ইউটিউবে যেসব ভিডিও ভুলেও প্রকাশ করা যাবে না

বর্তমান নেট দুনিয়ায় ইউটিউব একটি বিশাল জায়গা দখল করে রেখেছে।অবসর পেলেই মানুষ চোখ রাখছে ইউটিউবে। দেখছে পছন্দের সব ভিডিও। বিনোদনের অন্যতম এক সঙ্গী হয়ে উঠেছে এটি।

শিক্ষামূলক বিষয় থেকে শুরু করে বিনোদন, সংবাদ কিংবা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এমন কোনও বিষয় নেই যা পাওয়া যায় না ইউটিউবে। এই ভিডিও প্ল্যাটফর্মটি একটি গণমাধ্যমের মতোই ভূমিকা পালন করে। তাই মন চাইলেই যেকোনও কনটেন্ট এখানে দেওয়া যাবে, বিষয়টি কিন্তু তা নয়।

মূলত সামাজিক এবং পরিবেশগত দায়বদ্ধতায় তাদের ভিডিও আপলোডের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন। গাইডলাইনটির মূল বিষয় হলো, কোনও ক্ষতিকর ভিডিও এই প্ল্যাটফর্মে দেওয়া যাবে না। তারপরও এসব কনটেন্ট আপলোড করলে ইউটিউব বিজ্ঞাপন বন্ধ, ভিডিও সরিয়ে দেয়া এবং অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এসব নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন ইউটিউবের সাইটেই বলা আছে।

ইউটিউব যে বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করছে তা হলো, বিশেষ কোন ধরনের ভিডিও ইউটিউবে দেওয়া যাবে না। ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও ভুল তথ্য বা অপপ্রচার করা যাবে না। অনুমোদিত ভ্যাকসিন নিয়ে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিলেই সেই ভিডিও বাতিল করবে ইউটিউব।

গুগল জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ ভিডিও সরানো হয়েছে এসব কারণে। করোনা নিয়ে ভুল বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালেও একই ব্যবস্থা। করোনা নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাদাতা সংস্থা কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যের সঙ্গে অসঙ্গতিমূলক তথ্য প্রচার করা যাবে না। এমনকি, করোনা আছে বা নেই এমন প্রশ্নও করা যাবে না এখানে। করোনা নিয়ে নীতিমালাও করেছে ইউটিউব। এছাড়া নির্বাচন নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোনও এলাকার নির্বাচন নিয়ে অপপ্রচার বা ভুল তথ্য প্রচার করা যাবে না। নির্বাচিত হওয়ার আগে কাউকে জয়ী ঘোষণা করলেও রয়েছে বিপদ। হয়রানি বা হুমকিমূলক কোনও ভিডিও দেওয়া যাবে না ইউটিউবে।

ইউটিউবের বিধি অনুযায়ী, কম বয়সী বা ১৮-এর নিচে বয়সী কাউকে লজ্জা দেওয়া, ছোট করে বা অপমান করে ভিডিও দেওয়া যাবে না। প্রতারণা করার ভিডিও প্রচার করা যাবে না। অন্য কোনও ভিডিওতে বিদ্বেষমূলক কমেন্ট করার জন্যও কাউকে কিছু বলা যাবে না।

মানুষের পরে আছে প্রকৃতি। জলবায়ু নিয়ে অবৈজ্ঞানিক ভিডিও প্রচার করা যাবে না। জলবায়ুর পরিবর্তনকে অস্বীকার করে ভিডিও দিলে তাতে বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিবে ইউটিউব।

প্রকাশক এবং নির্মাতাদের মনিটাইজেশনের নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের অস্তিত্ব এবং কারণ নিয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অস্বীকার করে তৈরি কোনও ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে না।

এমএন/এসকে