• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে মোবাইল পকেট স্কুল

আরটিভি নিউজ

  ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ২৩:১১
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে মোবাইল পকেট স্কুল

ইন্টারনেটের প্রসারের কারণে মানুষ খুব সহজেই তাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারছে। এর জন্যই বর্তমানে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে যারা নিজেদের আইডিয়াগুলোকে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে ব্যবহার করে সফলতা পাচ্ছে। এমনই একজন তরুণ উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম যে কি-না মাত্র ২৩ বছর বয়সে দেশের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে চলেছেন ডিজিটাল উপায়ে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্ট্রং সিকিউরিটি সিস্টেম,স্কুল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, স্মার্ট ট্র্যাফিক সল্যুশন ।

ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় এবং এরই সঙ্গে সম্ভাবনাময় এই ক্ষেত্রে আকাশ সমান স্বপ্ন নিয়ে পথচলা শুরু করেন মো. আরিফুল ইসলাম। চট্টগ্রামের আত্মপ্রত্যয়ী এক তরুণ, যিনি পড়াশোনার পাশাপাশি ভেবেছিলেন কর্মসংস্থানের এক নতুন ঠিকানা হতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি। ছোটবেলা থেকেই ভিন্ন কিছু করার প্রত্যয়ে তার এই ভিন্ন ভাবনাগুলো। অন্যদের মতো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার কিংবা সরকারি কর্মকর্তা, এসব পেশা কখনো আকৃষ্ট করেনি এই স্বপ্নবান তরুণকে। এই কর্মোদ্যমী তরুণ স্বপ্ন দেখেছেন ‘উদ্যোক্তা’ হওয়ার।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার বিভিন্ন সময় তরুণদের ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে তরুণদের যেভাবে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার জন্য আমার মতো অনেক তরুণ উদ্ভাবকরা তাদের সুন্দর সুন্দর ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। আমি বেসিক্যালি ২০১৭ সালে একটি স্টার্টআপ ফার্ম করি যেটির নাম হল টেক মেকার্স সিস্টেম, শুরুর দিকে আমি ক্লাইন বেস্ট কাজগুলা করতাম। একটা সময় চিন্তা করলাম যে আমাদের দেশে তো অনেক সমস্যা আমরা চাইলে তো এগুলো ডিজিটাল উপায়ে সমাধান করতে পারি। তখন চিন্তা করলাম যে আমি আসলে একা চাইলে বড় কিছু করতে পারবো না। তাই আমি একটা টিম করলাম।

তারপর আমরা অনেকগুলা প্রবলেম সলভিং প্রজেক্ট নিয়ে চিন্তা করলাম, আমরা আমাদের প্রথম প্রজেক্ট মোবাইল পকেট স্কুল করলাম। মোবাইল পকেট স্কুল হলো মূলত একটি স্কুল ম্যানেজমেন্ট সলিউশন যেটির সাহায্যে মূলত স্কুল আর অভিভাবকদের মাঝখানে যে গ্যাপটা আছে সেটি ফুলফিল করে।

এতে অনেক অ্যাডভান্স কিছু ফিচারস আছে। যেমন একজন স্টুডেন্ট স্কুলে উপস্থিত হলে তার গার্ডিয়ানের কাছে সাথে সাথে এসএমএস চলে যায় এবং স্কুল থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে একটি এসএমএস চলে যায় । এ ছাড়া স্কুলের নোটিশ, প্রতিটা এক্সামের রেজাল্ট, স্কুলের বকেয়া ফিসহ প্রয়োজনীয় সকল তথ্যঘরে বসেই জানতে পারে একজন অভিভাবক।

তিনি আরও বলেন, একজন স্টুডেন্ট একটানা তিন দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে গার্ডিয়ানের কাছে একটি অটোমেশন কল চলে যায়। রিসেন্টলি আমরা আরও একটি ফিচার নিয়ে কাজ করছি সেটা হল গার্ডিয়ান ঘরে বসেই যেকোনো সময় একটি ছোট ডিভাইসের সাহায্যে তার সন্তানের লোকেশন জানতে পারবে। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের এই প্রজেক্টে আমরা অনেক বেশি সফল, আর এ প্রজেক্টে স্কুল এবং গার্ডিয়ানরা ২ পক্ষই অনেক উপকৃত হয়েছে। ডেফিনেটলি আমি বলব আমাদের এই প্রজেক্টটি একটি প্রবলেম সলভ করছে। বর্তমানে আমরা একটি স্মার্ট সিকিউরিটি সিস্টেম নিয়ে কাজ করছি। যেটির সাহায্যে আমরা বিভিন্ন করপোরেট অফিসগুলোতে স্ট্রং সিকিউরিটি সিস্টেম অ্যানশিউর করতে পারব। এ ছাড়া আমরা আরও একটি আইওটি বেসড প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। সবাই জানি আমাদের দেশে অনেক বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। আমরা একটা ডিভাইস নিয়ে কাজ করছি যেটার সাহায্যে এসব দুর্ঘটনা আমরা কিছুটা হলেও কমাতে পারবো। আমাদের দেশের সড়ক দুর্ঘটনার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি কারণ হচ্ছে ড্রাইভাররা ড্রাইভ করা অবস্থায় অনেক সময় ঘুমিয়ে পড়ে। আমাদের ডিভাইসের কাজ হবে ড্রাইভাররা যখন একটু ঝিমাবে তখন ডিভাইসটা ড্রাইভারের আই ডিটেক্ট করার মাধ্যমে একটি সাইরেনের মাধ্যমে ড্রাইভারকে অ্যালার্ট করে দেবে।

তাছাড়া অনেক সময়ই ড্রাইভাররা অতিরিক্ত স্পিডে গাড়ি চালায়। আমাদের ডিভাইসটা একটি নির্দিষ্ট স্পিডের বেশি গাড়ি ড্রাইভ করলে সাথে সাথে ওয়ার্নিং দিয়ে দেবে। আমরা আশা করছি এই ডিভাইসের সাহায্যে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা কিছুটা হলেও প্রতিরোধ করতে পারব। আমরা যারা টেক সেক্টরে কাজ করছি সবাই যদি আমরা এক একটা সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করি তাহলে আমরা খুব শিগগিরই একটি স্মার্ট বাংলাদেশ করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

এমএন

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ইন্টারনেট গ্রাহক কমেছে ৩৫ লাখ
‘৮৫ হাজার টাকার ব্যান্ডউইথ ৬০ টাকায় নামিয়ে এনেছি’
খরচ বেড়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের
উচ্চগতির ইন্টারনেট ‘জীবন’ যুগে ঢাকা বিভাগ
X
Fresh