• ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
logo

দেশে দেশে যেভাবে নির্ধারিত হয় ঈদের দিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ মে ২০২১, ১৯:৩৭

এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিমদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর উদযাপিত হয়।

দেশে দেশে ঈদ উৎসবের তারিখ যেভাবে নির্ধারণ করা হয়, তা অনেকের কাছে খুব জটিল মনে হতে পারে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে ঈদ হয় কেন? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই রয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো ঈদের তারিখ নির্ধারিত হয় নতুন চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।

বিশ্বের ১৮০ কোটি মুসলিম ধর্মীয় উৎসব, রীতিনীতি, অনুশাসনের জন্য অনুসরণ করেন ইসলামিক চন্দ্র বর্ষপঞ্জী। আর এই চন্দ্র বর্ষপঞ্জীর নয় নম্বর মাস হচ্ছে রমজান।

রমজান মাস যখন শেষ হয়ে আসে, তখন সবাই পরিস্কার আকাশে এক নতুন চাঁদের অপেক্ষায় থাকেন।

প্রতি বছর রমজান মাস গ্রেগরীয়ন ক্যালেন্ডারের তুলনায় ১১ দিন এগিয়ে আসে।

এতে করে প্রতি বছর রমজান মাসের অভিজ্ঞতা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা ভিন্নতর। কারণ বছরের বিভিন্ন সময় দিন দীর্ঘ কিংবা ছোট হয়ে থাকে।

মুসলিমদের রমজান মাসে সূর্যোদয়ের আগে থেকে সূর্যাস্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা রাখতে হয়।

যদি মুসলিমরা সৌর বর্ষপঞ্জী অনুসরণ করতেন, তাহলে রমজানের সময় প্রতি বছর ঠিক একই মৌসুমে হতো। এর মানে বিশ্বের কোনো কোনো অংশের মুসলিমদের সব সময় গ্রীস্মের সময় রোজা রাখতে হতো, যখন কিনা দিন সবচেয়ে লম্বা। আর কোনো দেশে হয়তো শীতের সময় রোজা রাখতে হতো, যখন দিন ফুরিয়ে যায় দ্রুত।

তবে চন্দ্র বর্ষপঞ্জী অনুসরণের সুবিধা হচ্ছে, এটি বিশ্বের সব মুসলিমকে বিভিন্ন মৌসুমে রোজার অভিজ্ঞতার সুযোগ করে দেয়। প্রতি তেত্রিশ বছরে রমজান মাস ঘুরে ফিরে আবার সৌর বর্ষপঞ্জীর একই সময়ে ফিরে আসে।

আর ঈদ-উল-ফিতর উদযাপিত হয় রমজানের পরের মাস শওয়ালের এক তারিখে।

মুসলিম দেশগুলোতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঈদের তারিখ সরকারিভাবে নির্ধারিত হয়।

তবে কিছু কিছু দেশে চন্দ্র বর্ষপঞ্জী আগে থেকে নির্ধারিত করা থাকে। ফলে ঈদের তারিখটি আগে থেকেই জানা যায়।

আবার অনেক দেশে আকাশে চাঁদ দেখে তারপর ঈদের ঘোষণা দেয়া হয়।

সৌদি আরবের ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ ঈদের তারিখ ঠিক করে খালি চোখে ঈদের চাঁদ দেখেছেন এমন মানুষদের সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে। আরও অনেক মুসলিম দেশও একই পদ্ধতিতে ঈদের তারিখ নির্ধারণ করে।

অন্যদিকে শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইরানে সরকারই নির্ধারণ করে ঈদের তারিখ। ইরাকে শিয়া এবং সুন্নীরা ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় ঈদের তারিখ ঠিক করে।

ইরাকে শিয়াদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় নেতা হচ্ছেন গ্রান্ড আয়াতোল্লাহ আলি আল সিসতানি। তিনি সাধারণত ঈদের ঘোষণা দেন।

এছাড়া সুন্নিরা নির্ভর করে তাদের ধর্মীয় নেতাদের ঘোষণার ওপর।

তুরস্ক সরকারিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। সেখানে অ্যাস্ট্রনমিক্যাল বা জ্যোর্তিবিজ্ঞানের হিসেব-নিকেষের ভিত্তিতে ঈদের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা তাদের স্ব স্ব সম্প্রদায়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ঈদ পালন করে। সাধারণত তারা যেসব দেশ থেকে অভিবাসী হয়ে ইউরোপে এসেছে, সেসব দেশের সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
প্রাথমিকের শেষ ধাপের পরীক্ষা আজ, মানতে হবে যেসব সতর্কতা
২৯ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২৯ মার্চ)
বিলিয়নেয়ারদের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় মুম্বাই
X
Fresh