• ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গৌতম বুদ্ধের জন্মোৎসব আজ, ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা’

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ০৯ মে ২০১৭, ২৩:৪০

বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন আজ। একইসঙ্গে বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণও এই দিনে। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, আড়াই হাজার বছর আগে আজকের দিনে মহামতি বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে প্রধান উৎসব। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ‘শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা’ হিসেবে দিবসটি পালন করে আসছেন।

বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এই দিনকে বৈশাখী পূর্ণিমা বা ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’নামেও ডাকা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। আজ সরকারি ছুটির দিন।

এদিকে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের জন্য নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।

এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বৌদ্ধ সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারাও এ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বৌদ্ধ ধর্মমতে, উত্তর-পূর্ব ভারতের কপিলাবাস্তু নগরীর রাজা শুদ্ধোধন এর ছেলে ছিলেন সিদ্ধার্থ(গৌতম বুদ্ধ)। খ্রিস্টের জন্মের ৫৬৩ বছর আগে এক শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে লুম্বিনি কাননে (নেপাল) জন্ম নেন সিদ্ধার্থ(গৌতম বুদ্ধ)। তার জন্মের ৭ দিন পর মা রানি মহামায়া মারা যান।

সে সময় জনৈক কপিল নামক সন্ন্যাসী কপিলাবাস্তু নগরীতে আসেন। তিনি সিদ্ধার্থকে দেখে ভবিষ্যৎবাণী করেন যে, সিদ্ধার্থ ভবিষ্যতে হয় চারদিকজয়ী রাজা হবেন। নয়তো একজন মহামানব হবেন। মা মারা যাবার পর সৎ মা মহাপ্রজাপতি গৌতমী তাকে লালন-পালন করেন। তাই তার অপর নাম হয় গৌতম। ছোটোবেলা থেকেই সিদ্ধার্থ সব বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন। কিন্তু সিদ্ধার্থ সংসারের প্রতি উদাসীন ছিলেন বলে তাকে সংসারি করানোর জন্য ১৬ বছর বয়সে রাজা শুদ্ধোধন যশোধরা মতান্তরে যশোধা বা গোপা দেবী নামক এক সুন্দরী রাজকন্যার সঙ্গে বিয়ে দেন। সেই ঘরে তার রাহুল নামে একটি ছেলে হয়।

মানুষের জীবনের দুঃখের কারণ খুঁজতে গিয়ে ২৯ বছর বয়সে গৃহ্ত্যাগ করেন বুদ্ধ। দীর্ঘ ৬ বছর কঠোর সাধনার পর তিনি বুদ্ধগয়া নামক স্থানে একটি বোধিবৃক্ষের নিচে বোধিজ্ঞান লাভ করেন। সবার আগে বুদ্ধ তার ধর্ম প্রচার করেন পঞ্চ বর্গীয় শিষ্যের কাছে। তারা হলেন কৌন্ডিন্য, বপ্প, ভদ্দিয়, মহানাম ও অশ্বজিত। এরপর দীর্ঘ ৪৫ বছর বুদ্ধ ভারতের বিভিন্ন স্থানে তার বৌদ্ধ ধর্মের বাণী প্রচার করেন। এবং তার প্রচারিত বাণী ভারত ছাড়াও অন্যান্য দেশে ও দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে খ্রিস্টের জন্মের ৪৮৩ বছর আগে কুশীনগর নামক স্থানে ৮০ বছর বয়সে মহামতি বুদ্ধ মৃত্যু বরণ করেন।

গৌতম বুদ্ধের প্রচারিত বানীর মূল অর্থ হলো অহিংসা। বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা হলো সব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সবরকম বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য। এটাকে নির্বাণ বলা হয়। নির্বাণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিভে যাওয়া। কিন্তু বৌদ্ধ মতে নির্বাণ হলো সবরকম দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ।

এমকে/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh