• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
logo

বৃদ্ধাশ্রমে অবহেলিতদের পাশে

বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম সংগঠন

আরটিভি নিউজ

  ২৬ জুলাই ২০২১, ২১:৩৪
বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম সংগঠন
ছবি সংগৃহীত।

দেশের বিভিন্ন বৃদ্ধাশ্রমে অবহেলিত বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর উদ্যোগে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রম’।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেশব্যাপী ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে একবেলা খাবার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে সংগঠনটির কর্মীরা।

রোববার (২৫ জুলাই) সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, খুলনা, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, জামালপুর, গাইবান্ধা ও বরিশালের ১২টি বৃদ্ধাশ্রমে দুপুরে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে চাল, ডালসহ চিকিৎসা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

‘স্বপ্ন দেখার সুযোগ করে দিয়েছো মোদের অধিকার, আমরা নবীন নিশ্চয়ই হবো গর্বিত অধিকার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে গত বছরের ২৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অপূর্ব চক্রবর্তী ও দীপম সাহার উদ্যোগে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় হাইশুর বৃদ্ধাশ্রমে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম, ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী, তাদের ব্যবহারের জন্য তোয়ালে এবং একটি টেলিভিশন বিতরণের মাধ্যমে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি যাত্রা শুরু করে।

যাত্রা শুরুর পর থেকে গত এক বছরে সংগঠনটি দেশের ১২টি জেলার বৃদ্ধাশ্রমে চাহিদামত ১৫-২০ দিনের খাদ্যসামগ্রী, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং প্রবীণদের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষুধপত্র বিতরণ করেছে। একই সঙ্গে ‘মুজিববর্ষের স্লোগান, তিনটি করে গাছ লাগান’ এই স্লোগানে উজ্জীবিত হয়ে প্রতিটি বৃদ্ধাশ্রমে ১০টি করে ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ সংগঠনের কর্মীরা।

এক বছর পূর্তি উপলক্ষে সংগঠনটির অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ঢাবির থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অপূর্ব চক্রবর্তী বলেন, করোনাকালীন সংকটে সমাজের অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষের মতো দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর দিকেও যেন আমরা দৃষ্টি দেই। তারাও কেউ না কেউ আমাদের বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের কথা মাথায় রেখে অবহেলিত সেই মানুষগুলোর পাশে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর মানবিক আদর্শকে ধারণ করে এই কাজে ব্রত হয়েছি।

আরেক উদ্যোক্তা ঢাবির থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপম সাহা বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনার ক্রান্তিলগ্নে সবচেয়ে ঝুঁকিতে দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠী। এদের মধ্যে বৃদ্ধাশ্রমে যারা থাকেন তাদের একাকীত্ব, হতাশার সাথে যুক্ত হয়েছে করোনাকালীন ভয়াবহতা। মুজিব জন্মশতবার্ষিকীতে অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হতে পারে মুজিবের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন ও মুজিববর্ষের সর্বোত্তম অঙ্গীকার।

এই কার্যক্রমের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অমিতাভ রায় বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়ানো, তাদের মুখে অন্ন তুলে দেওয়া, তাদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটানোর যে উদ্যোগ বঙ্গবন্ধু আনন্দ আশ্রম সেবা কার্যক্রমের সদস্যরা গ্রহণ করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। তাদের এই মহতী উদ্যোগের একজন ক্ষুদ্রতম অংশীদার হতে পেরে ভালো লাগছে। আসুন আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে এই সেবা কার্যক্রমের পাশে থাকি। কারণ মানুষতো মানুষেরই জন্যে।

জেএইচ

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh