• ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বাঁচুন ‘দিনের মশা’র কামড় থেকে

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ২০ মে ২০১৭, ১৭:৫৫

গেলো কিছুদিন ধরে রাজধানীসহ ঢাকায় চিকুনগুনিয়া জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। যেহেতু দিনের বেলায় মশার কামড়ে রোগটি ছড়িয়ে থাকে, তাই মূল সতর্কতা হিসেবে মশার কামড় থেকে বাঁচার ব্যবস্থা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ঘরের বারান্দা, ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে পানি বেশি জমে না থাকে। ঘরের ভেতর এসি বা ফ্রিজের নীচেও যেন পানি না জমে থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই মশাটি দিনের বেলায় কামড়ায়, তাই দিনের বেলায় ঘুমলে অবশ্যই মশারি ব্যবহার বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। ছোট বাচ্চাদের হাফপ্যান্টের বদলে ফুলপ্যান্ট পড়াতে হবে।

চিকিৎসকরা বলছেন, দুইমাস ধরে এ রোগীর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। একই পরিবারের একাধিক সদস্য এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে চলতি মাসের শুরু থেকেই রাজধানীবাসী আক্রান্ত হচ্ছেন চিকুনগুনিয়াতে। এই জ্বর ভালো হবার পরও অন্তত দু’মাস ভোগান্তি পোহাতে হয়।

গেলো বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) আয়োজিত এক সভায় ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মেহেরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ঢাকার কলাবাগান, গ্রিনরোড কাঁঠালবাগান এবং রামপুরা এলাকায় চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেশি।

চিকিৎসকরা বলছেন, চিকুনগুনিয়া এডিস মশা থেকেই হচ্ছে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পানি বাসাবাড়ির ছাদে বা বারান্দার টবে জমছে। ওইখানে এডিস মশা ডিম পাড়ে। এতে মশা বেড়েছে, আর তাই রোগটির প্রকোপও বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণা বলছে, নারীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হবার হার তুলনামূলকভাবে বেশি।

চিকুনগুনিয়া রোগ : চিকুনগুনিয়া রোগের প্রথমদিন থেকেই রোগীর অনেক বেশি তাপমাত্রায় জ্বর ওঠে। প্রায়ই তা একশো চার/পাঁচ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় উঠে যায়। একই সঙ্গে মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, বিশেষ করে হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা হয়। জ্বর চলে যাবার পর শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠে। জ্বর ভালো হলেও রোগটি অনেকদিন ধরে রোগীদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

এ রোগের চিকিৎসা : চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ ডেঙ্গু এবং জিকার মতোই। তাই চিকিৎসায় অবহেলা করা উচিত নয়। প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেয়ে জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। প্রচুর পানি, ফলের রস, সরবত খেতে হবে। নাহলে শরীরে পানিশূন্য হয়ে যাবে।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের গবেষণায় বলা হয়, ১৯৫২ সালে প্রথম তানজানিয়ায় রোগটি সনাক্ত হয়। তবে এখন বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে রোগটি দেখা যায়।

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh