• ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
logo

রাজধানীতে ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ১৫ মে ২০১৭, ১৭:৫২

রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়ছে মশাবাহিত রোগ ‘চিকুনগুনিয়া’। এডিস অ্যালবোপিকটাস ও এডিস এজেপটি প্রজাতির মশার কামড় থেকে এ রোগের উৎপত্তি। এবারের গরমে রাজধানীর অনেকেই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, চিকুনগুনিয়া একটি ভাইরাসবাহিত রোগ। জীবনের জন্য এ রোগ সরাসরি হুমকি নয়, তবে এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর নানা শারীরিক অসঙ্গতি দেখা দেয়।

বিএসএমএমইউ আবাসিক চিকিৎসক ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল এ রোগের লক্ষণ হিসেবে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, মাথাব্যথা, সর্দি, বমিবমিভাব, হাত ও পায়ের গিটে এবং আঙ্গুলের গিটে ব্যথা সাধারণত এসবই উপসর্গ। মশা থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এ রোগের জীবানু। আবার আক্রান্ত মানুষকে কামড় দিলে মশাও আক্রান্ত হয় এবং বাহক হিসেবে আবার মানবদেহে প্রবেশ করে।

তিনি বলছেন, শুধু নারী এডিস মশার কামড়েই এই রোগ হতে পারে। সাধারণত মশায় কামড়ানোর ৫ দিন পর থেকে শরীরে লক্ষণগুলো ফুটে ওঠে বলে তিনি জানান।

উজ্জল জানান, ২০০৫ সালে ভারতে এ রোগের ভয়াবহতা দেখা দিলে সে সময় ১৪ লাখ মানুষের আক্রান্তের খবর সংগ্রহ করা হয়। বাংলাদেশে প্রথম এ রোগে আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় ২০০৮ সালে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

উজ্জল আরো বললেন, আপাতত এ রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। জ্বর ও মাথা ব্যথার চিকিৎসাতেই এ রোগ সেরে ওঠে। তবে মশার কামড় থেকে দূরে থাকতে হবে।

জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক ড. মাহমুদুর রহমানও বললেন একই কথা। তিনি বলছেন, এবারই প্রথম দেখা যাচ্ছে এ জ্বর ১০৪ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠছে। এজন্য জ্বর নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ প্যারাসিটামল ও গা মুছে দিতে হবে। বেশিদিন জ্বর থাকার কথা নয়। সাধারণত চার থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত জ্বর থাকে। তারপর নেমে যাওয়ার কথা। তা না হলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে।

তিনি বলেন, অন্যসব ভাইরাসজনিত জ্বরের মতোই এর কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। প্রচুর পানি, শরবত, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি পান করতে হবে। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল। চিকুনগুনিয়ার কোনো ভ্যাক্সিন এখন পর্যন্ত নেই।

এসজে

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh