রাস্তায় নেমে ঐতিহ্যবাহী গান-বাজনায় রমজানকে স্বাগত জানান ইরানিরা (ভিডিও)
‘রমজান দেশে দেশে’র আজকের আয়োজনে থাকছে ইরানের কথা।
দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার পারস্য উপসাগরীয় দেশ ইরান। জাতি ও ভাষাগতভাবে বৈচিত্র্য থাকলেও, শিয়া অধ্যুষিত দেশটিতে বিভিন্ন আয়োজনে শুরু হয় রমজান। এলাকা ও গোত্রভেদে রোজার রীতি-নীতিতে পার্থক্য থাকলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে নেই তেমন কড়াকড়ি।
রাস্তায় নেমে ঐতিহ্যবাহী গান বাদ্য-বাজনায় রমজানকে স্বাগত জানান ইরানিরা।
সাধারণত পানি, খেজুর, নানরুটি, মধু, মিষ্টি চা, তাবরিজি নামের পনির, আখরোট স্যান্ডউইচ ও জাফরান মেশানো হালুয়া দিয়ে রোজা ভাঙেন ইরানিরা। ইফতারের শুরুতে গরম গরম চা ও খিচুড়িও তাদের পছন্দ।
এছাড়া তালিকায় থাকে স্যুপ, দুধ, বিভিন্ন ফল, জিলাপির মতো জুলবিয়া, হালিম, চাল-চিনি-জাফরান মেশানো ক্ষীর-শোলে জর্দা। আরো থাকে টমেটো, শসা, লেটুসের সালাদ ও পুদিনা-ধনিয়ার মতো সুগন্ধি পাতাও।
ইফতারের সময় খাবার ও পানীয় নিয়ে রাস্তায় পথচারীদের আপ্যায়ন করতে ভীষণ পছন্দ করে ইরানিরা। রেওয়াজ আছে মসজিদ, স্বজন ও প্রতিবেশীর বাড়িতে ইফতার পাঠানোরও।
রোজাদারদের জন্য বিভিন্ন রেস্তোরায় দেদারসে তৈরি হয় রুটি, পনির, চা, কোফতা ও ডিমের ওমলেট- কুকু। ডিনারেও থাকে প্রায় একই রকম খাবার। রেস্তোরাগুলোয় পর্দা টানানো হলেও রুটির দোকান থাকে খোলা।
রোজায় বন্ধ থাকে সেখানকার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলো। কর্মস্থলেও কমে কর্মঘন্টা। বাজার থাকে স্থিতিশীল। বিভিন্ন পণ্যে ভর্তুকি দেয় সরকার।
এ সময় কোরআন তেলাওয়াত করেন সেখানকার প্রায় সবাই। আয়োজন হয় মাহফিলের। কোরআন-হাদিস চর্চা, ওয়াজ-নসিহত ও দিক-নির্দেশনা দিতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েন আলেম ও মাদ্রাসা ছাত্ররা। মসজিদে মসজিদে থাকে ইফতার ও সেহরির ব্যবস্থা।
শিয়া মাজহাবে তারাবির গুরুত্ব না থাকায় ইফতারের পর কেবল এশার নামাজ আদায় করেন ইরানিরা।
আরকে
মন্তব্য করুন