:৪৮

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'সাত বছর বয়স হলে তোমরা তোমাদের সন্তানদের নামাজের জন্য নির্দেশ দাও এবং ১০ বছর হলে (নামাজ না পড়লে) তাদের প্রহার করো । আর তাদের বিছানা পৃথক করে দাও।' (মুসনাদে আহমদ : ৬৭৫৬)।

সাত বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দেয়া হবে, ১০ বছর বয়সে নামাজে বাধ্য করতে হবে, এবং বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হলে অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে।

বিভিন্ন আলামতে প্রকাশ হয় যে, সন্তানের বয়স ১২ বছর হলে বালেগ হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। রোজার ক্ষেত্রে একই নিয়ম। সাত বছর বয়সে রোজা রাখা কঠিন হলেও রোজা রাখার চর্চা শুরু করতে হবে; কিন্তু বালেগ হলে বা ১২ বছর হলে অবশ্যই রোজা রাখতে হবে। এজন্য আগে থেকেই রোজা রেখে ফরজ রোজার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

অভিভাবকদের কর্তব্য : অভিভাবকদের কর্তব্য হলো সন্তানদের ছোটবেলা থেকেই রোজা রাখতে উদ্বুদ্ধ করা এবং এ বিষয়ে দরকারি শিক্ষা দেয়া। বালেগ হবার আগেই তাদের রোজা রাখার নির্দেশ দিতে হবে এবং রোজা না রাখলে তিরস্কার ও শাসন করতে হবে। ১০ বছর বয়স হলে নামাজের ক্ষেত্রে যেমনটি করতে বলা হয়েছে, রোজার ক্ষেত্রেও তাই করতে হবে। যাতে বালেগ হবার পর সে নিজে থেকে রোজা রাখতে উৎসাহ ও স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

ছোটদের রোজা রাখার সামর্থ্য হলেই রোজা রাখতে শুরু করবে এবং এ ব্যাপারে অভিভাবকরা তাদের সাহায্য করবেন। উৎসাহ দেবেন এবং তারা কীভাবে কী করছে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখবেন।

রাসূলুল্লাহ (স.)এর সাহাবিরাও তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম-কানুনগুলো পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, প্রতিটি ব্যক্তি তার পরিবারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল এবং সে তার অধীনদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবেন।' (নাসায়ি : ৯১৭৩)।

পবিত্র কোরআন এ আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন... يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের উপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। [২:১৮৩]

রোজা কার জন্য ফরজঃ

১. ছেলে মেয়ে বালেগ হলে (১২ বছর বয়সকেই বোঝানো হয়েছে)

২. মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। রোজা কোন অমুসলিমের জন্য ফরজ নয়।

৩. নাবালগের ওপর রোজা ফরজ নয়, অর্থাৎ ১২ বৎসর বয়সের কম বয়স হলে রোজা ফরজ হবে না।

৪. শারীরিক ভাবে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোজা রাখার নিয়ম নেই। তবে সাধারণ অসুখ বিসুখ হলে যদি সে রোজা রাখার উপযোগী হয় তবে সে রোজা রাখতে পারবে।

৫. সুস্থ মস্তিস্কের অধিকারী হওয়া।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh